লিখতে ভাল লাগে, লিখে আনন্দ পাই, তাই লিখি। নতুন কিছু তৈরির আনন্দ পাই। কল্পনার আনন্দ। অপরিচিতা
মোহাম্মদ ইসহাক খান
অনেক মানুষের আজব আজব শখ থাকে। আমারও আছে।
আমার শখ হল জিনিসপত্র কুড়নো। রাস্তা থেকে, ফুটপাত থেকে। অনেকে ভাবতে পারেন, জিনিসপত্র কুড়নো টোকাইদের কাজ, আমি সেটা কেন করতে যাবো? কিন্তু বলেছিই তো, এটা একটা শখের ব্যাপার, আর আজব শখের কোন ব্যাখ্যা থাকে না। স্কুলে "আমার শখ" রচনাতে কখনো লিখতে পারিনি যে আমার শখ হল রাস্তায় পড়ে থাকা আলতু-ফালতু জিনিস কুড়িয়ে বাসায় নিয়ে আসা, ঝেড়েমুছে পরিষ্কার করে সাজিয়ে রাখা, "সংগ্রহশালা" সমৃদ্ধ করা। স্কুলের রচনায় লিখতে হয় যে আমার শখ হল বই পড়া, ছবি আঁকা, বাগান করা কিংবা ডাকটিকেট জমানো।
সত্যি কথা লিখলে "ছাঁকা নম্বর" পাওয়া যায় না। "এক কোটি টাকা পেলে কী করবো" লিখতে দিলে সবাই লেখে যে জনস্বার্থে ব্যয় করবে, দারিদ্র্য দূরীকরণে কাজে লাগাবে, এলাকায় স্কুল বানাবে; কেউ লেখার সাহস পায় না যে এক কোটি টাকা দিয়ে খেলনা কিনবে আর চটপটি-ফুচকা খাবে। তেমনি "আমার জীবনের লক্ষ্য" শিরোনামের অনুচ্ছেদে সবাই লেখে আদর্শ শিক্ষক হবে, মানুষ গড়ার কারিগর হবে; অথবা লেখে ধন্বন্তরি ডাক্তার হবে, মানুষের সেবায় জীবন উৎসর্গ করবে। কেউ লিখতে পারে না যে সে শার্লক হোমস কিংবা কিশোর পাশার মতো ডিটেকটিভ হবে, অথবা আয়রন ম্যান হয়ে আকাশে উড়ে বেড়াবে। বাল্যকালেই আমাদের হাতেখড়ি হয় শিখিয়ে দেয়া কথা বলার এবং লেখার।
কে জানে, হয়তো এটাই সঠিক পদ্ধতি।
তখন আমি স্কুলে পড়ি, একদিন রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে চোখ পড়লো একটা দশ টাকার নোটের ওপর। রাস্তায় পড়ে আছে, খানিকটা ময়লা লেগে আছে, কারো চোখে পড়েনি, চোখে পড়লে একটা আস্ত টাকার নোট এ-দেশের রাস্তায় পড়ে থাকতো না। আমি তুলে নিলাম। উল্টেপাল্টে দেখলাম।
বাংলাদেশের অনেক মানুষ টাকার নোটে নানারকম কথা লিখতে পছন্দ করে। তার মধ্যে কিছু কথা যে বেশ মজার, সেদিনই ব্যাপারটা টের পেলাম। সাধারণত টাকার নোটে মানুষ নিজের ফোন নম্বর কিংবা নাম লিখে দেয়। কিন্তু এই নোটটা যেই ভদ্রলোকের কলমের ছোঁয়া পেয়েছে, তিনি ছিলেন আরও এক কাঠি সরেস, তিনি লিখেছেন, "একটা 'মন' চাই। ফোনঃ ... ... ..."।
তারপর সেই নোটটি অনেক জায়গায় গেছে, হাত ঘুরেছে, ড্রয়ারে থেকেছে, মানিব্যাগে ঠাঁই করেছে, তারপর হয়তো "মনের" সন্ধান না পেয়ে কারো পকেট থেকে অজান্তে পড়ে গেছে রাস্তায়।
আমি সেই টাকার নোটটা বাসায় নিয়ে এলাম। আজও আছে নোটটা, খরচ করিনি।
সেদিন থেকেই আমার জিনিস কুড়নো শখের সূচনা হয়। ধীরে ধীরে নেশার মতো হয়ে গেলো, আমি সময় পেলেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়ি, নিচের দিকে তাকিয়ে ফুটপাতে হাঁটি।
বেশ কয়েক বছর কেটে গেছে, কিন্তু শখটা আগের মতোই আছে। এই দীর্ঘ সময়ে কত জিনিস আমি রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে এসেছি ঘরে, তার কোন ইয়ত্তা নেই। কলম, খালি মানিব্যাগ, ছবি, কাগজ, যা ভাল লাগে তাই, এমনকি একটা বড়সড় সাদা রঙয়ের প্লাস্টিকের হাড় পর্যন্ত। নিশ্চয়ই মেডিকেলে ব্যবহৃত কঙ্কালের হাত কিংবা পা থেকে খুলে এসেছিলো। কীভাবে এসেছিলো সেটা এক রহস্য।
জিনিসগুলো নব্বই ভাগ ক্ষেত্রেই মূল্যবান কিছু নয়, কিন্তু আমার কাছে ভালো লাগে। কোন লাইটার রাস্তায় পড়ে আছে, হয়তো একজন মানুষ সেটা অসংখ্যবার জ্বালিয়েছে। একটা ঝর্ণাকলম পড়ে আছে, সেটা দিয়ে হয়তো কেউ অনেকদিন লিখেছে। একটা সাদা রুমাল পড়ে আছে, তার এক কোণায় লাল সুতোয় লেখা, "ভুলো না আমায়। " হয়তো কোন রমণী এই লেখাটি তার প্রিয়জনের জন্য অনেক যত্ন করে, অনেক সময় নিয়ে সুঁই-সুতোয় ফুটিয়ে তুলেছিল, কিন্তু সেটা কপালের ফেরে এই নোংরা কাদামাখা রাস্তায় এসে পড়েছে।
আমি সেগুলো পরম যত্নে ঘরে নিয়ে যাই, এগুলোর সাথে সম্পর্কিত মানুষগুলোকে কল্পনা করার চেষ্টা করি। মানুষের জীবনে তাদের অজান্তেই ঢুকে যাওয়ার একটা আলাদা আনন্দ আছে।
বাংলাদেশে আজব শখওয়ালা লোকজনের জন্য একটু অসুবিধে আছে। সাধারণ পাবলিকের কৌতূহল এখানে আকাশছোঁয়া। পশ্চিমা দেশগুলোতে এমন ব্যাপার নেই, সেখানে কে কী করছে না করছে সেটা নিয়ে কেউ তেমন একটা মাথা ঘামায় না।
হয়তো কেউ কাপড়চোপড় খুলে ন্যাংটো হয়ে রাস্তায় বসে আছে, কেউ ফিরেও তাকাবে না। যদিও বা কেউ তাকায়, মুচকি হেসে চলে যাবে, বিরক্ত করতে আসবে না। কিন্তু বাংলাদেশে ব্যাপার ভিন্ন। এদেশে মানুষের বিনোদনের তেমন কোন উপায় নেই, তাই কেউ একটু অস্বাভাবিক কিছু করছে দেখলেই তারা গলা বাড়িয়ে দেখে। হয়তো কেউ রাস্তার ধারে বসে বসে ছবি আঁকছে, তার চারপাশে অবশ্যই ভিড় জমে যাবে।
কৌতূহলী মানুষজন "অ্যাবস্ট্রাক্ট" ছবির মর্ম না বুঝলেও অতি উৎসাহী দুয়েকজন তাকে জিজ্ঞেস করবে, "কী আঁকেন ভাইজান? এইডা কি বিলাই না কুত্তা?" পাশ থেকে গম্ভীর মুখে কেউ মন্তব্য করবেন, "আরে না, আপনে বুঝেন নাই। ভাইজানে কুমীর আঁকতাছে। মিঠাপানির কুমীর। "
এমনও দেখেছি, রাস্তায় গর্ত খোঁড়া হচ্ছে, আর চারপাশে গোল হয়ে মানুষ দাঁড়িয়ে আছে, যেন তাদের কোন কাজকর্ম নেই, অন্যের কাজ দেখাতেই তাদের সুখ। অনেকে গালে হাত দিয়ে তন্ময় হয়ে গর্ত খনন দেখছে, সমঝদার দর্শক যেমন ভঙ্গিতে কোন শিল্পকর্ম দেখে থাকে।
সরকারের বোধহয় আমজনতার চিত্তবিনোদনের জন্য নতুন কোন মাধ্যম আমদানি করার সময় হয়েছে, তাহলে আমার মতো মানুষগুলোর একটু সুবিধে হতো।
যা বলছিলাম, সাধারণ মানুষের কৌতূহল প্রথমেই আমাকে দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছিলো। আমি রাস্তার পার্শ্ববর্তী ফুটপাতে হাঁটতে হাঁটতে একসময় পিছনে তাকিয়ে দেখলাম, আমার পেছনে আরও এক দঙ্গল মানুষ জুটে গেছে। কয়েকটা "পিচ্চি" তো মহা খুশি, আমার দিকে আঙুল তুলে খুব স্পষ্ট স্বরে, কোন দ্বিধা কিংবা জড়তা ছাড়াই বলল, ব্যাডা পাগল হইয়া গ্যাছে। রাস্তায় কী জানি খুঁজে।
হি হি।
রাস্তায় বৈকালিক ভ্রমণে বেরোন অনেক বৃদ্ধ লোক, তাঁদের একদলও জুটে গেছেন কাগজ কুড়নো টোকাইদের সাথে, একজন জিজ্ঞেস করলেন, ভাই, আপনি কী খুঁজছেন? সোনাদানা হারিয়ে গেছে? নাকি মূল্যবান কাগজপত্র, এস. এস. সি.-র সার্টিফিকেট?
আমি সাবধানী লোক, বুঝলাম, এভাবে রাস্তায় মাথা নিচু করে শান্তিমতো হাঁটা চলবে না। কাজেই আমি স্ট্রাটেজি পরিবর্তন করলাম, আজ এই রাস্তায় তো কাল ঐ রাস্তায়। কেউ যেন জানতে না পারে যে এই এলাকায় আমি আছি, জানলে চাউর হয়ে যাবে, মানুষ ঠাউরাবে পাগল। এক পাগল রাস্তায় রাস্তায় জিনিস কুড়িয়ে বেড়ায়, হি হি, কি মজা! আমি কোলাহলমুক্ত, মোটামুটি নির্জন এলাকার রাস্তায় ঘুরতে লাগলাম।
রাতে কিংবা সন্ধ্যায় বেশি ঘুরি, যাতে সুবিধে হয়। একসময় দেখলাম, আমার পেছনে আর লোকজন ঘুরছে না। আমি হাঁপ ছেড়ে বাঁচলাম।
সেদিনও আমি বেরিয়েছি। নানা জিনিস পড়ে থাকতে দেখছি রাস্তায়, কিন্তু কিছুই দৃষ্টি আকর্ষণ করার মতো নয়, সবই আমার ঘরে আছে, জমে স্তূপ হয়ে গেছে।
আমি সামনে এগিয়ে যাই।
জুতোটার নিচে খসখস শব্দ হয়। কিছু একটা বোধহয় আটকে আছে জুতোর তলায়, আমি নিচু হয়ে জুতোর শুকতলা দেখি। আরে, একটা ছবি আটকে আছে।
ছবিটা তুলে চোখের সামনে ধরলাম।
একটা মেয়ের ছবি, আমি চিনি না, বলাই বাহুল্য। মেয়েদের ছবির দিকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে নেই, কিন্তু আমি অনেকক্ষণ ধরে মেয়েটার মুখখানি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখলাম।
খুবই সাধারণ চেহারার একটা মেয়ে, ভ্রমরকালো চুল, পটলচেরা চোখ, বাঁশির মতো নাক, ধবধবে ফর্সা মুখের রং, এমন কিছুই নয়। আর দশটা সাধারণ মেয়ে দেখতে যেমন হয়, ঠিক তেমনি। পুরো চেহারা খুঁটিয়ে দেখেও কোন দ্রষ্টব্য কিছু পেলাম না।
আমি আবিষ্কার করলাম যে মেয়েটার মুখে লক্ষ করার মতো একটা জিনিসই আছে, সেটা হল লক্ষ করার মতো কিছুই নেই। কোন বিশেষত্ব না থাকাটাই যে একটা বিশেষত্ব হতে পারে, সেটা সেদিনই আবিষ্কার করলাম!
কোন কারণ নেই, কিন্তু আমি সেই অপরিচিতাকে পকেটে ভরে নিয়ে এলাম। অনেকেই ব্যাপারটা ভাল চোখে দেখবে না, কিন্তু বলেছিই তো, আমার কাজের কোন আগামাথা নেই।
ঘরে এসে দেরাজে মেয়েটার ছবি ঢুকিয়ে রাখলাম। ছবিতে নম্বর সেঁটে দিলাম, সংগ্রহ নম্বরঃ ১১২৮।
ক্যাটাগরিঃ আলোকচিত্র। বর্ণনাঃ একটি অপরিচিতা তরুণীর রঙিন ফটো।
আমি পাগলা কিসিমের মানুষ হলে কী হবে, আমার কাজকর্মের একটা নিয়ম আছে, আমার সব সংগ্রহ খুব সাজানো গোছানো, নম্বর দেয়া। আজ থেকে অনেক বছর পর আমার পরবর্তী প্রজন্মের কেউ যদি এগুলো দেখে, তাহলে তারাও হয়তো মজা পাবে। তবে মেয়েটার ছবির ব্যাপার আলাদা, আমার ভবিষ্যৎ স্ত্রী দেখলে কিঞ্চিৎ রাগান্বিত হতে পারে।
মেয়েরা আসল কিংবা নকল (ভার্চুয়াল), কোন প্রতিদ্বন্দ্বীই পছন্দ করেনা।
আমি শুয়ে পড়ি। বাতি নিভিয়ে গভীর ঘুম।
প্রায় সাথে সাথেই একজন আমাকে ডাকতে শুরু করলো। আমি চোখ না খুলেই বলি, ওহো, মা, জ্বালাতন কোরো না তো! মাত্র ঘুমিয়েছি।
আমি ভাবি, মা বুঝি ডাকছেন। রাত দুপুরে কীসের ডাকাডাকি?
আবার ডাকাডাকি শুরু হয়, খুব অস্থির হয়ে কেউ আমাকে ডাকছে। আমি জবাব দিই না। দুই কানে বালিশ চাপা দিয়ে আবার ঘুমোনোর চেষ্টা করি।
তখনই আবার আমার কানে একটা ডাক আসে।
না, মায়ের গলা নয়। নারীকণ্ঠ, কিন্তু সম্পূর্ণ অপরিচিত।
আমি এবার কান পেতে শুনি। অপরিচিত কণ্ঠ বলছে, অ্যাই ছেলে, অ্যাই! আমার ছবি রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে এসে একেবারে ভুলে গেছ? আমার কোন দাম নেই? একটা তরুণী মেয়েকে এভাবে অসম্মান করছ, তোমার সাহস তো কম নয়! জলদি আমাকে খুঁজে বের কর। আমি অপেক্ষায় আছি।
আমার ছবি কি নম্বর সেঁটে দেরাজে ভরে রাখার জিনিস, মারবো এক চড়!
আমি ধড়মড় করে উঠে বসি। বাতি জ্বালাই। কই, কেউ তো নেই। মনের ভুল, অবশ্যই মনের ভুল। রাত দুপুরে আমাকে কোন মেয়ের ডাকার কোন কারণ নেই।
নিশ্চয়ই মেয়েটার ছবি দেখে আমার মনে "কিছু একটা" হয়েছে, "প্রজাপতি ওড়াওড়ি" শুরু করেছে। এই বয়সে সব ছেলেরই হয়তো এমন হয়। এই বয়সটা খুব খারাপ, রঙিন চশমা সাঁটা থাকে চোখে, তাই অনেক ভুলভাল দেখতে হয়, অনেক ভুলভাল শুনতে হয়।
আমি আবার কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমোতে যাচ্ছিলাম, তখন আবার প্রচণ্ড ধমক, আবার ঘুমোতে যাচ্ছ? কী বললাম কানে যায় না?
আমি বিছানা থেকে নেমে পড়ি। দেরাজ খুলে ছবিটা বের করি।
মেয়েটা যেন আমার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আমিও বোকার মতো ছবিটার দিকে তাকিয়ে থাকি, বেশ কিছুক্ষণ, কিন্তু কই, মেয়েটা তো কথা বলে ওঠে না!
আমি ঢোক গিললাম।
রাতে আর আমার ঘরে শুতে সাহস হল না, অন্য ঘরে গিয়ে শুলাম। আমার কাণ্ডকারখানা দেখে মা ভাবলেন, নিশ্চয়ই ছেলের পাগলামিতে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। আমি কিন্তু কাউকে খোলাসা করে কিছু বললাম না, বাবা-মা ভাববেন, ছেলের পাখনা গজিয়েছে, এই অসুখের একমাত্র ওষুধ হচ্ছে "শক্ত মাইর।
" শুধু খাদ্যদ্রব্যেই পুষ্টিগুণ থাকে, কথাটা সম্পূর্ণ ভুল। "শক্ত মাইরেও" পুষ্টিগুণ থাকে, এবং অনেক বেশি পরিমাণে থাকে!
***
সেদিনের পর থেকে আমার শখটা বদলে গেছে। আমি এখনো রাস্তায় রাস্তায় ঘুরি, তবে আর মাটির দিকে তাকিয়ে হাঁটি না। রাস্তায় পড়ে থাকা কোন জিনিসও আর তুলে নিই না। আমি এখন ঘুরে বেড়াই সেই মেয়েটিকে খুঁজে বের করার জন্য।
আমার পকেটে সবসময় থাকে ছবিটা, যেটা সেই অপরিচিতাকে পেলেই ফেরত দিয়ে দেবো।
(১ ডিসেম্বর, ২০১২)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।