আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চট্টগ্রামে আবার ফ্লাইওভার ধ্বস ও শতাধিক মানুষের মৃত্যুঃ আমাদের কি বাচার অধিকার নেই???

পেতে চাই সত্যের আলো, হতে চাই বিশ্বাসীদের একজন আপডেটঃ আগামীকাল এর প্রতিবাদে সকাল সাড়ে এগারটায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সভা হবে। সবাই যোগ দিন। এই সেই প্রাণবিনাশী গার্ডার। ‘চট্টগ্রামের উন্নয়নকে একমাত্র আওয়ামী লীগই প্রাধান্য দেয়’ এ মন্তব্যের মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রী শুরু করেন ২৮ মার্চ ২০১২ মহাসমাবেশের বক্তব্য। তা দেয় বটে।

তাইতো ১৫০ কোটি টাকার উড়াল সড়ক কাজ শেষ হওয়ার আগেই মাথার উপরে ভেঙ্গে পরছে একাধিকবার। জনদুর্ভোগ ছাড়া এই প্রকল্প আর কিছুই বাড়ায় নাই(http://www.youtube.com/watch?v=1odu92kEJbE)। তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আবার নির্মানাধীন ফ্লাইওভারের তিনটি গার্ডার ধ্বসে পরে। শাহ আমানত সেতুর সংযোগ সড়কের বহদ্দার পুকুর পাড়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। বাড়ছে মৃতের সংখ্যা কোন ক্যাপশান খুজে পেলাম না ফ্লাইওভারের নিচে চাপা পরা এক হতভাগ্যের লাশ ফ্লাইওভারের ভেঙ্গে পরা অংশের নিচ থেকে লাশ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবদুল মান্নান রাত সাড়ে ১০টার দিকে জানান, এ ঘটনায় এ পর্যন্ত তিন জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

উদ্ধারকাজ চলছে। তিন জন???!!! এট কি মশকারী??? আমরা কি ঘাস খাই??? কেন এ কথা বলছি? তাহলে নিচের অংশটুকু পড়ুন। ওই ফ্লাইওভারের পাশেই শাহ আমানত ডেকরেটরস। প্রতিষ্ঠানটির মালিক শাহ হাজি মো. বখতেয়ার বলেন, তিনটি গার্ডার পরপর ভেঙে পড়তে দেখেছি। আমার ধারণা এগুলোর নিচে ৬০ থেকে ৭০ জন চাপা পড়ে থাকতে পারে।

স্থানীয়রা বলছেন, নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারটির নিচ দিয়ে প্রতিদিন বিকালে অসংখ্য মানুষ চলাফেরা করে। বিশেষ করে গার্মেন্ট শ্রমিক। তাছাড়া তরকারি ব্যবসায়ীরাও প্রতিদিন এর নিচে বসে বেচাকেনা করেন। ফলে গার্ডারের নিচে তাদের অনেকেই চাপা পড়ে থাকতে পারে বলে তাদের ধারণা। প্রকৃত অবস্থা বোঝানোর জন্য ফেসবুক থেকে কিছু কমেন্ট তুলে দিচ্ছিঃ Rajkumar Das আমি গেছিলাম দেখতে।

আমাদের বাসার কাছেই ৮ টা লাশ এনে রাখছে শুনলাম। পুলিশ বিক্ষুব্ধ জনতাদের কে সরাতে চাচ্ছে, পারতেছে না। Nazmul Hoque এইমাত্র কথা বললাম এক প্রত্যক্ষদর্শীর সাথে....কাঁপছিলেন উনি....শুধু দেখেছেন ফ্লাইওভারের পতিত হওয়া ব্লকের নিচে চাপা পড়া অনেক মানুষের পা,.....তাদের বেশীর ভাগ ই রাস্তার পাশে বসা হকার আর গার্মেন্টস থেকে ফেরা অনেক নারী শ্রমিক. Obujh Temperierten আমি ঘটনাস্থল থেকে ঘুরে আসলাম, উদ্ধারের জন্য ক্রেন দেখলাম ২ টা, আর পুলিশ, র্যা ব, আর্মি, দাঙ্গা পুলিশের গাড়ি দেখলাম ৫০ টার বেশি যাচ্ছে। বিবেকবান মানুষের উপর ছেড়ে দিলাম, কত মানুষ মরতে পারে তার হিসেব করতে। তবে যদ্দূর যা বুঝলাম নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ১০০ হবে।

কারণ যে জায়গায় গার্ডার ভেঙ্গে পড়েছে জায়গাটা সব সময় লোকে লোকারন্য থাকে। তাছাড়া এক একটা গার্ডারের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। গার্ডার ভেঙ্গে পড়েছে ৩টি। ৩*১৫০ মিটার= ৪৫০ মিটার। এবার আপনি চিন্তা করেন, ৪৫০ মিটার জায়গার মধ্যে কত মানুষ নিহত হতে পারে।

এরপরও কেউ বুঝতে না পারলে বলে দেই ১ মিটার= ৩.২৮ ফুট। অর্থাৎ প্রায় দেড় হাজার ফুটের কাছাকাছি দৈর্ঘ্য। এদিকে রাত পৌনে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরো এক জনের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন চমেক হাসপাতাল ফাঁড়ির নায়েক আব্দুর রহমান। এবং মিডিয়াঃ দুর্ঘটনার শিকার একজনের স্ট্যাটাস থেকে ""বিশ্বাস হচ্ছেনা বেঁচে আছি, সুস্থ আছি। নারকীয় তান্ডব এর মধ্যে ছিলাম।

আমাদের বহনকারী বাসটাকে ভেঙে দিয়েছে। আমরা চার বান্ধবীর মধ্যে তিনজন চলন্ত গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে বেঁচেছি। একজন নামতে পারেনি। ওর কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিলাম। এখন খবর পেলাম, গাড়ি ভাঙ্চুরের মধ্যে পরে ওর অনেক জায়গায় কেটেছিড়ে গেছে, ব্যাথা পেয়েছে খুব।

ওয়েলফুড থেকে দশ কদম দূরে একটা গ্যারেজ কাম দোকানে আটকা পড়েছিলাম। আমাদের সামনেই ওয়েলফুড গুড়োগুড়ো করে ফেললো। সাধারণ গাড়িতো আছেই, দমকল, পুলিশের গাড়ি আর এম্বুলেন্সও ভাঙা হয়েছে। আগুন লাগিয়ে দিয়েছে গাড়িতে, দোকানে। পুলিশ টিয়ার সেল আর গুলি ছুড়েছে বৃষ্টির মতো।

টিয়ার সেল কতটা ভয়ঙ্কর আজকে টের পেলাম। চোখ জ্বলুনী আর মাথা ছিড়ে যাচ্ছে যন্ত্রণায়। নেটওয়ার্ক নেই, অসহ্য অবস্থা। আমরা যেখানে আশ্রয় নিয়েছিলাম, ওদেরই একটা ছেলের পা চাপা পড়ে আছে ফ্লাইওভারে। বহু কষ্টের পরও পা টা বের করতে না পারায়, ছেলেটা পা কেটে তাকে বাঁচানোর জন্য আর্তনাদ করছে।

অবশেষে সবাই সেটাই মেনে নিলো। এই অবস্থার অনুভূতিটা যে কি ভয়ঙ্কর তা বর্ণনাতীত। সবাই পাগলের মতো কল করছে। আব্বু আটকে আছে মুরাদপুর। দাঙ্গা পুলিশ নামার পর পিকেটার রা একটু সরা মাত্র অনেকখানি পথ হেটে আব্বুকে পেলাম।

রাস্তার পরিস্থিতি এত ভয়ঙ্কর! দূর্ঘটনার আধাঘন্টার মধ্যে কমপক্ষে সত্তরজন মারা গেছে বলে নিশ্চিত খবর পেয়েছি। বাসায় ফিরে টিভিতে দেখছি নিহত দুই/পাঁচ, আহত পঞ্চাশ!!! ধিক মিডিয়া!" সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় দুর্ঘটনার ফলাফল এখনও পর্যন্ত নাকি নিহত সাত ( কেউ কেউ ৩/৪/৫ জনও প্রচার করছেন!!!!) সাথে হতাহত বেশ কয়েকজন, আর চাপা পড়ে আসে ২০ জনের মত!!!! এক একটা গার্ডার ১৫০ মিটার করে ৩টা গার্ডার এ মোট ৪৫০ মিটার জায়গা, আর সেই জায়গাটাতে বহদ্দার পুকুর পাড়ে সন্ধ্যার পর না হলে ৩০-৪০ জন মানুষ নিয়মিত আড্ডা দেয়, সাথে এখন আছে কাঁচা বাজার... বাজার করতে আসা মানুষজন মিলে আর নয়া হয় ৪০-৫০ জন, হাঁটারত থাকেন আরও কমপক্ষে ৪০-৫০ জন ( নিজের মনকে বুঝ দেওয়ার জন্য আমি কিছুটা হলেও কম লিখসি ওই মুহূর্তে ওখানে অবস্থান করার মত আনুমানিক মানুষের সংখ্যা!!! ফ্লাইওভার এর কাজ শুরু হওয়ার পর অসংখ্য মানুষের শর্টকাটে বহদ্দারহাট যাওয়ার রাস্তা দুর্ঘটনাস্থলের ওই জায়গাটা...), সেখানে প্রসাশন আর মিডিয়ার প্রচার করা সংখ্যাটা কিসের ভিত্তিতে বলা সেটা নিয়ে কি প্রশ্ন আসেনা? থেঁতলে যাওয়া লাশগুলোও কি স্বজনেরা পাবেনা??? **চুন্নী সাহার এটিএন বাংলায় মৃতের সংখ্যা ৬ জন! **প্রথম আলোর মতি তার ওয়েব সাইটে দেখাচ্ছে ৩ জন ! ফ্লাইওভার নিয়ে দুর্নীতি ব্লগার এস বাসারের কমেন্ট থেকেঃ বাংলাদেশের সব রোড/ব্রিজ/ওভারব্রিজ/ফ্লাইওভার এভাবেই তৈরী হয়!!! যত টাকার টেন্ডার হয়, তার ১৫-২০% ব্যয় হয় মূল কাজে। আর বাকী ৮০-৮৫% এর মধ্যে মন্ত্রী/এমপি/প্রকল্প পরিচালক/ডিজি/ইন্জিনিয়ার , নেতা-পাতি নেতারা নিয়ে নেয় ৬০-৬৫%। এবং ঘুরে ফিরে প্রফিট হিসেবে ১০-১৫% পায় টেন্ডার দাতা। আমার হিসেবটা আনুমানিক নয়, প্রত্যক্ষভাবে একটা সরকারী কাজ খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছিলাম এবং আমার এক বন্ধু দীর্ঘদিন থেকে এসব কাজের সংগে জড়িত থাকায় তার জবাববন্দিতে আমি এসব জেনে জাস্ট তব্দা মেরে গিয়েছিলাম।

বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারে মনে হয় ১৫-২০% টাকার চেয়েও কম মানের কাজ হচ্ছে!!! দেখুন জনৈক চুয়েট ছাত্রের স্ট্যাটাসঃ আমাদের ০৬ এর এক ভাইয়ার last year এর PROJECT ছিল বদ্দারহাট Flyover. তিনি PROJECT এ বলেছিলেন, Flyover টি ভেঙ্গে পড়বে। এই Flyover এর উচ্চপর্যায় এর কয়েকটা Engineer ( যারা ও CUET থেকে পাশ করা ) এর সাথে এই বেপার নিয়া তার ঝামেলাও হয়। ঐ বড় ভাইয়া আজ দুপুর ২ টায় দুইটা কিডনিই নষ্ট হয়ে মারা যান । আর আজ সন্ধ্যা ৭.৩০ এ Flyover টা ভেঙ্গে পড়লো । এবং একটি গল্পঃ রড এর জন্য ১ কোটি সেঙ্কশন হইছে --৪০ লাখ সরায় রাখ।

আপনের টা ওই একাউন্টে জমা দিবো? - হ, জমা দিয়া রাতে বাসায় আসিছ। নেতার টা? -- ক্যাশ নিয়া বিকালে তার বাসায় যাবো, অনেক দিন দেখা সাক্ষাৎ নাই। তার পি.এ জমা দিয়া দিবে। রড এত কমছে বস, স্ট্রাকচার হালকা হইয়া যাইবো মনে হয় -- কিছু করার নাই, না খাইয়া মরুম নাকি ? ভাইঙ্গা পড়লে তো..... -- তোর টা পাবি, টেনশন লস কেন....মরলে পাবলিক মরবো, তুই আলগা টেনশন লস... যা ১ প্যাকেট বেনসন লইয়া আয়.... সংশ্লিষ্টদের প্রতিক্রিয়া এ ব্যাপারে যোগাযোগের চেষ্টা করে সিডিএর চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম কিংবা প্রকল্প পরিচালক ও সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী এ এ এম হাবিবুর রহমানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। নির্বাহী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান বারবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

আর সিডিএর চেয়ারম্যান ফোন ধরেন নি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মির আকতার-পারিসা (জেভি) উড়াল সড়কটি নির্মাণ করছে। প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবদুর রাজ্জাকের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সূত্রঃপ্রথম আলো কলিজা [Img|http://sphotos-e.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-ash4/319034_484292471594107_668382267_n.jpg] অবশেষে মানুষের কলিজাও দেখা হল!! গরু-ছাগল কিংবা মুরগীর কলিজা নয়, এ সৃষ্টির সেরা জীব মানুষের কলিজা। আওয়ামীলীগ সরকার আমাদেরকে মানুষের কলিজাও দেখালো অবশেষে।

আর কি বাকি আছে সরকার মহাশয়? ২৯ জুনের গার্ডার ভেঙ্গে মানুষ কেন মরেনি এজন্য কি আজকে একসাথে দানবাকৃতির তিনটি গার্ডার নিরীহ জনগণের উপরে ছেড়ে দিলেন মাননীয় ডিজিটাল সরকার? এই উড়াল সেতুতো আপনার দলের নেতা সিডিএ চেয়ারম্যান সালাম সাহেব এবং প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর সাত্তার টিংকুর মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দিয়ে চলছিল তাই জিজ্ঞাসা করলাম। ছবিঃ নগরীর বহদ্দারহাটের অদূরে খাজা রোডে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের ৩টি গার্ডার ভেঙে নিহত এক হতভাগার। ছবি বীভৎস হওয়ায় বেশিরভাগ অংশ ঢেকে দেয়া হল। জনতার ভীড়, পুলিশের গোলাগুলি এবং মিডিয়ার ক্যামেরা বিক্ষুব্ধ জনতা গার্ডার ভেঙে পড়ার পর বিক্ষুব্ধ জনতা ফ্লাইওভারের নির্মাণসামগ্রী ও সরঞ্জামে আগুন ধরিয়ে দেয়। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবদুল মান্নান পৌনে ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা সেনাবাহিনীকে খবর দিয়েছি।

আশা করছি কিছুক্ষণের মধ্যেই উদ্ধার তৎপরতা শুরু হবে। ” রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে বহদ্দারহাট মোড় ও নতুন চাঁদগাঁও থানার সামনে ফের বিক্ষোভ শুরু হলে পুলিশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এ সময় বিক্ষুব্ধরা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের গাড়িসহ বেশকিছু যানবাহন ভাঙচুর করে। ভাঙচুর হওয়া যানবাহনের মধ্যে রয়েছে- ফায়ারসার্ভিসের একটি, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের (রাজস্ব) জিপ ও অ্যাম্বুলেন্স। এ ছাড়া আরো ৮ থেকে ১০টি মোটর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।

উত্তেজিত জনতার অভিযোগ পুলিশ লাশ লুকিয়ে ফেলার জন্য পাবলিকের সাথে সংঘর্ষ করছে। জানুন হাসপাতাল থেকে বহদ্দার হাটের দুর্ঘটনায় বাকরুদ্ধ । ১২টা পর্যন্ত হাসপাতালে ছিলাম । একের পর এক আহত মানুষ ঢুকতেসে ,অবস্থা দেখে হতাশ !হসপিটালে যখন ছিলাম তখন রাত ১১ টার দিকে আহত এক পুলিশ কনস্টেবলকে ক্যাজুয়াল্টি ওয়ার্ডে আনা হল । তার বাম পায়ের উরুতে গুলি খাইসে ,ক্রমাগত ব্লিডিং হচ্ছে ।

জানাল দুর্ঘটনার স্থানে হঠাত একদল মানুষ সাধারন জনগণকে উস্কানি দিয়া পুলিশের সাথে দাংগা বাঁধায় দিসে ,পাবলিক পুলিশ পিটাইসে !কথা হচ্ছে সাধারন জনগনের কাছে বন্দুক আসলো কোত্থেকে ?বাংলাদেশের সাধারন জনগন কি ইদানিং বন্দুক নিয়া রাস্তায় চলাফেরা করে নাকি ??নাইলে পুলিশরে গুলি করল কে ??আরও গুজব ছড়ান হচ্ছে সরকার নাকি ঘটনাস্থল থেকে লাশ গুম করার চেষ্টা করতেসে !আবার ঐদিকে গাঞ্জাম লাগায় দিয়া উদ্ধারকারী দলকেও ঠিক মতো কাজ করতে দিতেসে না !কাহিনী কি ??একটা মর্মান্তিক দুর্ঘটনাকেও পুঁজি করে এর ভিতর থেকে চান্স নেওয়ার নোংরামি শুরু হইল !! আগেও একবার ধ্বসে পড়ছিল এই ফ্লাইওভার প্রথমবার ফ্লাইওভার ধ্বসে পরার পর-১ প্রথমবার ফ্লাইওভার ধ্বসে পরার পর-২ কিছুদিন আগেও একবার একটি গার্ডার ভেঙে পড়েছিলো এই ফ্লাইওভারের। কিন্তু কেউ নিহত বা আহত না হওয়ার কারণে এই ঘটনার পরে কোন প্রতিক্রিয়া হয়নি। মানুষ ভুলে গিয়েছিলো সেই ঘটনা। কিন্তু আজ চলে গেলো অনেকগুলো তাজা প্রাণ। তাদের কি দোষ ছিলো? এভাবে অনভিজ্ঞ ও চোর বাটপারদের হাতে এতো বড় একটা কাজ সরকার তুলে দিতে তাদের কি একবারও বিবেকে বাঁধা দেয়নি? এভাবেই কি আমাদের সরকার জনগণের উন্নতি করতে চাই? এসব প্রশ্নের কোন দাম এখন আর নেই।

কারণ এসব প্রশ্নের উত্তরও আর কখনো মিলবেনা, চলে যাওয়া তাজা প্রাণগুলোও আর ফিরে পাওয়া যাবেনা। ফুঁসে উঠেছে জনতা, সিডিএ চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি: এই লোকই সিডিএর দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান এম এ ছালাম ফ্লাইওভার নির্মাণকাজের জন্য দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে নগরীর বড় একটি অংশের মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছিলেন। রোদ-বৃষ্টিতে কাদা-পানি, যানজট আর ধুলোঝড়ে কাহিল অবস্থা তাদের। নির্মাণকাজে ধীরগতি, আরাকান সড়কের বেহাল দশায় অতিষ্ঠ যাত্রী ও পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা মানববন্ধন, সভা-সমাবেশ ইতিমধ্যে সড়কের কাদাপানিতে ধানের চারা রোপণ ও কই মাছ ছেড়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। ফ্লাইওভার নির্মান কাজে ত্রুটি ও ধীরগতি কারনে রাস্তার বেহাল দশা।

এরই প্রতিবাদে রাস্তায় ধানের চারা রোপন সব মিলিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা ও এলাকাবাসী গার্ডার ভাঙার পরপরই রাস্তায় নেমে আসে। তারা সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের পদত্যাগ দাবিসহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। এই প্রকল্প কি যাঞ্জট কমাতে পারবে?কেন এই প্রকল্প? নিচে চাপা পড়া লোকজনকে উদ্ধারে জনতার প্রচেষ্টা বুহদ্দারহাট নগরীর অন্যতম ব্যস্ত এলাকা। যানজট এখানকার প্রতিদিনের ব্যাপার। প্রশ্ন হল, যদি ঠিক মত বানানোও হয়, এটা কি যানজট কমাতে পারবে? নগর পরিকল্পনাবিদরা বলতেছেন, পারবে না।

পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ছাড়া আর কোনো উপায়েই যানজট কমানো যাবে না। এরপরেও এইসব বড় বড় বাজেটের প্রকল্প দ্রুত পাস হয় সব সরকারের আমলেই। কারণ প্রকল্প বড় মানেই বেশি টাকা, বেশি লাভ। কিন্তু নুন্যতম রেখে থুয়ে লাভ করার মানসিকতা সরকারের নাই। ফ্লায়োভার বানালো ১৫০ কোটি টাকা দিয়ে, এখন ওটা ভেঙ্গে ফেলতে কত টাকার টেন্ডার হবে? মনে হচ্ছে পুকুর কাটা ও ভরাট করার প্রকল্প বছর বছর চালু থাকবে।

কিন্তু মাঝে দিয়ে যাদের জীবন গেল, তারা কি ফিরে আসবে কোনদিন পরিবারের কাছে? ভেবে অবাক হয় ফ্লাইওভারে গাড়ি উঠার আগেই যদি এই অবস্থা হয় তাহলে ভবিষ্যতে কি হবে? কোন সভ্য দেশে এই ঘটনা হলে জনগণের জানমাল নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অপরাধে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এবং ইঞ্জিনিয়ার এর ফাসি হয়ে যেত, আফসোস আমাদের দেশে কিছু হবেনা! এত নিম্নমানের কাজ কিভাবে মানুষ করতে পারে? বছর বিশ কি ত্রিশ আগে, ইরানে একটা (চলমান) ব্রীজ ভেঙ্গে নদীতে পড়ে এক গাড়িচালক মারা গিয়েছিল। ফলে, ঐ ব্রীজের ঠিকাদার আর ইনজিনিয়ার, এই দুইজনকে ফায়ারিং স্কোয়াডে গুলি করে মৃত্যুদন্ড প্রদান করা হয়েছিল। আমাদের দেশে একখানি নির্মাণাধীন ফ্লাইওভার, পরপর দুইবার ভেঙ্গে পড়েছে। প্রথমবার ভেঙ্গে পড়ার পরও সৌভাগ্যবশত কেউ নিহত হয়নি। ঠিকাদার পরিবর্তন হয়েছিল কি না জানি না।

কিন্তু, এবার ১০০ কি ১৫০ সাধারণ মানুষ মারা যাওয়ায় দেখা যাক সরকার কি সিদ্ধান্ত নেন। ***উল্লেখ্য সিডিএর তত্ত্বাবধানে প্রধানমন্ত্রী শেখে হাসিনা ২০০৯ সালের বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারসহ পাঁচটি ফ্লাইওভারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১ দশমিক ৩৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এ ফ্লাইওভারের ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৬ কোটি টাকা। পারিশা এন্টারপ্রাইজ ও মীর আক্তার এন্টারপ্রাইজ নামের দুটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এই নির্মাণ কাজ করছে।

লাইভ আপডেট পাওয়ার জন্য এখানে ক্লিক করুনঃ তথ্যসুত্রঃ **http://bdnews24.com/bangla/details.php?cid=2&id=211625&hb=top#.ULDefPhIBuw.facebook **https://www.facebook.com/proudofCTG1/posts/411163872286810 **https://www.facebook.com/photo.php?fbid=411184002284797&set=a.200389050030961.48555.200368056699727&type=1&relevant_count=1&ref=nf **https://www.facebook.com/photo.php?fbid=484292471594107&set=a.280898975266792.68783.280811465275543&type=1&relevant_count=1 **https://www.facebook.com/photo.php?fbid=10151338719197853&set=a.292214872852.182269.66203862852&type=1&ref=nf **https://www.facebook.com/photo.php?fbid=411191055617425&set=a.200389050030961.48555.200368056699727&type=1&relevant_count=1&ref=nf **https://www.facebook.com/photo.php?fbid=305141209601567&set=a.201769036605452.44487.201748736607482&type=1&ref=nf **http://www.choturmatrik.com/blogs/ফজলে-হাসান-জামি/ফ্লাইওভার-চাইনা-যাত্রা-পথে-জীবনের-নিশ্চয়তা-চাই  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.