আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমেরিকা পরমাণু বোমা মেরে চাঁদ উড়িয়ে দিতে চেয়েছিল-আর কোথায় তারা বোমা মারবে !!

আমেরিকা ! আমেরিকা ! বিশ্বের অশুভ শক্তির নাম। তাদের কলঙ্ক এখন আর চাপা দেয়ার নয়। বিশ্ববাসীর কাছে সুস্পষ্ট। বিশ্বের দেশে দেশে মানবতার নামে গণতন্ত্রের নামে তাদের অমানবিক আচরণ এবং পরমাণু বোমা হামলার জুজুর ভয় তারা ছোট ছোট দেশগুলোর দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। আর তাদের দোসর ইসরাইল তো তাদের অপকর্মের দোসর সাথী।

আমেরিকার কত বড় স্পর্ধা তারা চাদকেও পরমাণু বোমা মেরে উড়িয়ে দিতে চেয়েছিল। শেষ মেষ আর কোথায় তারা বোমা মারতে চায় ! ১৯৫০-এর দশকে পরমাণু বোমা মেরে চাঁদ উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল আমেরিকা। ঠাণ্ডা যুদ্ধের সময় মহাকাশ গবেষণা প্রতিযোগিতা নিয়ে নিজের শক্তি দেখানোর জন্য আমেরিকা এ জঘন্য পরিকল্পনা নিয়েছিল। গোপন এ প্রকল্পের নাম দেয়া হয়েছিল 'এ স্টাডি অব লুনার রিসার্চ ফ্লাইট' এবং এর ছদ্মনাম ছিল 'প্রজেক্ট A119' তবে, এ প্রকল্প কখনই বাস্তবায়ন করা হয়নি। মার্কিন এ পরিকল্পনায় তখনকার তরুণ গ্রাজুয়েট ছাত্র জ্যোতির্বিদ কার্ল স্যাগানকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।

বিস্ফোরণের পর চাঁদের ধুলোবালি ও গ্যাস তৈরির প্রবণতা কি হবে তা নির্ধারণ করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল স্যাগানকে। ডেইলি মেইল এ গোপন পরিকল্পনার খবর ফাঁস করে দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে পদার্থবিদ লিওনার্দ রেইফেল বলেন, আমেরিকা মনে করেছিল- পৃথিবী থেকে পরমাণু বোমার এ বিস্ফোরণ দেখে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভীত হয়ে পড়বে। স্পুতনিক উতক্ষেপণের পর মার্কিন বিজ্ঞানীদের মনে এক ধরনের আস্থাও তৈরি হয়েছিল। ওই পরিকল্পনার আওতায় অজ্ঞাত স্থান থেকে মার্কিনিরা একটি ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে পরমাণু বিস্ফোরক পাঠাতে চেয়েছিল এবং পরিকল্পনা ছিল, এ ক্ষেপণাস্ত্র দু'লাখ ৩৮ হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে চাঁদের বুকে বিস্ফোরিত হবে।

এ জন্য পরিকল্পনাকারীরা হাইড্রোজেন বোমার বদলে অ্যাটম বোমা ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন। কারণ তারা মনে করছিলেন- হাইড্রোজেন বোমা ওই ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য অনেক বেশি ভারি হয়ে যাবে। তবে, মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা পরিকল্পনাটি বাতিল করে দিয়েছিলেন এই বলে যে, যদি এ মিশন ব্যর্থ হয় তাহলে পৃথিবীর মানুষের জন্য তা অনেক বেশি বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। রেইফেল জানান, সে সময়কার বিজ্ঞানীরা চাঁদের বুকে ভয়াবহ তেজস্ক্রিয়তার বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন  ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।