আমি আলাদা একুশে ফেব্রুয়ারিতে প্রথম আলোতে বাংলাদেশের একজন সনামধন্য ব্যক্তি লিখেছেন। জনাব হাবিবুর রহমান (প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি, বিগত তত্তাবধায়ক সরকারের উপদেস্টা। লেখক হিসেবে যার পরিচিতি আছে, তিনি লিখেছেন, " লন্ঘিতে হবে অনাস্থার দুর্গম গিরি । " তিনি রবীন্দ্রভক্ত, রবীন্দ্র আদর্শে বিশ্বাসী। তার লেখা থেকে প্রমান মেলে তিনি বাম পন্থি, অসামপ্রদায়িক।
মৌলবাদি নন।
১৯৪৭ সালের পর থেকে আজ পর্যন্ত আন্তরাস্ট্রিয় বিরোধ মিমাংশা হয়নি বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। ১৯৪৭ সালের পু্র্বে ব্রিটিশ ভারতে এই বিরোধের উৎপত্তি কিনা তিনি কছু উল্লেখ করেননি।
তিনি ভারত বিভাগের সময় ই প্রতিবেশি চিনে নিয়েছেন। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সময় আরও ভালো করে চিনে নিয়েছেন আসল প্রতিবেশি কে।
যারা সাহায্য করেছে, আশ্রয় দিয়েছে। তার দৃশ্টিতে প্রতিবেশীর এমন আত্মত্যাগ এর দৃস্টান্ত সত্যই বিরল। এমন হ্রদ্যতা, যাদের মনের গভীরে, তাদের কার জিদে , কার স্বার্থে , কার ছলে, কার কর্মে হারাবেন তিনি। তিনি হারাতে চাননা এমন হ্রদয়বান প্রতিবেশীকে।
এমন হ্রদয়বান প্রতিবেশীদের সহ্রদ্যতার কিছু চিত্র তার মনে আছে কিনা জানি না।
তত্বাবধায়ক নয়, ভারত বান্ধব বাংলাদেশ সরকার আমলে দু্র্যগের সময়ে পাচ লক্ষ টন চাল, ত্রান নয়, বিক্রির বিনিময়ে প্রদানের অংগিকার করেও তা স্থগিত করেছেন সৎ প্রতিবেশী।
একা্ত্তর সালের পর আজও সীমান্ত বিরোধ, গুলি মিটিয়ে ফেলেনি সৎ প্রতিবেশী। তিন বিঘা, চব্বিশ ঘন্টা খোলা রাখার অনুমোদন দিয়েছে কিন্তু মালিকানা ও কত্রৃত তাদের হাতেই রেখেছেন। অথচ চুক্তি অনুযায়ী ভুমী হস্তান্তরের কথা থাকলেও ওয়াদা রাখেনি। তবু আমাদের সরকার মহা খুশী।
এত বড় মহত্বের প্রতিদান আমরা কি করে দিবো ?
সীমান্তে গুলি চলবেই, বাংলাদেশী গরু চোর, কাপর চোর, চিনি চোর, ফেনসিডিল চোরদের গুলি করার অধিকার সৎ প্রতিবেশী হিসেবে তাদের প্রাপ্য। ফেলানির লাশ, কাটা তারে ঝুলানো প্রতিবেশির অধিকার। সীমান্তে ফেনসিডিলের কারখানা বানিয়ে এদেশে চালানো তাদের অধিকার।
একতরফা ভাবে নিঃস্বার্থ বন্ধুত্বের অজস্র প্রমান যে বাংলাদেশের মানুষ দিয়েছে তার বদলায়, কি পেয়েছে? তিনি কি বলতে পারেন? ফারাক্কার পানি, তিস্তার পানি, টিপাইমুখ বাধ কোনটার উধারন তিনি দিতে পারবেন?
সৎ প্রতিবেশীর আনবিক অস্ত্র ও শক্তির দাপট কি তিনি অস্বীকার করতে পারবেন? এসবের জবাব কি দেবেন তিনি?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।