http://naboprottoy.blogspot.com www.facebook.com/naboprottoy ড. রাগিব হাসান: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর যাই হোক না কেনো, একটা দিক থেকে বিশ্বে প্রথম সারিতে, তা হলো এখানকার উচ্চতর শিক্ষা ব্যবস্থা। মার্কিন গ্র্যাজুয়েট পর্যায়ের শিক্ষাব্যবস্থা (অর্থাৎ পিএইচডি বা মাস্টার্স) বেশ সমৃদ্ধ, এবং শিক্ষার্থীদের যথেষ্ট খাটতে, পড়তে, লিখতে, ও উপস্থাপন করতে হয়। অন্যান্য অনেক দেশে যেমন কোর্সওয়ার্ক ছাড়াই সরাসরি ৩ বছরে পিএইচডি ডিগ্রি দিয়ে দেয়া হয়, এখানে তা নয়, বরং শুরুতে ২ থেকে ৩ বছরে নানা উচ্চতর কোর্স করার পরে বাকি ৩ বছর গবেষণা করলে তবেই পিএইচডি ডিগ্রি মেলে। তাই মার্কিন উচ্চতর শিক্ষা সারাবিশ্বের শিক্ষার্থীদের কাছে বেশ কাঙ্ক্ষিত।
এদেশের উচ্চতর পর্যায়ে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীই বিদেশী, অন্তত প্রকৌশল ও বিজ্ঞান ক্ষেত্রে।
আমার সাবেক ভুট্টাক্ষেত বিশ্ববিদ্যালয় ৪০০ গ্র্যাজুয়েট ছাত্রের মধ্যে সম্ভবত ৩৫০ এর বেশি ছিলো বিদেশী। এদের মধ্যে চীনাদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি হয়। জনসংখ্যার হিসেবে বাংলাদেশ থেকে বরং অনেক কমই আসে এদেশে উচ্চতর পর্যায়ে।
শিক্ষাখাতে মার্কিন সরকার খরচও করে বিপুল পরিমাণ। উদাহরণ দেই, আমার সাবেক ভুট্টাক্ষেত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০০ পিএইচডি পর্যায়ের ছাত্রদের মধ্যে এমন কাউকে দেখিনি, যে পূর্ণ ফান্ডিং পায়নি।
সবাইই হয় গবেষনা সহকারী, বা শিক্ষা সহকারী হিসেবে ফান্ড পায়। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে এই হারটা একটু কম, কিন্তু তার পরেও অধিকাংশই ফান্ড পেয়ে থাকে।
ভর্তি প্রক্রিয়া
এবার দেখা যাক, এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রক্রিয়াটা কীরকম।
আবেদন
ভর্তির মৌসুম শুরু হয় সাধারণত নভেম্বর থেকে, আবেদন নেয়া হয় ডিসেম্বরের মাঝামাঝি বা জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত।
অধিকাংশ জায়গাতেই যা যা লাগে তা হলো
- স্টেটমেন্ট অফ পারপাস (একটা রচনা)
- ২ বা ৩টি রেকমেন্ডেশন লেটার বা সুপারিশপত্র
- টোফেল স্কোর
- (অনেক ক্ষেত্রেই) জিআরই স্কোর
- (কোনো কোনো ক্ষেত্রে) সাবজেক্ট জিআরই স্কোর
স্টেটমেন্ট অফ পারপাস (আমি কী হনুরে, কেনো এখানে আসবো রে, ইত্যাদি)
বিস্তারিত দেখতে ক্লিক করুন এখানে ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।