আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আসুন বাংলায় জানি স্যাটেলাইট কমিউনিকেশনঃ পর্ব ১ (সূচনা পর্ব)

দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা, কারো দানে পাওয়া না! ছবি- ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের এই ছবিটি তোলা হয় নাসার স্পেস এনডেভার নামক স্পেস শাটল থেকে দুই থেকে তিন বছর পর বাংলাদেশ মহাকাশে উৎক্ষেপন করতে যাচ্ছে তার নিজস্ব স্যাটেলাইট। আমাদের বলা হয়েছে এই স্যাটেওলাইট উৎক্ষেপিত হলে প্রতিবছর বাংলাদেশের অন্তত ১১ মিলিয়ন ডলার খরব বাঁচবে। শুধু তাই নয়, এর ফলে প্রাথমিক ভাবে বছরে আরো ৫০ মিলিয়ন ডলারের অর্থ আয় করাও সম্ভব হবে- যেটা প্রতিবছর বাড়তে থাকবে। ফলে আগামী ১৫ বছরে নিজস্ব স্যাটেলাইট ছাড়া ধার করে চলতে হলে আমাদের যেখানে ব্যয় হতো ১৬৫ মিলিয়ন ডলার সেখানে এই ১৫ বছরে আমাদের আয় হবে সাড়ে সাতশ মিলিয়ন ডলার। এটা মূলত আমাদের বিদেশী পরামর্শক প্রতিষ্ঠান স্পেস পার্টনারশীপ ইন্টারন্যাশনাল বা এসপিআই এর হিসাব।

বর্তমান গোটা বিশ্বে স্যাটেলাইটের অর্থনীতি ১০১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের। তাই শুধুমাত্র স্যাটেলাইটের মাধ্যমেই বাংলাদেশকে একটি মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করা সম্ভব বলেও তাদের দাবি। সময়ই বলে দেবে এই হিসাব কতটা বাস্তব। আপাতত তারা যা বলবে তা আমাদের মেনে নিতে হবে। কারন আমাদের খুব বেশি এক্সপার্ট নেই এই বিষয়ে।

শুধু কি তাই আপনি বাংলায় স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন লিখে গুগলে সার্চ দিয়ে দেখুন তো এই বিষয়ে কয়টা আর্টিকেল পান। লাইব্রেরীগুলোতে খোজ নিয়ে দেখুন তো এই বিষয়ে কয়টা বাংলা বই পান? দুঃখজনক হলেও সত্যি সংখ্যাটিকে খুব নগন্য বললেও বেশিই বলা হয়ে যায়। আমরা এক্সপার্ট হবো কিভাবে? আমার থিসিসের বিষয় স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন এবং টিভি ব্রডকাস্টিং। সেই আলোকে এই লেখায় খুব সহজ ভাষায় স্যাটেলাইট কমিউনিকেশনের আদ্যন্ত ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করবো। এই লেখা যদি অন্তত একজন বাংলাদেশির তরুনের মনে ছোটবেলার সেই রকেট উড়ানোর স্বপ্নটাকে আরেকবার জাগিয়ে দিতে পারে তবেই আমি স্বার্থক।

স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন কি? সহজ ভাষায় স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন অর্থ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তথ্যের আদান প্রদান। এই ব্যবস্থায় শূন্যে উৎক্ষেপিত বিভিন্ন প্রকার স্যাটেলাইট ভূপৃষ্ঠ থেকে বিভিন্ন উচ্চতায় অবস্থান করে পৃথিবীকে প্রদক্ষিন করতে থাকে। তথ্যের আদান প্রদান হতে পারে স্যাটেলাইটের সাথে পৃথিবীতে স্থাপিত কোনো আর্থ স্টেশনের,কোনো ডিভাইসের অথবা একটি স্যাটেলাইটের সাথে আরেকটি স্যাটেলাইটের। অর্থাৎ সাধারনভাবে যোগাযোগ বলতে আমরা যদি প্রেরক এবং প্রাপকের মধ্যে তথ্যের আদান প্রদানকে বুঝি তবে এই দুইটির (প্রেরক এবং প্রাপক) যে কোন একটি স্যাটেলাইট হলেই সেটিকে আমরা বলি স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন। প্রতিটি স্যাটেলাইটের জন্য একটি নির্দিষ্ট সীমানা(Area) নির্ধারিত থাকে।

এই সীমানার মধ্যেই স্যাটেলাইটি ফোকাস করা থাকে এবং তার কাজের পরিসীমাও এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এই সীমানাকে বলা হয় ফুটপ্রিন্ট(Foot print)। আবার কিছু স্যাটেলাইট তার সিগন্যালের দিক পরিবর্তন করে কাভারেজ অঞ্চল পরিবর্তনও করতে পারে। ছবিতে বিষয়টি পরিষ্কার হবে- (চলবে)  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.