কোন কথাটা আগে বলব? চাচাতো ভাইটির লাশ খুঁজে বেড়াচ্ছি আমি। ভাইয়ের লাশ খুঁজে পাওয়াটা যেমন ভাবনার বিষয়, এই মাসের বেতন পাওয়ার ভাবনাটাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয় আমার কাছে। মাসটা যেতে না-যেতেই যে বাড়িওয়ালা এসে দাঁড়াবেন দরজায়। বাড়িভাড়া শোধ করতে না পারলে গাছতলায় গিয়ে দাঁড়াতে হবে। আমি, সৈয়দ আশরাফুল জামান, গার্মেন্টসের লোকেরা কল্লোল নামে চেনে আমাকে।
একা হলে সমস্যা ছিল না কোনো। বাড়িভাড়া দিতে হবে। সারা মাস তো চালিয়েছি বাকিতে চাল-ডাল এনে। দিতে হবে চাল-ডালসহ খেয়ে বাঁচার জন্য বাকিতে যেসব কেনাকাটা করেছি, সেগুলোর দামও।
সারাক্ষণ মনে ভাবনা আসছে।
ভাবছি, সামনের মাসে নতুন একটা চাকরি পাব কি? না পেলে সংসার চালাব কীভাবে? এসব ভাবনা মাথায় এলেই মনে হচ্ছে প্রাণ নিয়ে ফিরে আসাটা বোধ হয় একটু ভুল হলো! আগুনে পুড়ে মরে গেলে এমন কিছু ক্ষতি হতো কি?
বলছিলেন সব হারিয়ে সৈয়দ আশরাফুল জামান.। .। .। .। .।
.। .। .। .।
প্রথম আলোয় এই লেখাটা পরতে পরতে কেন জানি মনে হচ্ছিল আমাদের কি আসলে করার কিছুই নেই? আমরা কি বড় বড় কথা না বলে কাজে বিশ্বাসী হতে পারিনা।
এইতো আর কয়েকটা দিন তারপর আমরা সবাই ভুলে যাব কি ভাবে এই হত্যাকাণ্ড তা হয়েছিল।
আমরা ত ভুলতে বসেছি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের কথা আমরা আর ভুলতে বসেছি হলমার্ক কেলেঙ্কারির কথা।
চুরঞ্জিত(সুরঞ্জিত) এর ৭০ লাখ। কয়টা মনে রাখবেন?
হ্যাঁ তদন্ত কমিটি হবে। কিন্তু রেজাল্ট হবেনা।
তখন শেয়ার বাজারের মত অর্থ মন্ত্রি বলবেন যে যে এখানে কিছু স্পরশ কাতর বাক্তির নাম আছে তাই প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
বিশ্বাস করুন আমরা অসহায় হয়ে পরেছি।
সব শেষে কবর কবিতার দাদুর মত বলতে হবে।
" ওইখানে তর দাদুর কবর ডালিম গাছের তলে তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে"
মনে প্রচণ্ড রকম ক্ষব থেকে কথা গুল বললাম । কোন ভুল হলে ভালবেসে মাফ করে দিয়েন.........
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।