কাজের মধ্যে দুই খাই আর শুই আমার বিয়ার শখ হইছে। কয়দিন আগে ফেবুতে আমার মাঞ্জা মার্কা ছবি দিছিলাম। লিখা দিছিলাম: পাত্রী চাই। বিয়ার বিজ্ঞাপনও কইতে পারেন। কিন্তু দু:খের কথা হইল কোন মাইয়াই লাইক মারে নাই।
তয় কয়েকজন ঝাড়ি দিয়া কমেন্ট করছে। আমার নাকি ভিমরতি ধরছে। কনতো ভাই বিয়া কি ভিমরতির বিষয়। আমার চাল চুলা নাই, নিজেই খাইতে পারিনা তাই বলে বিয়া করুম না। দুনিয়া কত আজিব।
কত ঘটনা ঘটে। বিয়া নিয়াও আজিব ঘটনা ঘটছে। আচ্ছা আগে ঘটনাটা কই, তারপর আমার কথা।
ঘটনা সৌদি আরবের। এক জনৈক ভদ্র লোক বিয়া করবে বলে প্রস্তাব দেয় এক জনৈক ভদ্র মহিলাকে।
মহিলা পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক। ভদ্র লোকের প্রস্তাবে রাজীও হয়ে যান তিনি। তার মানে তাদের বিয়া হবে। খবরটা ভালো না, ভালো তো। তাইলে সমস্যা কোথায়; জি ভাই সমস্যা আছে।
ভদ্র মহিলা একটা শর্ত দেন তার হবু স্বামীকে। সমস্যা মূলত ওই শর্তটাই। যদিও আমি শর্তটাকে সম্ভাবনাই মনে করি। কিন্তু কি ছিল সেই শর্তটা। সেটা একটু পর বলি তার আগে সাম্প্রতিক একটা ঘটনায় কিছু বয়ান দেই।
সাভারে “রানা প্লাজা” নামের যে ভবনটা বিদ্ধস্তত হইছে তার পিছনে কারনটা কি। কেউ কেউ বলে ভবনের মালিকের গাফিলতির জন্যই এই দূর্ঘটনা। আগের দিনই ভবনে ফাটল দেখা দিছিল, কিন্তু তিনি নিজেই তার ফিটনেস সার্টিফিকেট দিছে, কইছে- ‘এইটা কোন ব্যাপার না। সামন্য প্লাস্টার খুলছে মাত্র’। বিষয়টা যদি সামন্যই হয় তাইলে এত বড় বিল্ডিং ভাংলো ক্যামনে?
আচ্ছা যাই হোক।
বিল্ডিং ভাংছে। অনেক মানুষ মারা গেছে। আহত হইছে অনেকেই । উদ্ধার কাজ চলতাছে। এক সময় উদ্ধার কাজ শেষ হইব।
মানুষ কিছু দিন হায় হায় করব। সময়ের সাথে সাথে মানুষ ভুলে যাইব। তারপর আবার একদিন এইখানে নতুন একটা বিল্ডিং হইব।
কিন্তু এই ঘটনার জন্য কেউ শাস্তি পাইব কি? শাস্তি পাইলে কেডা পাইব। সে কোন দলের লোক হইলে শাস্তি পাইব।
শুনলাম ভবন মালিক রানা সাহেব স্থানীয় যুবলীগের বড় নেতা। যদিও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলছেন তিনি নাকি যুবলীগের কেউ না। ত্যেনার কথার উপ্রে তো আর কথা থাকতে পারি না। আচ্ছা মানলাম তিনি যুবলীগের কেউ না।
কিন্তু কিছু সময় পরই যুবলীগের কেন্দ্রিয় পর্যায়ে জরুরী বৈঠকের খবর পাইলাম।
বৈঠকের এজেন্ডা সাভার ট্রাজেডি; ঘাতক যুবলীগ নেতা রানাকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত। এই তো প্যাচ শুরু হইল- প্রধানমন্ত্রী কইল তিনি যুবলীগের কেউ না; আবার তাকে যুবলীগ থেকে বহিস্কার করা হবে। হিসাব তো মেলে না।
হিসাব মেলানোর দরকার নাই। সর্বহারা (যুবলীগ থেকে বহিস্কারের পর) রানা সাহেবকে একটু ডিফেন্সের অপচেষ্টা করি।
আসলে তিনি সত্যই কইছিলেন ভবনের ফাটল গুরুতর নয়। এটা অন্য কারনে ভাংছে। আর সেই কারনটা আবিস্কার করছেন আমাদের মাননীয় তামাশা মন্ত্রী ম.খা.আলমগীর। তিনি কইছেন গতকালের ফাটল দেখা দেবার পর বিরোধীদলের হরতাল সমর্থকরা ভবন ধরে ঝাকি মারছে। এইজন্য এত ক্ষয়ক্ষতি।
কিন্তু ফাটল হইল ক্যামনে সেইটা তিনি কইতে ভুইলা গেছিল। মূল কারন হইল বিগত কয়েকদিনের হরতালের পিকেটিংকালে বিরোধীদলের লোকজন ঔ বিল্ডিংটা লক্ষ্য করে একসাথে “ফু” দিছিল। তাদের “ফু”-এর তোড়ে বিল্ডিংয়ে ফাটল দেখা দিছে। এই না হলে বিরোধীদল।
তাই আমি সিদ্ধান্ত নিছি; নিজে তো কখনই না, এমনকি আমার পুলারেও কখনও বিরোধদল করতে দিমু না।
সব সময় সুবিধাবাদী দল করতে হইব।
আরে আমি তো বিয়াই করি নাই, আমার পুলা হইব ক্যামনে। তাইলে বিয়ার ঘটনাটা শ্যাষ করি। ঔ মহিলা ভদ্র লোককে শর্ত দিছিল, তাকে বিয়া করতে চাইলে তার দুই জন বান্ধবীকেও বিয়া করতে হবে। মরজালা।
এই রকম শর্তকে আপনারা সমস্যা কইবেন নাকি আমার মত সম্ভবনা কইবেন। শুনছি পরে নাকি ঔ ভদ্রলোক তিনজনকেই বিয়া করছিলেন।
আমি হইলেও তাই করতাম। আপনার কি করতেন? যাই হোক বিয়া যখন হইছে, চলেন মিষ্টি মুখ করি। আসেন জিলাপি খাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।