আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অস্থির শিক্ষাঙ্গন

সমাজ থেকে কল্পিত দ্বন্দগুলো দূর হোক। প্রচলিত ধারার ছাত্র রাজনীতির প্রসঙ্গটি উঠলে খুব যৌক্তিক কারণেই আমি তার সাথে দ্বি-মত পোষণ করার সুযোগ হাতছাড়া করিনা। যদিও আমি এ ব্যাপারে যথেষ্ঠ সচেতন যে, ছাত্র রাজনীতির কিছু ভাল দিক আছে। সেগুলো এখন গৌণ বটে। ছাত্র রাজনীতির ধারাবাহিকতায় যারা এখন শিক্ষক হয়েছেন তারাই এখন রাজনীতির নোংরামীর সাথে জড়িয়ে গেছেন।

স্ব-দলীয় ছাত্রদের অনৈতিক কর্ম-কান্ডে তারাই আবার সমর্থন যোগাচ্ছেন। অধুনা সারা বাংলাদেশে জাতীয় রাজনীতিতে চরম ভাবে অস্থিরতা বৃদ্ধি পেয়েছে তার সাথে প্রতিযোগিতায় নেমে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে তথা শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যেমন গত ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া প্রায় তিন মাস ধরে অচল হয়ে আছে। এই নিয়োগে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও নিয়োগ-বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠেছে। এই অভিযোগটি অমুলক নয় এবং আমার সাথে আপনিও নিশ্চয় একমত পোষন করে বলবেন, “বিগত সরকারের আমলেও এরকমটি হয়েছে বা বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকলেও এখনও এমনটি হতো”।

একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা উপাচার্য যদি দূর্ণিতির সাথে সংশ্লিষ্ট হয়ে পড়েন তাহলে তিনি কিভাবে ছাত্রদের নৈতিক শিক্ষা দিবেন? এটা স্বাভাবিক যে তিনি যা করেন বা করবেন তার ছাত্রদেরও তাই শেখান বা শেখাবেন। যখন একজন ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়ে যান তার উপর নিশ্চয় অনেক দায়িত্ব বর্তায়। যেমন তার প্রথম কাজ হবে ছাত্রদের দিক নির্দেশনা দেওয়া বা নৈতিক শিক্ষা দেওয়া বা সরাসরি না হলেও লেখালেখি বা গবেষণার মাধ্যমে সরকারের ভুলত্রুটি ধরিয়ে বা তথ্য দিয়ে সরকারের কাজে সহযোগিতা করা। আর যে শিক্ষকগণ গবেষনার সাথে জড়িত থাকেন তারা গবেষণার মাধ্যমে এদেশকে এগিয়ে নিতে সরকারের সহকর্মী হিসাবে কাজ করতে পারেন। দেশে অনেক সম্ভাবনার পাশাপাশি অনেক সমস্যাও রয়েছে।

যেখানে বিদ্যমান সম্যস্যা সমাধানে সরকারগুলো হিমসিম খেয়ে যায় সেখানে যারা সমস্যা সমাধানে দায়িত্বে থাকবেন তারাই যদি নব নব সমস্যার উদ্বভ ঘটান তাহলে নিশ্চয় দেশের সমস্যা বাড়তেই থাকবে, কমবে না। যতদূর পেপার পত্রিকা থেকে পড়ে জানা যায় ক্ষমতা থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষগণ ব্যাপকভাবে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও নিয়োগ-বাণিজ্যের সাথে জড়িয়ে পড়েন আর সেই বাণিজ্যের পণ্য হয়ে থাকেন তাদেরই উৎপাদিত ছাত্র-ছাত্রী। আর অনৈতিক বাণিজ্য থেকে সৃষ্ট সারপ্লাস থেকে রক্ষিত দূর্ণিতি বৃদ্ধি করে যা সমাজের শান্তি শৃঙ্খলা অরক্ষিত করে তোলে। ছাত্ররাজনীতির এই বাণিজ্যের দুষ্টুচক্র ভাঙ্গতে হলে অবশ্যই সাময়িক সময়ের জন্য হলেও ছাত্ররাজনীতির এই চক্রকে বন্ধ করতে হবে। তা না হলে সংক্রম রোগের মত ছাত্র রাজনীতির অস্থিরতা সংক্রামিত হবে।

যখন কারও সংক্রামিত রোগ হয় তখন তাকে অবশ্যই স্থীর রেখে চিকিৎসাসেবা দিতে হয় অতঃপর সুস্থ করে মনুষ্য সমাজে আসতে দিতে হয় অনুরুপভাবে অসুস্থ সংক্রমযোগ্য ছাত্ররাজনীতিকে বন্ধ রেখে সুস্থ করে আবার কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে দিতে হবে। সকলকে ধন্যবাদ। অনুগ্রহপূর্বক মন্তব্য লিখুন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।