আমি শুনতে পাই লক্ষ কোটি ফিলিস্তিনীর আর্তনাদ...হাহাকার টাঙ্গাইল-৩ উপনির্বাচনের ফলাফল সবাই এতক্ষনে জেনে গেছেন। আওয়ামী লীগ থেকে আজীবন বহিষ্কৃত প্রার্থীর কাছে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হেরে গেছেন। আপাত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে বহিষ্কৃত প্রার্থীর ইমেজ খুবই শক্তিশালী, কিন্তু আসলে কি তাই?
এই নির্বাচনের ফলাফলে আম জনতার আওয়ামী লীগের প্রতি তীব্র ঘৃনা ঢেলে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ কি কিছুই আঁচ করতে পারছে না, যে তাদের জনপ্রিয়তা তলানিতে এসে ঠেকেছে? আওয়ামী লীগ নেতারা কি জনগনের মনোভাব কিছুই বুঝছে না? তারা কি অনলাইনে আম জনতার মন্তব্য কি দেখেন না?? মানুষ শুধু যে আওয়ামী লীগের প্রতি বিরক্তই শুধু না, আম জনতা আওয়ামি লীগকে ঘৃণা করতে শুরু করেছে। টাঙ্গাইল ৩ আসনের নির্বাচনের ফলাফলেই সেটা প্রমান হয়।
আসলে আওয়ামী লীগ তার শাসন আমলে এত ব্যার্থতা দেখিয়েছে যে এর আগের সব ব্যর্থতাকে ছাড়িয়ে গেছে। যদি শুধু ছাত্রলীগকে সামলাতে পারত, তাহলেও তো বলা যেত একটা সাফল্য দেখিয়েছে।
আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ কে তো সামলানো দূরের কথা, রীতিমত আষ্কারা দিয়ে গেছে। কোন ধরনের ব্যাবস্থা নেয়নি!! আসলে সবাই মনে হয় উন্মাদ হয়ে গেছে! প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়ার পরও অবাধে ঘুরে ফেরা করে। এ যেন ভারতের মহারাষ্ট্রের শিবসেনার মত।
আওয়ামী হাই কমান্ড খুব সুন্দর ভাবে চোখ বন্ধ করে কারো দোষ দেখেনি।
আচ্ছা, ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিলে কি হত? হয়ত কিছু আসন আওয়ামী লীগ হারাতো, হয়ত দলিয় কোন্দল বৃদ্ধি পেত। কিন্তু সেই পদক্ষেপ কিন্তু আম জনতা দারুন ভাবে খুশি হতো। কেন আম জনতাকে এরকম অবহেলা করেন?? এবার দেখলেন তো আম জনতাকে উপেক্ষা করার ফলাফল!
পোস্ট পড়ে হয়ত আমাকে বি.এন.পির কট্টর সমর্থক ভাববেন! যেটা একদম ভুল। ভাবতে অবাক লাগে এই আমি ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছিলাম।
ভোটের রেজাল্ট জানার জন্য ভোর রাত পর্যন্ত জেগে ছিলাম। আওয়ামী লীগের একের পর এক বিজয়ের খবরে মন আনন্দে নেচে উঠছিল.........আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ পতনের জন্য একমাত্র আওয়ামী লীগই দায়ী থাকবে।
এখন আসি আগামী নির্বাচনের ফলাফলের অবস্থা নিয়ে। অনেকে দেখলাম বলেছে আগামী নির্বাচনে দুই দলের আসন সংখ্যা হবে ১৬০-১৪০ টাইপ। কিন্তু এটা আমার মতে এই ধারনা সম্পূর্ন উদ্ভট।
আওয়ামী লীগের আমলে যদি গো-আজম, মইত্যা রাজাকারের ফাঁসিও হয়ে যায়, তাহলেও আওয়ামী লীগ সুষ্ঠ ভোটে ৫০/৬০ আসনের বেশি পাবে না।
এখন আওয়ামী লীগ চেষ্টা করছে ছাগুদেরকে বি.এন.পি থেকে সরিয়ে নেবার। সেটা হলে আওয়ামী লীগের আরও ভড়াডুবি হবে। ১৫/২০ আসন পেলেও অবাক হবার কিছু থাকবে না।
তবে এই রেজাল্ট হলে এটা কিন্তু বি.এন.পির প্রতি ভালোবাসা থেকে হবে না, হবে আওয়ামী লীগের প্রতি ঘৃণা থেকে।
আওয়ামী লীগের প্রতি অনেক আসা করেছিলাম, দেশের জনগণ অনেক আশা করেছিল। কিন্তু তারা তাদের সুযোগকে গলা টিপে হত্যা করল।
আর এবার ঠিক করেছি ভোটই দিতে যাব না। দরকার কি? আমাদের আম-জনতার ভাগ্য কি আদৌ পরিবর্তন হবে??
তবুও, আমি আশা করব সামনে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, এই নিয়ে অশান্তি সৃষ্টি হোক সেটা কারও কাম্য নয়। আমরা আম-জনতা আসলে তেমন কিছুই চাইনা, আমাদের চাওয়া খুব সামান্য, সেটা হচ্ছে একটু শান্তি।
আমি আশা করব (যদিও দুরাশা) আমাদের রাজনীতিকরা এই কথা বুঝবেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।