জীবনের শুরুতেই মৃত্যু আতঙ্ক! সিরিয়ার শিশুদের সকালে ঘুম ভাঙ্গে এখন যুদ্ধবিমান কিংবা গোলাগুলির আওয়াজে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময়ও একই অবস্থা। যাদের জন্য পৃৃথিবী হওয়ার কথা উন্মুক্ত আনন্দ-উদ্যান, ছোট ছোট সেই শিশুর দিন কাটে আতঙ্কে। মায়ের কাছে গল্প শুনতে শুনতে ঘুমানোর দিনগুলো তাদের জন্য এখন অনেক দূরের অতীত। খবর-ওয়েবসাইট।
স্কুল এখন আর তাই শুধু লেখাপড়ার জায়গা নয়, সিরিয়ার শিশুদের কাছে লেখাপড়ার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে খেলাধুলা আর গানবাজনা। দামেস্কে কয়েক বছর আগে একটা স্কুল খুলেছিলেন বাসিম আল হাজি। সেখানে ক্রীড়া শিক্ষক মামুন আল আলীর ব্যস্ততা খ্বু বেড়ে গেছে। আগে যেখানে সপ্তাহে একদিন কি দু’দিন মাঠে নামতে হতো বাচ্চাদের নিয়ে, সেখানে এখন সারাদিনই চলে খেলাধুলা। ক্ষুদে খেলিয়েদের সঙ্গে তাঁকে এখন ব্যাডমিন্টন, বাস্কেটবল ও ফুটবল নিয়েই সারাদিন ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে।
ব্যস্ততা বাড়লেও মামুন কিন্তু খুশি, বাচ্চাগুলোকে তো কিছু সময়ের জন্য হলেও মৃত্যুভয় থেকে দূরে রাখা সম্ভব হচ্ছে।
১১ বছর বয়সী লিয়াস মাদালি অবশ্য খেলার মাঠে নামেই না। তার ঝোঁক পিয়ানোর প্রতি। পিয়ানোয় ডুবে থাকার কারণ জানাতে গিয়ে বলল, গোলাগুলির শব্দ ভুলে থাকতে আমি পিয়ানোর ক্লাসে যাই। আমি তো খুব ভীত হয়ে পড়েছিলাম, এখন বেশ আছি।
শাসক বাশার আল আসাদের অনুগত বাহিনীর সঙ্গে ২০ মাস ধরে বিদ্রোহীদের যে যুদ্ধ চলছে শিশুদের জীবনে তার প্রভাব কতটা ভয়াবহ তা খানিকটা বোঝা যায় ইউনিসেফের পরিসংখ্যান থেকে। তাদের হিসাব অনুযায়ী সিরিয়ায় মোট ২২ হাজার স্কুল আছে। বোমায় বিধ্বস্ত হয়েছে অন্তত ২ হাজার। বাকি ২০ হাজারের মধ্যে ৮শ’ এখন শরণার্থী শিবির। যুদ্ধে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৩৭ হাজার মানুষ।
দেশজুড়েই আতঙ্ক। সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি বেশি ভয়াবহ। বেশি অনিরাপদ বোধ করলে মানুষ ছোটে রাজধানী দামেস্ক বা অন্য কোন শহর কিংবা সীমান্ত পেরিয়ে অন্য কোন দেশে। যাঁরা থেকে যান, এখনও আছেন, তাদের ছেলেমেয়েরা বড় অসহায়। পৃথিবীতে সঙ্গীত বা খেলাধুলার মতো বিনোদন আছে বলে তবু খানিকটা রক্ষা।
মায়ের কোলও আর নিরাপদ আশ্রয় নয়। কখন যে বোমা পড়বে আর কোলেই ঢলে পড়বে শিশু! সিরিয়ার শিশুরা খুঁজছে যুদ্ধের আতঙ্ক এড়ানোর উপায়। অনেকেরই আশ্রয় এখন সঙ্গীত আর খেলা।
(লেখাটি জনকণ্ঠ পত্রিকা থেকে কপি করা আর ছবিগুলো ফেসবুকে বন্ধুর কাছে পাওয়া। ছবিগুলো এবং লেখাটি আমাকে স্পর্শ করেছে -তাই সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করলাম।
কারো স্বত্ব ক্ষুণ্ন হলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।