আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাকিস্তান যাচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী

রফিকুল ইসলাম ঃঃঃঃঃ:--- উন্নয়নশীল আট দেশের জোট ডি-এইট সম্মেলনে অংশ নিতে পাকিস্তান যাচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সম্মেলনের আমন্ত্রণ জানাতে গত ৯ নভেম্বর ঢাকায় এসেছিলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার। তখন তার কাছে একাত্তরে গণহত্যার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি সূত্র সোমবার নিশ্চিত করেছে, প্রধানমন্ত্রী ইসলামাবাদ যাচ্ছেন না। ডি-এইটভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা আগামী ২২ নভেম্বর পাকিস্তানে মিলিত হচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রী কী কারণে এই সফরে যাচ্ছেন না, সে বিষয়ে কিছু বলেনি ওই সূত্র; তবে জানিয়েছে, ওই সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি। পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর নিপীড়ন থেকে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১৯৯৯ সালে পাকিস্তান সফর করেছিলেন শেখ হাসিনা। দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়ার পর তা প্রশমনে ওই সময় শেখ হাসিনা দুটি দেশই সফর করেছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বে থাকা রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের বর্তমান আমলে এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বেশ সীমিত পরিসরেই রয়েছে। গত চার বছরে দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে শুধু বাংলাদেশের শিক্ষা ও বাণিজ্যমন্ত্রী ইসলামাবাদ সফর করেছেন।

সম্প্রতি পাকিস্তান সফরে যান স্পিকার আবদুল হামিদ। এছাড়া ২০১০ সালের নভেম্বরে ইসলামাবাদে দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়। দুই দেশের নেতাদের সফরের মধ্যে হিনা রাব্বানির ঢাকায় আসাই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পথ ধরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার বিচারের যে দাবি উঠে, ৪১ বছর পর দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি তা তুলে ধরেন। হিনা রাব্বানি সরাসরি উত্তর এড়িয়ে অতীত পেছনে ফেলে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রত্যাশা প্রকাশ করেন।

বাঙালিদের স্বায়ত্তশাসনের আকাক্সক্ষা দমিয়ে রাখতে একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীর চালানো গণহত্যায় নিহত হন ৩০ লাখ মানুষ, ধর্ষিত হন অসংখ্য নারী। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ নির্বিচার হত্যাকাণ্ড শুরু হলে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঙালি, নয় মাসের রক্তাক্ত সংগ্রামের পর বিশ্বের মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যূদয় ঘটে। হিনা রাব্বানির সফরের পর পাকিস্তানের প্রভাবশালী দৈনিক ডন তাদের সম্পাদকীয়তে বাংলাদেশে একাত্তরের ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.