এই ঠিকানায় আর নেই, ফিরে আসবো কিনা জানিনা। হৃদয়ের দেয়ালে কোন ললনা তাকিয়ে দেখলোনা।
দেখলোনা সেখানে লেখা আছে, ''কষ্টে আছি -আইজুদ্দিন''
এভাবে শত শত আইজুদ্দিন ঘুরে বেড়ায় দেয়াল লিখন বুকে নিয়ে
দেয়াল লিখনের প্রতিটি শব্দ, অক্ষর, হাইফেন ফ্যাল ফ্যাল করে
তাকিয়ে থাকে ফুটপাথ, রাজপথ পাজেরো বা রিক্সাগামী
হাজার হাজার ললনার দিকে।
বর্ষায় জিপ, কার ছুটিয়ে যাওয়ার সময় দেয়াল লিখনে
কাদা ছুড়ে যায়, বাইকে করে ললনাকে নিয়ে রঙে ঢঙে
উড়ালপঙ্খী নিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় ধুলো মেখে যায়
নগ্ন পাগল কখনো বা রাত বিরাতে প্রক্ষালন সারে সেই
দেয়াল লিখনের উপরে।
এভাবেই ঢাকা পড়ে যায় আইজুদ্দিনের কষ্ট।
দেয়ালে পড়ে নতুন চুনের প্রলেপ।
আবার হয়ত কোন আইজুদ্দিন লিখে যাবে- কষ্টে আছি
আবারও চক্রাকারে চলবে কষ্ট ঢাকা-লেখার খেলা।
একদিন দেয়াল থেকে ফুসে উঠবে সকল আইজুদ্দিন
দেয়ালের পাশেই হাতে হাত রেখে করবে মানব বন্ধন
রাজপথ ঘেরাও হবে, মিছিল হবে মিটিং হবে।
বজ্রস্বরে ভাষণ দেবে উদীয়মান কষ্টনেতা আইজুদ্দিন।
কষ্ট মঞ্চের সামনে থাকা শত শত আইজুদ্দিন স্লোগান দিবে-
কষ্টে আছি জিন্দাবাদ, আইজুদ্দিন জিন্দাবাদ
কষ্টে আছি জিন্দাবাদ, আইজুদ্দিন জিন্দাবাদ
ব্যানারে ফেস্টুনে ছেয়ে যাবে অলিগলি,
কষ্টমিছিলে, কষ্টসভায়, কষ্ট সেমিনারে
পঠিত হবে কষ্ট লিফলেট।
সেখান থেকে একটি কষ্ট লিফলেট পৌঁছে যাবেতোমার ঠিকানায়।
কষ্টলিফলেট হাতে নিয়ে চলে এসো রাজপথে, যদি ইচ্ছে হয়।
আমার সাথে, শত শত আইজুদ্দির সাথে গলা ফাটিয়ে স্লোগান দিও-
কষ্টে আছি জিন্দাবাদ!
কষ্টে আছি জিন্দাবাদ!
-শশী হিমু ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।