আমি যা বলতে চাই... সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের অংশীদার হতে জার্মান সরকারের আগ্রহের কথা পুন:ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত আলব্রেখ কনসে।
দুদিন ধরে চট্টগ্রামের বিভিন্ন জেলা পরিদর্শন শেষে বুধবার দুপুরে নগরীর একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে একথা জানান তিনি।
গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করলে বহির্বিশ্বের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগাযোগ আরো বাড়বে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের জন্য চট্টগ্রাম উপযুক্ত স্থান। তাই জার্মান সরকারের আগ্রহ রয়েছে। ’ এর আগেও জামার্ন রাষ্ট্রদূত তাঁর সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্পসহ অবকাঠামো ও পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগের পাশাপাশি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে ছিলেন।
জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশে গভীর সমুদ্র্রবন্দর নির্মাণে জার্মান সরকার অংশীদার হতে চায়। বাংলাদেশ সরকার চাইলে জার্মান যেকোনো ধরনের কাজে অংশীদার হবে। ’
চট্টগ্রামকে ব্যবসা ও পর্যটনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান বলেও উল্লেখ করেন এ কূটনীতিক। এ ছাড়া টানেল নির্মাণের বিষয়ে চট্টগ্রামের সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এম মনজুর আলমের সঙ্গে আলাপ হয়েছে বলে জানান তিনি।
আলব্রেখ কনসে বলেন, ‘দুদিন ধরে চট্টগ্রাম বন্দর, কক্সবাজার, রাঙামাটি ও বান্দরবান ভ্রমণ করেছি।
এখানকার পরিবেশ খুবই সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর। এ জায়গাগুলো ব্যবসা এবং পর্যটনের জন্য খুবই উপযুক্ত স্থান। ’’
জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ মানসম্পন্ন জাহাজ তৈরি করছে। চট্টগ্রামে এসে আমি বিভিন্ন জাহাজ নির্মাণ শিল্প কারখানা পরিদর্শন করেছি। এ কারখানায় তৈরি জাহাজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে।
জার্মানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক পুরোনো। বাংলাদেশের যেকোন ধরনের সমস্যায় এগিয়ে এসেছে। ভতিষ্যতে এ সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে। ’
সম্প্রতি আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ড ও চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে ফ্লাইওভার দুর্ঘটনায় জার্মান সরকার শোক প্রকাশ করেছে বলে তিনি জানান। পোশাক ক্রেতা ও প্রস্তুতকারকদের সামাজিক দায়িত্ব রয়েছে মন্তব্য করে এ দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে জার্মানের অনারারি কনসাল মির্জা শাকির ইস্পাহানি ও প্রেস ও রাজনৈতিক উপদেষ্টা মুজতোবা আহমেদ মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।