আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশনেত্রীর সফল ভারত সফরের ইতিকথা!!ঝাতিয়তাবাদিরা কি বলেন?

। অনেস্টি ইজ দ্যা বেস্ট পলেসি। বাংলার মোহতারেমা আপোষহীন দেশনেত্রী ও ইসলামের ঝান্ডাধারি দলের একমাত্র কান্ডারী অবশেষে উপলব্দি করতে পেরেছেন। আলোচনা ছাড়া কোনো সমস্যার সমাধান সম্ভব নয় বিধায়, উনি এখন পাকিস্তানের পাশাপাশি ভারতের দালালী করার ব্রত গ্রহণ করেছেন। দেশের দুষমন আঃ লীগ আমাদের ঝাতিয়তাবাদিদের চিরশত্রু ভারতের কাছে সব বিকিয়ে দিয়েছেন গত ৪-বছরে।

অথচ কি অবলীলায় সাম্প্রদায়ীকতার ঝান্ডাধারী মহান নেত্রি এক লহমায় সব কিছু ফিরিয়ে নিয়ে এসেছেন অছ্যুত ভারতের কাছ থেকে। যে ভারত কিছুদিন পুর্বেও বাংলার প্রতিটি মসজিদে উলুধ্বনির ব্যাবস্থা করেছিলো (তাদের ভাষ্য মতে)কুটনিতীর চালে টেক্কা দিয়ে সেই ভারতকে বাধ্য করলেন ,তাদের মন্দিরগুলোকেই মসজিদে রুপান্তরিত করতে(স্বপ্নে)। উনি যুগ যুগ ধরে দেশকে উদ্ধার করে চলেছেন। নোয়াখালি ও চট্টগ্রাম ৯৬-এর নির্বাচনের পর ভারতের অন্তর্গত হোয়ে গিয়েছিলো। ২০০১ সালে নির্বাচনে জয়লাভ করে উনি ভারতের সাথে যুদ্ধ করে ঐ দু'টি জেলাকে স্বাধীন করেছিলেন।

দেশের সবচাইতে বড় দুষমন ভারতের কথিত দালাল আঃ লীগ বার বার দেশকে ভরতের কাছে বিকিয়ে দিচ্ছে। আর আমাদের মহান দেশনেত্রী ভারতর ণাগপাশ থেকে মুক্ত করছে বাংলাদেশ নামক দেশটিকে(শতাব্দীর সবচেয়ে বড় কৌতুক)! যে মহান নেত্রি উঠতে বসতে: শয়নে জাগরনে চারিদিকে ভারত জুজু ছাড়া কিছুই দেখেননা। যে দলের জন্মই হোয়েছে ভারতের বিরোধীতা করার জন্য। ভন্ড ইসলাম ও জঙ্গীবাদের লালন পালন করাই যে দলের আদর্শ সেই দলের ১-নম্বর চ্যায়ার পার্সন আজ ভারতের নাম্বার ওয়ান দালাল হোতে চলেছেন। পাকিস্তানের দালালী করে দেশের অর্ধেকটা ধ্বংস করতে সফল হোয়েছেন ।

এখন বাকি অর্ধেকটা ধ্বংস করার জন্য ভারতের পা চাটতে কোনো কার্পন্য কেনো থাকবে?এবার তাদের শ্লোগান হবে "জয়-জিন্দাবাদ"। আঃ লীগকে ভারতের দালাল প্রমাণ করার জন্য যে দলের পুটি মাছ থেকে রাঘব বোয়ালরা মুখে ফেনা তুলে ফেলেন। সেই ঝাতিয়তাবাদিদের কাছে আজ প্রানের বন্ধু হোয়ে গেছে ভারত। উনি ভারত জয় করে আমাদের জন্য বিরাট সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছেন। উনার ভারত সফর নাকি শতভাগ সফল!আঃ লীগ ভারতকে শুধূ দেয়,আর উনি পুরো ভারতকেই সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন।

সো ভারতের দালালেরা সাবধান হোয়ে যান,এখন আর আপনাদের একছত্র দাবি খাটবেনা ভারতের দালাল হিসেবে। এখন তারা প্রমাণ করে দিবে ভারত প্রেম কাহাকে বলে ও কত প্রকার। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ভারতের আশির্বাদ প্রয়োজন ,তাই আর নয় ট্রানজিটের বিরোধীতা। খালেদা জিয়ার সফরে উজ্জিবিত হোয়ে জামাত নেতারাও ভারত সফরের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ যেনো সেই কান টানলে মাথাও চলে আসে।

শেয়াল তার লেজকে সাথে নিয়েই চলে সব সময়। পাকিস্তানের দালালরা আজ ভারতের দালাল হোয়ে প্রমাণ দিলো দালালরা চিরকালই দালাল। তারা ব্যক্তিগত লাভ ছাড়া অন্য কিছু বুঝতে রাজি নয়। আমেরিকার আশির্বাদ লাভের জন্যই ভারতকে প্রয়োজন। আমেরিকার আদালতে রাজকুমারদের সুকির্তির বিচার হয় তাই আমেরিকাকে সরাসরি ম্যানেজ করা কস্টকর বিধায় বিকল্প পথ ব্যাবহার করা যেতেই পারে:কি বলেন সুধীজনেরা? কোন আহাম্মকের স্বর্গে বিচরন করছে বি,এন,পি?তারা মনে করছে তাদের দলীয় প্রধানকে রাস্ট্রিয় সফরে আমন্ত্রন জানিয়েছে বলে ভারত তার বিদেশ-নিতী বদলে ফেলেছে।

তারা মনে করছে ভারত এখন বাংলাদেশের জনগণের সাথে সম্পর্ক গড়তে চায়। ভারত খালেদা জিয়াকে সাম্প্রদায়িক রাজনিতির প্রতিনিধি ছাড়া আর কিছুই মনে করেনা। প্রতিটি দেশই অন্য দেশের সরকারকেই সে দেশের বৈধ প্রতিনিধি হিসেবে মানে এবং গ্রহণ করে। খালেদা জিয়া বাংলাদেশের ভুখন্ড আর ভারতের বিরুদ্ধে ব্যাবহার করতে দেওয়া হবেনা বলে, প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে স্বিকার করে নিয়েছেন তার শাসনামলে ভারতের উগ্রবাদিরা বাংলাদেশের মাটিতে স্থান পেয়েছিলো। পক্ষান্তরে তিনি বাংলাদেশের জনগণের চরম ক্ষতি করে এসেছেন তার ভাড়ত সফরে।

এখন ভারত বলতেই পারে সিমান্তে তাদের আরো কঠোরতা প্রয়োজন। তারা পাখির মত বাঙ্গালিদের হত্যা করে ভুল করছেনা। পক্ষান্তরে খালেদা জিয়া প্রমাণ করে দিয়েছেন উনি বাংলাদেশের নয় ,ভারতেরই একনিস্ঠ দালাল,দালাল এবং দালাল। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।