গণমাধ্যম সব সময় সত্য প্রকাশ করে সাধারন মানুষের উপকার করবে এইটাই সবার আশা। একজন দক্ষ সংবাদিক একটা দেশের উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা পালন করে। যে দেশে একটা স্বাধীন পত্রিকা আছে সে দেশের জনগন আসলেই অনেক ভাগ্যবান। একটা স্বাধীন গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি একটি দেশের সরকার প্রধানদের আসল চেহারা। কিন্তু কতিপয় এই স্বাধীন গনমাধ্যমের কিছু অসাধু সাংবাদিকদের কারনে অনেকেই যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে তা আমরা কমবেশী সবাই জানি।
আর তারই একটা প্রমাণ দিল দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকা। আজকে তারা বাংলাদেশের একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় 'বাংলাদেশ ইউনিভারসিটি অফ বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউবিটি)' কে নিয়ে একটি অসত্য প্রতিবেদন তাদের পত্রিকার প্রথম পাতায় প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনটির প্রতিটি তথ্যই ভিত্তিহীন। আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র হওয়াতে খুব ভালোভাবেই জানি এই বিশ্ববিদ্যালয়টি কেমন। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে যে এইখানে পড়তে নাকি একজন ছাত্রকে অনেক টাকা-পয়সা খরচ করতে হয় যা কিনা অনান্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেক বেশী।
আসলে বাংলাদেশের যে কয়েকটি হাতে গোনা ভালো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে তাদের মধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয় টি অন্যতম এবং অন্যান্যদের থেকে খরচ খুবই নগন্য। এখানে পড়তে একজন ছাত্রের সর্বোচ্চ খরচ হয় ২ লাখ ৮০ হাজার টাকার মত। খরচ কম হওয়াতেই আমার মত একজন কৃষকের সন্তান এইখানে পড়াশুনা করার সুযোগ পাচ্ছে। শুধু আমি না আমার মত অনেকেই আছে যাদের অন্য বিশ্ববিদাল্যয়ে পড়ার সামর্থ নেই কিন্তু বিইউবিটিতে আছে। আর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন যতবারই রিপোর্ট দিয়েছে তার সবকটিতে তারা বলেছে যে বিইউবিটির পড়াশুনার মান অন্যান্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে খবই ভালো।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে এই খানে বাংলা ভাষার কোন বিষয় পড়ার সুযোগ নেই এবং আমাদের কোন শ্রদ্ধাবোধ নেই বাংলাভাষার প্রতি। হ্যাঁ আমি মানতেছি এইখানে বাংলা কোন বিষয় পড়ার সুযোগ নেই কিন্তু আমার প্রশ্ন বাংলাদেশের কয়টা বেসরকারি বিশ্ববিদালয়ে বাংলা পড়ার সুযোগ আছে? ইউজিসি মাত্র কিছুদিন আগে বাংলা বিষয় পড়ানোর জন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনুরোধ জানিয়েছে। তবে বিইউবিটির সকল ক্লাসের প্রায় আশি ভাগই লেকচার দেওয়া হয়ে থাকে বাংলাভাষায়। আমরা শুধু খাতায় লিখি হয়ত ইংরেজিতে কিন্তু আমাদের পাঠদান দেওয়া হয় সম্পন্ন বাংলা ভাষায়। আর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এখন পর্যন্ত এমন কোন কাজ করে নাই যার দ্বারা বাংলা ভাষার মানহানি ঘটেছে।
প্রতিবেদনটি যে আসলেই উদেশ্য প্রনোদিত তা যে কেউ পড়লেই বুঝতে পারবে। আমার বিশ্বাস প্রতিবেদক এবং পত্রিকার সম্পাদক অনেক মোটা অংকের ঘুষ খেয়ে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। আর এর কারন হতে পারে আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়টি বাংলাদেশের সাধারন মানুষের কাছে দিনের পর দিন সুনাম অর্জন করতেছে। আর এই সুনামকে নষ্ট করার জন্য কোন একটি মহল এই পত্রিকাটিকে অর্থ দিয়ে প্ররোচিত করেছে বিইউবিটির বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা সংবাদ উপস্থাপনের। তাই যায়যায়দিনের এমন নোংরা এবং বানোয়াট প্রতিবেদনের জন্য আমি ধিক্কার জানাচ্ছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।