আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গার্মেন্টস খাতে এত দুর্ঘটনা কী আন্তর্জাতিক গভীর ষড়যন্ত্রেরই অংশ? প্রশাসন অবহিত হওয়ার পরও যথাযথ ব্যবস্থা নিতে দেরি করলো কেন? আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশী গার্মেন্টসের নাজুক অবস্থা ফোকাসের সুযোগ দিলো কারা? সুযোগ নিচ্ছে কারা?

অহন থিক্কা সব শয়তানরে দৌরের উপর রাখুম। সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ ও সালাম মুবারক। দেশের মোট রফতানির ৮০ শতাংশ আসে গার্মেন্টস শিল্প খাত থেকে। সারা দেশে কয়েক হাজার কারখানায় প্রায় ৩৬ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে।

গত ২০১১-২০১২ অর্থবছরে এ শিল্পের রফতানি আয় ছিল ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০১০-১১ অর্থবছরের তুলনায় ৬.৫৬ শতাংশ বেশি। বর্তমানে সারাবিশ্বে পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে বৃহৎ রফতানিকারক একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থানে আবির্ভূত হয়েছে, যা গৌরবের বিষয়। সারাবিশ্বে বাংলাদেশ এখন পোশাক শিল্পের দেশ হিসেবে সুপরিচিত। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেশের ৪ কোটিরও অধিক লোক পোশাক শিল্পের উপর নির্ভরশীল। জানা গেছে, বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৯০টির মতো দেশে রফতানি হয় তৈরি পোশাক।

তৈরি পোশাক রফতানিতে যে মুহূর্তে বিশ্বে এক নম্বর হওয়ার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ ঠিক সে মুহূর্তে এ খাত নিয়ে চলছে গভীর ষড়যন্ত্র। রফতানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা দেশের এ শিল্পে ভাগ বসাতে চলছে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র। হচ্ছে কারসাজিও। তৈরি পোশাক শিল্পকারখানাগুলোতে বারবার আগুন লাগছে, শ্রমিক পুড়ে মরছে, আহত হচ্ছে। গত ২৪শে নভেম্বর ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার নিশ্চিন্তপুরে তুবা গ্রুপের তাজরিন ফ্যাশনস্ লিমিটেডের ৯ তলা ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকা- ঘটে।

এই অগ্নিকা-ে ১০০-র বেশি শ্রমিক নিহত ও শতাধিক শ্রমিক আহত হন। বিজিএমইএ’র তথ্যমতে, ১৯৯০ থেকে গত ২০১২ সালের জুন মাস পর্যন্ত পোশাকশিল্প কারখানায় ২১৭টি অগ্নিকা- ও ভবন ধসের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ২১২টি ভবন ধস হয়েছে। ২৩টি কারখানার ২৭৫ জন শ্রমিক নিহত হন। গতবছর ২৪ নভেম্বর আশুলিয়ার তাজরীন গার্মেন্টে ১১৩ জনের প্রাণহানিসহ গত ২৩ বছরে মোট নিহতদের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৮৮ জনে।

সর্বশেষ ঢাকার সাভার জামতলা বাজার বাসস্ট্যান্ডের কাছে রানা প্লাজা নামের নয় তলা ভবন ধসের ঘটনায় গতকাল ইয়াওমুল খামীসি বা বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত ২১৯ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগের লাশ ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। ধসে যাওয়া ওই ভবনের নিচে আরও দুই হাজার মানুষ আটকা পড়ে আছেন বলে ধারণা করছেন উদ্ধার কাজে এগিয়ে আসা স্থানীয়রা। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিজিএমইএ’র হিসাব অনুযায়ী ওই ভবনের পোশাক কারখানার পাঁচটি ইউনিটে ৩১২২ জন শ্রমিক কাজ করতেন। এছাড়া নিচের দুই তলা ছিল মার্কেট। সেখানেও অনেক মানুষ ছিল। জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে ধসে পড়া ভবনের তৃতীয় তলার পিলারে ফাটল দেখা দেয়। তখনই কর্তৃপক্ষ ওই ভবনের থাকা চারটি গার্মেন্টসে ছুটি দিয়ে দেয়।

মার্কেটও বন্ধ করে দেয়া হয়। ওই দিনই বেলা ১২টার দিকে পৌর মেয়র, থানা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা প্রধান প্রকৌশলীসহ ঊর্ধ্বতনরা ওই ভবনে যায়। সবাই দেখে ভবনটি বন্ধ রাখার পক্ষে মত দেয়। উপজেলা প্রধান প্রকৌশলী খন্দকার আসাদুজ্জামান জানায়, বুয়েট থেকে বিশেষজ্ঞদের এনে ভবনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এভাবেই মঙ্গলবার বন্ধ থাকে ভবনটি।

কিন্তু সন্ধ্যায় আব্দুর রাজ্জাক নামে এক প্রকৌশলীকে ডেকে আনে ভবনের মালিক সোহেল রানা। ওই প্রকৌশলী বলে, এই ফাটলে কোন সমস্যা নেই। ভবনে কাজ করা যাবে। পরে রাতেই থানা নির্বাহী কর্মকর্তা তার সুর বদল করে বলে, ভবনে কাজ চলতে পারে। জ্বলন্ত প্রশ্ন হচ্ছে, সব জেনে-শুনেও প্রশাসন এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত দেয় কীভাবে? প্রতিভাত হয়- প্রশাসনের ভিতর লুকিয়ে আছে গার্মেন্টস বিরোধী আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদের এজেন্ট।

প্রসঙ্গ উল্লেখ্য, সাভারের রানা প্লাজা ধসে পড়ে সহস্রাধিক মানুষের হতাহতের ঘটনাটি বুধবার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও ফলাও করে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়েছে। এসব সংবাদে উঠে এসেছে পোশাক খাতে শ্রমিকদের নিরাপত্তার দুর্দশার চিত্রও। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, এ ট্রাজেডির জন্য সরকার ও প্রশাসনের ব্যর্থতাও রয়েছে। ‘বাংলাদেশ গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি লুক টু রিভিউ ইমেজ’ শিরোনামে বিশ্লেষণমূলক সংবাদে তাজরিন গার্মেন্ট ট্রাজেডিসহ বিভিন্ন ঘটনা উল্লেখ করে কারখানায় জননিরাপত্তা বিধানে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, এসব ক্ষেত্রে সরকার, প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্বশীল আচরণ এবং যথাযথ নজরদারি যেমন করতে পারেনি, তেমনি নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেয়নি।

ফলে একটার পর একটা দুর্ঘটনায় শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটেই চলেছে। বলাবাহুল্য, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের এসব প্রচারণা বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প নিয়ে যে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে সে ষড়যন্ত্রের আগুনে ঘি ঢালবে। এমনিতেই জিএসপি সুবিধা বাতিল চূড়ান্ত হচ্ছে। বায়াররা সরে যাচ্ছে। তারপরেও এ ধরনের ঘটনা কফিনে শো পেরেক ঢোকার মতো।

উল্লেখ্য, সাভার এলাকা ঢাকা মহানগর উন্নয়ন পরিকল্পনার (ডিএমডিপি) অন্তর্ভুক্ত। এখানে যে কোন ভবন নির্মাণ পরিকল্পনা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদন নেয়া বাধ্যতামূলক। এত উঁচু একটি ভবন কোন নিয়মনীতি না মেনে নির্মিত হয়েছে? এ সময়ের মধ্যে রাজউকের নজর পড়ল না কেন? বলার অপেক্ষা রাখেনা, এটা গার্মেন্টস বিরোধী ষড়যন্ত্রেরই অংশ। বলাবাহুল্য, এটা একটা দীর্ঘমেয়াদী সাবোটাজ। স্বাধীনতার পর পাট নিয়ে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে।

এখন চলছে গার্মেন্টস নিয়ে ষড়যন্ত্র। মূলত এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাদের অনুভূতি ও প্রজ্ঞা মুবারক থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত তথা মুবারক ফয়েজ- তাওয়াজ্জুহ মুবারক। যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ সে মহান ও অমূল্য নিয়ামত হাছিল সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের তা নছীব করুন।

(আমীন) ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৪ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.