ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, আটক মো. মিলন হোসেন একজন র্যাব সদস্য। ফেন্সিডিল উদ্ধারে এক অভিযানে গিয়ে তিনি ভারতীয় সীমান্তের ভেতরে ঢুকে পড়ার পর গ্রামবাসী তাকে ধরে বিএসএফের হাতে তুলে দেয়।
তবে র্যাব বলছে, তাদের কোনো সদস্য ভারতে আটক হননি।
বিজিবি-বিএসএফ বৈঠকে বিষয়টির মীমাংসা না হওয়ায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা মিলনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন এবং ভারতীয় আদালত তাকে পার্সপোর্ট আইন লংঘনের অভিযোগে এক মামলায় দুই সপ্তাহের রিমান্ডে পাঠায়।
র্যাবের মহাপরিচালক মোখলেসুর রহমান সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের কেউ ধরা পড়েনি।
আমরা পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরেছি, র্যাবের এক সোর্স আটক হয়েছে। তবে এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। ”
ভারতের প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক হিন্দুর এক খবরে বলা হয়, গত শনিবার বাংলাদেশের কুমিল্লা সীমান্তবর্তী ভারতের রহিমপুর গ্রামে ফেনসিডিল উদ্ধারে অভিযানে যায় র্যাব। কিন্তু গ্রামবাসীর ‘প্রতিরোধের’ মুখে অন্যরা নিরাপদে সরে আসতে পারলেও মো. মিলন হোসেন নামে একজন ধরা পড়েন।
“পরে তাকে বিএসএফের হাতে তুলে দেয়া হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, মো. কামরুল জামান নামের এক কর্মকর্তার নেতৃত্বে তারা অভিযানে নিষিদ্ধ কফের সিরাপ (ফেনসিডিল) উদ্ধারে এসেছিলেন। ”
সেদিনই বিষয়টি নিয়ে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক হয়। কিন্তু মধ্যরাত পর্যন্ত ওই বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে মিলনের পরিচয় নিশ্চিত করা না হলে পরদিন তাকে ভারতীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ।
মিলনের বিরুদ্ধে পার্সপোর্ট আইনে অভিযোগ এনে পশ্চিম ত্রিপুরার সেপাহিজালা জেলার সোনামুড়া আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে ১৪ দিন রিমান্ডে পাঠান।
আটকের সময় সাধারণ পোশাকে থাকা মিলনের কাছে র্যাবের পরিচয়পত্র পাওয়া যায় বলেও হিন্দুর পত্রিবেদনে বলা হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।