আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যুবলীগের উৎকৃষ্ট উদাহরন হচ্ছে রানা

চায়নায় পড়ার জন্য ০১৬৮৪৪৪৩০৮৬, ০০৮৬১৩৭১৯২৭৫০৪৬ www.xueonline.info যুবলীগের উৎকৃষ্ট উদাহরন হচ্ছে রানা। সাভারে তিনশত শ্রমিকের উপর মারা গেল ভবনের নকশানীতি না মেনে ভবন তৈরি করার কারনে। আর এই নকশানীতি না মানার যে সাহস তার কারন হচ্ছে ভবনের মালিক একজন যুবলীগের সভাপতি । এখন একজন প্রকৌশলী আসবে, এবং সরকারি বিভিন্ন পরিদর্শক আসবে ভবনটি পরিদর্শন করার জন্য। কিন্তু পরিদর্শন করে বলতেও পারবে না ভবনটি নকশানীতি মানে নি।

ত কি লাভ এইসব ক্ষমতাধর ব্যাক্তিদের বিপক্ষে গিয়ে? উল্টা যদি কিছু লাভ হয় তাই ভালো। কারন যুবলীগের সভাপতি, তার আছে দলবল, একটি উচ্চবাচ্য হলেই হলো, কতগুলো যুবলীগ কর্মী আসবে বাসায় উঠিয়ে নিয়ে যাবে, কেন মনে নেই এই যুবলীগ এবং ছাত্রলীগকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে আমাদের প্রধানমন্ত্রী এদের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিল, তার তুলনায় এই সরকারি লালন পালনে যারা আছে তারা আর কি করবে? সরকারি ক্ষমতা যতই হোক যুবলীগের পেশীশক্তির কাছে এসব কিছু না। কারন পেশীশক্তির যদি উদাহরণ দেওয়া দরকার হয় শুধু বর্তমান বাংলাদেশের চারদিকে তাকালেই বুঝা যাবে কি হচ্ছে। এই যুবলীগ ঢাকার গুলিস্তানের কত দোকানে চাদাঁবাজি করে তার প্রত্যক্ষ সাক্ষী ত আমি নিজেই। যদি মনে করেন আপনার কোনো দোকান দখল করার প্রয়োজন হয় তাহলে শুধু ঐ যুবলীগদের কাছে যাবেন বিচার নিয়ে, বিচার না মানে টাকা দিবেন ত বিচার আপনার পক্ষে যাবে, কিন্তু মনে রাখনবেন এখানে টাকাই প্রধান, যদি কেউ আওয়ামিলীগও করে তাতে কোনো লাভ নেই, কারন দেখা যাচ্ছে একজন আওয়ামিলীগ করে কিন্তু টাকা দেই নাই এবং ন্যায়বিচার করলে এই লোকটিই জিতবে, আবার দেখা যাচ্ছে আরেকজন বিএনপি করে কিন্তু সে টাকা দিয়েছে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের যুবলীগকে ব্যাস কোনো কথা নাই দোকান এই লোকেরই হবে।

আরেকটা ঘটনা, দুইজনের জমি মাঝখান দিয়ে রাস্তা হবে, নিয়ম হলো দুই জমি থেকে সমান পরিমান জমি নেওয়া হবে, ত দেখা গেল যে একজন জমিতে আসতে পারে না তার বিভিন্ন ব্যস্ততার কারনে, তাই সে শুধু টাকা দিয়ে রাস্তা তৈরি করার জন্য সাহায্য করছে, এই সুযোগ বুঝে আরেক জমির মালিক কি করল সম্পূর্ণ রাস্তাটা ঐ লোকের জমি দিয়ে নিল। এই প্রথম জমির মালিক এসে দেখে তার কোনো জমি নাই আছে শুধু রাস্তা, সে এর প্রতিবাদ এবং সংস্কার করে রাস্তা সরিয়ে নিতে গেলে যুবলীগের কর্মীরা আসে যে রাস্তা সরানো যাবে না। আল্লাহ মনে হয় আমাদের জ্ঞানবুদ্ধি নিয়ে গেছেন, কারন আমরা এইসব দলের কোনো প্রতিবাদ করি না উল্টো এদেরকে টিকিয়ে রাখার জোর আবেদন জানাই। আর বলি এসব দল না থাকলে আমাদের দেশে গনতন্ত্র থাকবে না। এতদিনের অত্যাচারের প্রতীক স্পষ্ট হয়েছে এই সাভারের বহুতল বিল্ডিং ধ্বসের মাধ্যমে।

কিন্তু আমরা শুধু ঐ রানা মিয়ারে লয়েই আছি, আমাদের আসলে এই পুরা দলটাকে নিয়ে প্রশ্ন করা উচিত কিন্তু আমি জানি আমরা করব না কারন আমাদের অনেকেরই স্বার্থেই টান লাগতে পারে। সারমর্ম হচ্ছে অতিস্ত্বর এই রানাকে গ্রেফতার করা হোক, শুধু তার ভবনের জন্য নয় আরো যত প্রকার অপরাধে অভিযুক্ত সেগুলোর একটা একটা করে বিচার করা হোক, আর এই যুবলীগ, ছাত্রলীগ সবচেয়ে ভালো হয় যদি বন্ধ করা যায়, যদি বন্ধ না করা যায় তাহলে এর মধ্যে বিরাট আকারে সংস্কার করে এর কাঠামো ঠিক করা । যদি তাও না করা যায় তাহলে এককাজ করি দেশের সবাই মিলে একটা একটা গ্রুপ বানাই আর পেশীশক্তির অপব্যাবহার করে যে যত পারি ভবন নির্মাণ করি , ভবন যেভাবে ইচ্ছা করতে পারবেন কোনো সমস্যা নাই, কারন গ্রুপের পেশীশক্তি ত আছেই ভবনের কোনো ক্ষতি হলে অথবা ভবনের কারনে যদি কারও ক্ষতি হয় তাহলেও কোনো সমস্যা নাই, কে কি করবে? আমরা কাউকে ভয় করি নাকি? আমাদের কারনে দেশের নেতারা এখনও টিকে আছে, আর তারা ত আমাদেরকে বাচাবেই...................এই আর কি ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.