বাংলাদেশে একটি জিনস শার্ট প্রস্তুত করতে যে খরচ হয়, যুক্তরাষ্ট্রে হয় তার প্রায় চার গুণ বেশি। আর বাংলাদেশে খরচ কম হওয়ার মূলে রয়েছে শ্রমিকের সস্তা মজুরি।
ইনস্টিটিউট অব গ্লোবাল লেবার অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস হিসাব করে দেখিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে একটি জিনস শার্ট প্রস্তুত করতে মোট খরচের অর্ধেকেরই বেশি ব্যয় হয় শ্রমিকের পেছনে। একই শার্ট বাংলাদেশে প্রস্তুত করতে মোট খরচের মাত্র ৬ শতাংশ ব্যয় হয় শ্রমিকের পেছনে। ওপরের সিএনএন গ্রাফিকসে সেই বিষয়টিই তুলে ধরা হয়েছে।
কিংবা ধরা যাক একটি পোলো শার্টের কথা। কানাডার পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ওরুরেক গ্রুপ ২০১১ সালে একটি হিসাব দিয়েছিল। তাতে দেখানো হয় যে কানাডীয় খুচরা বিক্রেতারা বাংলাদেশ থেকে একটি পোলো শার্ট প্রস্তুত করাতে ব্যয় করে পাঁচ ডলার ৬৭ সেন্ট। আর তা বিক্রি করে ১৪ ডলারে।
এই ১৪ ডলার বিক্রয়মূল্য দাম নির্ধারিত অন্তত ৬০ শতাংশ মুনাফা যোগ করে।
আরও কিছু অপ্রকাশ্য ব্যয়ও এখানে যুক্ত হয়। ধরা হয়। অথচ প্রতিটি পোলো শার্টের জন্য বাংলাদেশি শ্রমিক পান মাত্র ১২ সেন্ট। পাশের গ্রাফিকসে বিষয়টি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
শ্রমিককে নামমাত্র মজুরি দিয়ে উৎপাদন ব্যয় কমানো ও চড়া মুনাফা করার প্রবণতা নতুন নয়।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা অ্যাকশনএইডের ২০০৭ সালের এপ্রিলে এক সমীক্ষা প্রতিবেদনে এ রকম একটি চিত্র তুলে ধরা হয়েছিল। এতে হিসাব দেখানো হয়েছে যে বাংলাদেশের তৈরি একটি টি-শার্ট যুক্তরাজ্যের সুপার মার্কেটে (অ্যাসডা বা টেসকো) যে খুচরা মূল্যে বিক্রি হয়, তার ৭০ শতাংশই যায় ওই সুপার মার্কেট বা আমদানিকারক ও বিক্রেতার পকেটে। রপ্তানিকারক পায় সর্বোচ্চ ২৭ শতাংশ। অবশিষ্ট ৩ শতাংশ হলো শ্রমিকের পাওনা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।