আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হারিয়ে গেলেন ইলিয়াস আলী। (???)

সাড়ে সাত মাসেও কোন খোঁজ নাই গত ১৭ এপ্রিল রাতে নিখোঁজ হওয়া ইলিয়াস আলী এবং তার ড্রাইভার আনসার আলীর। বি এন পি সহ বিরোধী দলগুলো প্রথম কয়েকদিন এ নিয়ে দফায় দফায় হরতালসহ নানা কর্মসূচি দিয়ে মাঠ গরম করলেও এখন কেমন যেন চুপ মেরে গেছে। ইলিয়াসের সন্ধান চেয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে বিশ্বনাথে বিএনপি-জামায়াত দলের সাত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী মামলার আসামি হন। মামলা মাথায় নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানরা ফেরার হওয়ায় সরকার তাদের সাময়িক বরখাস্ত করে। যদিও আদালতের নির্দেশে চেয়ারম্যানরা আবারও দায়িত্ব ফিরে পান।

বিশ্বনাথের পাশাপাশি সিলেট নগরীতেও আন্দোলনকালে বিএনপির আরও কয়েক হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। মামলার কারণে বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মী ফেরারি হলে একপর্যায়ে আন্দোলনে ভাটা পড়ে। নিখোঁজ হওয়ার পরদিন বিশ্বনাথ থানায় ইলিয়াস আলীর বিরুদ্ধে ২ টি মামলা করে আত্মগোপনে চলে যায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা বশরত আলী বাছা। কার পরামর্শে বাছা এই কাজটা করলো তা এখনো পরিষ্কার না। ২২ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সামসুল হক টুকু বলেন, "ইলিয়াস আলীকে আমরা সর্বশক্তি দিয়ে উদ্ধার করবো।

" আমরা এখন সরকারের শক্তি নিয়ে চিন্তিত। প্রধানমন্ত্রী নিজেও "ইলিয়াস আলী আগেও নিখোঁজ হয়েছে, খালেদা ই ইলিয়াসকে লুকায় রাখছে" সহ নানা ধরনের কথা বলেছেন। ২৩ এপ্রিল এক ব্রিফিং য়ে দেশের প্রখ্যাত আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল-হক বলেন "মোর দ্যান শিওর ইলিয়াসকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। " দ্যা গার্ডিয়ান পত্রিকার খবর বের হয় শেখ হাসিনার ইশারায় ইলিয়াসকে গুম করা হয়েছে। এতোসব কথার ফুলঝুরি এখন আর জনগণ শুনতে চায় না।

জনগণ এগুলা শুনে শুনে বিরক্ত। জনগণ এখন কাজ দেখতে চায়। আওয়ামীলীগ দেখা গেলো সারাদেশে পোস্টার লাগাইছে কার্টুন টাইপ এর। খালেদা জিয়া এবং ইলিয়াস আলীর কিছু কথোপকথন দেওয়া হইছে ওইখানে। মানুষের মন কতটা বিকৃত হলে ওইরকম পোস্টার ছাপাইতে পারে এইটা আমি বুঝিনা।

একদিকে ইলিয়াস আলীর পরিবারে চলতেছে শোক। অন্যদিকে সরকারি দলের নেতাকর্মীরা এইটা নিয়ে কথা বলতেছে তাচ্ছিল্ল্যের সাথে। কথাবার্তার পরিমাণ কমিয়ে ইলিয়াস আলীকে উদ্ধারে সিরিয়াসলি কাজ করবে। সাধারন জনগণ সরকারের কাছ থেকে এইটা ই আশা করে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।