এম, এ, মান্নান
২৩ বছরের পাকিস্তানি দুঃশাসনের সময়ে বৈষম্য এবং বঞ্চনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে যে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল তারই চূড়ান্ত বিস্ফোরণ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ। আমাদের সংগ্রাম ঐতিহ্য তিতুমীর-সূর্যসেন থেকে শুরু করে সালাম-বরকত-রফিক-জব্বার হয়ে আসাদ- মতিউর-সার্জেন্ট জহুরুল হক — নিজেদের অমূল্য প্রাণ বিসর্জন দিয়ে যে পথ দেখিয়ে গিয়েছিলেন— তারই ফলশ্রুতিতে আমরা জেনেছিলাম লড়াই ছাড়া মুক্তির কোন পথ নেই। ৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বজ্রকন্ঠে ঘোষণা করলেন ... যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে... তারপর বাংলার দামাল ছেলে, ছাত্র, শ্রমিক, জনতা সবাই মেতে উঠেছিল রক্তের খেলায়। গায়ক, কলামিস্ট যে যেভাবে পেরেছে অংশ নিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ্বে। আমাদের চারুশিল্পীরা যেমন জয়নুল আবেদিন, কামরুল হাসান, প্রানেশ মণ্ডল, দেবদাস চক্রবর্তী অর্থাৎ আমাদের সত্তোর দশকের চিত্রশিল্পীরা তাদের তুলির সঠিক ব্যবহার পেরেছিলেন।
এঁকেছিলেন ফেস্টুন, ব্যনার, পোস্টার। তুলির একেকটি আঁচর কাঁপন ধরিয়েছিল ইয়াহিয়ার মসনদে, এক একটি পোস্টার যেন বিস্ফোরক হয়ে হাজির হয়েছিলো পাকিস্তানিদের সামনে। আর মনস্তাত্বিক ভাবেও প্রেরণা যুগিয়েছে বাংলার মুক্তিযোদ্ধ্বাদের, সারা বিশ্বে জানান দিয়েছিল দেশের অবস্থা।
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন যুদ্ধ্বের পুরো সময় দেশেই ছিলেন এবং শেষ পর্যায়ে বুদ্বিজীবিদের হত্যার সময় আত্বগোপন করে আত্বরক্ষা করেন। এই শ্বাসরুদ্বকর অবস্থায়ও তার তুলি থেমে থাকেনি এঁকে গেছেন একের পর এক চিত্র।
“শরণার্থী” নামে আঁকা একটি চিত্রে আমরা দেখি ভীত-সন্ত্রস্ত মানুষ ঘর-বাড়ী ছেড়ে সীমান্তের উদ্দ্যেশে চলে যাচ্ছে। অনাগত কালের মানুষ এই ছবি দেখে সহজেই অনুমান করে নিতে পারবে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে হানাদার বাহিনীর অমানবিক নির্যাতন ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞ বাংলার মানুষকে কত টুকু অসহায় করে তুলেছিলো। “মুক্তিযুদ্ধ্ব” নামক স্কেচে দেখা যায় রাইফেল হাতে চোখে মুখে বিজয়ের দৃঢ় প্রত্যয়ে ক্ষিপ্র পদক্ষেপে মুক্তিযোদ্ধ্বারা এগিয়ে আসছে । বিজয়ে প্রেরণা দান কারী এই ছবিটিতে শোক ও ঘৃণার প্রতীক হিসেবে তিনি কালো মোটা ব্রাশে আঁকেন।
মুক্তিযুদ্ধ্বের সময় শিল্পীদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন পটুয়া কামরুল হাসান।
শুধুমাত্র একটি স্বাধীন রাষ্ট্রীয় কাঠামো প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাঙ্গালীর সত্যিকার মুক্তি অর্জন সম্ভব এটা তিনি অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। আর তাই ’৭১-এর মার্চে স্বৈরাচারী শাষক ইয়াহিয়া যখন নিরস্ত্র বাঙ্গালীর উপর হিটলারী কায়দায় গনহত্যা শুরু করল তখন তিনি উত্তপ্ত বেদনা আর ক্ষোভে জ্বলে উঠে কামরুল হাসান ইয়াহিয়ার “এই জানোয়ারটা আবার আক্রমন করতে পারে”, শিরোনামে সদৃশ প্রতিকৃতি দিয়ে ১০টি পোস্টার আঁকেন। পোস্টার গুলো শহীদ মিনারে জনসাধারণের জন্য প্রদর্শন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ্ব শুরু হয়ে গেলে কামরুল হাসান পশিমবঙ্গে চলে যান এবং নবগঠিত মুজিবনগর সরকারের তথ্য ও প্রচার বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব গ্রহন করেন। এ সময় তিনি ইয়াহিয়ার প্রতিকৃতি দিয়ে একটি বিখ্যাত ব্যঙ্গচিত্র অংকন করেন ‘এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে’ শিরোনামে।
এখানে দানব আকারে দেখানো হয় ইয়াহিয়াকে, যা প্রকৃত অর্থে পুরো হানাদার বাহিনীর নগ্ন চরিত্রের পরিচয় বহন করে। এই চিত্রটি দিয়ে পোস্টার ছাপিয়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এ পোস্টার চিত্রটি পাকিস্তানী বর্বর সেনাবাহিনী এবং তাদের এদেশীয় দোসরদের বিরুদ্ধে জনসাধারণের মধ্যে ঘৃণা আর বিদ্রোহের উদ্রেক বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে। এছাড়া তখন তিনি এ ধরনের আরো কছু পোস্টার অংকন করেছিলেন। তার এরকম একটি পোস্টারে দেখা যায় উপরিভাগে স্লোগান লেখা রয়েছে –“রক্তের ঋন রক্তে শুধবো, দেশকে এবার মুক্ত করব”।
এছাড়াও “এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব, ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোল”, “মুক্তিবাহিনী/ আপনার পাশেই/ আছে” বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও প্রচার দপ্তর থেকে প্রচার করা হয়। যা প্রচন্ড ভাবে নাড়িয়ে দেয় বাংলার মুক্তিযোদ্বাদের। পোস্টার ছাড়াও কামরুল হাসান যুদ্বের সময় কালো কালির দ্বারা “মুক্তিযোদ্বা রমণী” শীর্ষক চিত্রকর্ম করেন। এতে তিনি বন্ধুক হাতে বাঙ্গালী নারীর সাহসিকতা কে প্রকাশ করেছেন। এক হাতে কলসি অপর হাতে বন্ধুক নিয়ে নারী প্রয়োজনে কতটা ঝুকি নিতে পারে তা তিনি দেখাতে গিয়ে বাঙ্গালী নারীদের যুদ্ধ্বে অংশ নেওয়ার প্রতি উৎসাহিত করেছেন।
কামরুল হাসান ছাড়াও এসময় আরও অনেকেই মুক্তিযুদ্ধ্বের পোস্টার এঁকে বাংলার মুক্তিযোদ্ধ্বাদের প্রেরণা যুগিয়েছেন। এদের মধ্যে দেবদাস চক্রবর্তীর ‘বাংলার হিন্দু/ বাংলার খৃষ্টান/ বাংলার বৌদ্ধ্ব/ বাংলার মুসলমান/ আমরা সবাই/ বাংগালী’, প্রাণেশ মন্ডলের-‘বাংলার/ মায়েরা মেয়েরা/ সকলেই মুক্তিযোদ্ধ্বা’, নিতুন কুন্ডুর ‘সদা জাগ্রত/ বাংলার/ মুক্তিবাহিনী’ উল্লেখযোগ্য। প্রানেশ মন্ডল যুদ্ধ্ব চলাকালীন সময়ে পোস্টার ছাড়া অনেক চিত্রকর্মও করেছেন। এগুলোর মধ্যে ‘শরনার্থী’, ‘সবুজ জমিতে এলোপাতাড়ি গুলি’, ‘স্কেচ-১’, ‘স্কেচ-২’ উল্লেখযোগ্য।
বরণ্য শিল্পী আমিনুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধ্বের অগনিত শহীদ নর-নারীর নির্মম হত্যাকান্ড নিয়ে ‘গনহত্যা’ শিরোনামে একটি বড় তৈলচিত্র করেন।
যাতে দেখা যায় অসংখ্য নর-নারীর কংকাল স্তূপাকৃতি হয়ে পরে আছে। উপরের দিকে সবুজ বাংলার শ্যামল পটভূমি দেখে মনে হয় শহীদদের স্বরণে বাংলাদেশ বিলাপ করছে।
মুক্তিযুদ্ধ্ব চলাকালীন সময়ে ভারতে অবস্থানরত শিল্পী মুস্তফা মনোয়ার এর কিছু দুর্লব কাজ আমরা পাই, যেমন ১৯৭১ -এ দেশ পত্রিকায় শারদীয় সংখ্যায় প্রকাশিত কথা শিল্পী শওকত উসমানের মুক্তিযুদ্ধ্বভিত্তিক উপন্যাস ‘জাহান্নাম হতে বিদায়’ –এর জন্য বেশ কিছু স্কেচ করেছিলেন। যা ছিলো খুবই অসাধারণ। এই স্কেচ গুলোতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর নৃশংসতা, নারী নির্যাতন, সাধারন মানুষের ভীতি প্রকট ভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রথিতযশা শিল্পী কাইয়্যুম চৌধুরী স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ্বের স্বরনে অনেক ছবি এঁকেছেন। এর মধ্যে বেশ কিছু ছবি যুদ্ধ্ব চলাকালীন সময়ে আকা। যা সমকালীন চিত্রকলা হিসেবে ভারতে প্রদর্শিত হয়েছিলো ১৯৭৩ সালে। এগুলো হল- ‘শহীদ, বাংলাদেশ ৭১, গনহত্যা-৭১’।
মুক্তিযুদ্ধ্ব চলাকালীন সময়ে অপেক্ষাকৃত তরুণ শিল্পী রফিকুন নবী ঢাকায় অবরুদ্ধ্ব ছিলেন।
যুদ্ধ্বের ৯মাস আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে বিজয়ের আকাংখা করেছেন প্রতিটি মুহুর্তে। এই ভাবনা থেকেই আঁকেন ‘বিজয়’ নামের চিত্রটি। ১৯৭১ সালের আগস্টে এই চিত্রটির কাজ শুরু করেন আর শেষ করেন একই সালের ১৬ই ডিসেম্বরে অর্থাৎ মহান বিজয় দিবসে। এই ছবিটিতে বিজয়ের মাহাত্ত্ব বুঝাতে প্রতীক হিসেবে হাতির ফিগার ব্যবহার করেন।
১৯৭১ সালে শিল্পী স্বপন চৌধুরী তখন বয়সে তরুণ।
রং-তুলিতে, পেনসিলে এঁকেছেন সেই সময়ের রক্তাক্ত যুদ্ধের দৃশ্যাবলি। গান করেছেন সংগ্রামী শিল্পীদের সঙ্গে। ছবিগুলো আঁকার পেছনের গল্প তুলে ধরে শিল্পী স্বপন চৌধুরী বলেন, ‘একাত্তরের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আঁকা ছবিতে বাঙালির মুক্তিসংগ্রামকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আমি। মুক্তিযুদ্ধ আমাকে ছবি আঁকার সাহস দিয়েছে। ভাবনার স্বাধীনতার সীমানা বিস্তৃত করে দিয়েছে।
আমি যুদ্ধকে ছবিতে এনেছি। ছবিগুলো যখন দেখি, আনন্দ পাই, দুঃখ লাগে, গৌরব বোধ করি। ’
ঐতিহাসিক এক প্রদর্শনীঃ
সেপ্টেম্বর, ১৯৭১। প্রচন্ড যুদ্ধ চলছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবস্থানরত বাঙ্গালী শিল্পীরা দেশ, জাতি, ও সমাজের প্রতি নিজেদের দ্বায়বদ্ধতার প্রমান দেন কলকাতার বিড়লা একাডেমীতে একটি দলীয় প্রদর্শনীর মাধ্যমে।
১৩ই সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ সালে শেষ হওয়া এই প্রদর্শনীটি ছিল একটি সময়োপযোগী, গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক প্রদর্শনী। কলকাতা কেন্দ্রিক সাহিত্যিক, শিল্পী, বুদ্বিজীবীরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে সাহায্য ও সহযোগিতার জন্য “বাংলাদেশ সহায়ক শিল্পী-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবি সমিতি” গঠন করে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে যেখানে ১৭ জন শিল্পীর ৬৬টি চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছিল। দু’ভাজের হলুদাভ কাগজে ইংরেজী ভাষায় ছাপা ক্যাটালগের শিরোনাম ছিল- “বাংলাদেশের শিল্পীদের চিত্র ও অংকন (ড্রইং এন্ড পেইন্টিং) প্রদর্শনী”। ফিগারেটিভ ও বাস্তবধর্মী এই কাজগুলোতে স্বদেশ বন্ধনা ও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে হানাদার বাহিনী ও এদেশের সহযোগীদের নির্মম পাশবিকতা, গনহত্যা, ধর্ষণ এবং এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধের চিত্র প্রতিয়মান হয়। ঐতিহাসিক এই প্রদর্শনী দেখেই বিশ্ববাসী বাংলার দুরাবস্থা আঁচ করতে পেরেছিল।
প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ কারী শিল্পীদের নাম ও শিল্পকর্ম হলঃ
আবুল বারাক আলভী – মা ও শিশু
গোলাম মোহাম্মদ- সূর্য বিলোপ
অঞ্জন বনিক – রক্তাক্ত বাংলাদেশ
বরুন মজুমদার – বাংলাদেশ
বীরেন সোম – কান্না, দুঃস্বপ্ন, স্কেচ-১, স্কেচ- ২
চন্দ্র শেখর দে – নিষ্পাপ শিকার, চঞ্চল পাখি, স্কেচ-১, স্কেচ- ২
বিজয় সেন- জেনোসাইড, স্কেচ-১, স্কেচ- ২
দেবদাস চক্রবর্তী – ক্রুশবিদ্ধ মানবতা, স্বাধীনতার সৈনিক
হাসি চক্রবর্তী – বাংলাদেশ-১, বাংলাদেশ-২, বাংলাদেশ-৩, বাংলাদেশ-৪, বাংলাদেশ-৫
মুস্তফা মনোয়ার – একী ভবন, গর্বিতা মা, নারী এবং পশু, বাংলাদেশ-১, বাংলাদেশ-২, বাংলাদেশ-৩, স্মৃতি, ভূমি
নাসির বিশ্বাস – ধর্ষন
নিতুন কুণ্ডু- বাংলাদেশ’৭১, সাহায্যের জন্য কান্না
প্রাণেশ মন্ডল – শরনার্থী, সবুজ সোনালী জমিতে এলোপাতাড়ি গুলি, স্কেচ-১, স্কেচ- ২
কামরুল হাসান – কম্পোজিশন-১, কম্পোজিশন-২, বাংলাদেশ- গনহত্যার আগে, বাংলাদেশ- গনহত্যার পরে, এপ্রিলের পূর্ণ চাঁদ।
কাজী গিয়াস উদ্দিন – শরনার্থী-১, শরনার্থী-২, শরনার্থী-৩, শরনার্থী-৪, শরনার্থী-৫, দুর্যোগ।
রঞ্জিত নিয়োগী – ভয় এবং মৃত্যু, কালো দিগন্ত, মানবতার অবমাননা, উদিত সূর্য আমাদের, স্বাধীনতার জন্য।
স্বপন চৌধুরী - বাংলাদেশ- ১, বাংলাদেশ- ২, বাংলাদেশ-৩, স্কেচ-১, স্কেচ- ২, স্কেচ-৩, স্কেচ- ৪, স্কেচ-৫, স্কেচ- ৬, স্কেচ-৭, স্কেচ- ৮, স্কেচ-৯, স্কেচ- ১০।
ইতিহাসের সাক্ষী এই প্রদর্শনীটি প্রথমে কলকাতায় এবং পরে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়।
শুধু যুদ্ধচলাকালীন সময়েই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে চিত্রকলা হয়নি সত্তরের দশকে আবির্ভূত অনেক শিল্পীরই ছবি আঁকার প্রধান প্রেরণা ছিল মুক্তিযুদ্ধ। তবে তাঁদের কারো কারো কাজের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিল্প সৃজন হয়তো ওই দশকেই তেমনটি হয়নি বরং হয়েছে পরবর্তী দশকে। তবে যেকোনো আন্দোলনে চিত্রকলা বা রেখাও যে প্রতিবাদের অনেক বড় হাতিয়ার হতে পারে এবং অবদান রাখতে পারে বিজয়ে তারই প্রমান করে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। শিল্পীদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি যোদ্ধা হিসেবে অথবা নানাভাবে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ করেছেন এমন শিল্পীর সংখ্যাও কম নয়। এদের মধ্যে – আবুল বারক আলভী, স্বপন চৌধুরী, শাহাবুদ্দিন প্রমুখ রয়েছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।