আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আধুনিক আর নাস্তিক তরুণদের হত্যা করতে হবে! বুখারী হাদীস অনুযায়ী!

ভাল কথা বলুন বুখারী শরীফের নিচের হাদীসটি পড়ে অবাক হতে হয়। মুহাম্মদ ইবন কাসীর (র)......সুয়াইদ ইবন গাফালা (র) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আলী (রা) বলেছেন, আমি যখন তোমাদের নিকট রাসূলুল্লাহ (সা) এর কোন হাদীস বর্ণনা করি, তখন আমার এ অবস্থা হয় যে তাঁর উপর মিথ্যা আরোপ করার চেয়ে আকাশ থেকে পড়ে ধ্বংস হয়ে যাওয়া আমার নিকট অধিক পছন্দনীয় এবং আমরা পরস্পরে যখন আলোচনা করি তখন কথা হল এই যে, যুদ্ধ ছল-চাতুরী মাত্র। আমি নবী করীম (সা) কে বলতে শুনেছি যে, শেষ যামানায় একদল তরুণের আবির্ভাব ঘটবে যারা হবে স্থুলবুদ্ধির অধিকারী। তারা নীতিবাক্যগুলো আওড়াতে থাকবে। তারা ইসলাম থেকে (এমন গতিতে ও চিহ্নহীনভাবে) বেরিয়ে যাবে যেভাবে তীর ধনুক থেকে বেরিয়ে যায়।

তাদের ঈমান গলদেশ অতিক্রম করে (অন্তরে প্রবেশ) করবেনা। যেখানেই এদের সঙ্গে তোমাদের সাক্ষাত হবে, এদেরকে তোমরা হত্যা করে ফেলবে। এদের হত্যাকারীদের জন্য এই হত্যার প্রতিদান রয়েছে কিয়ামতের দিন। আজকাল অনেক আধুনিক তরুণ এবং নাস্তিকদের ক্ষেত্রে হাদীসে বর্ণিত এই প্রত্যেকটি বৈশিষ্ট দেখা যায়। ১...মুখে নীতিবাক্য বলা।

২...ইসলাম থেকে বের হয়ে যাওয়া। ৩...অন্তরে ঈমান প্রবেশ না করা। হাদীস অনুযায়ী তাই এদেরকে হত্যা না করলে আপনি নবীর আদেশ অমাণ্য করলেন! ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি এটা একটা জাল হাদীস। সব হাদীসই যে সহিহ হবে তা নয়। বুখারীতে সহিহ হাদীস যেমন আছে তেমনি জাল হাদীসও আছে।

তবে আহলে হাদীস গ্রুপের মতে বুখারী/মুসলিম শরীফে কোন জাল হাদীস নেই। তাদের মতে হাদীসও নাকি আল্লাহর ওহী। হাদীসে বিশ্বাস না করলে সে নাকি কাফের! এই ব্লগের ব্লগার নজিবুল্লাহ তেমন একজন মানুষ। তবে অনেক মুসলিম ভাই এর কাছে এই নজিবুল্লাহ বেশ জনিপ্রিয় হয়ে উঠেছে নাস্তিক আর কোরান অনলীদের বিরুদ্ধে লিখার জন্য। এইটা ঠিক যে কোরান অনলী মতবাদ সঠিক নয়, এতে অনেক সমস্যা আছে।

আমি নিজেও কোরান অনলী না। কিন্তু এই দোহাই দিয়ে যদি বলা হয় হাদীস বিশ্বাস না করলে সে কাফের, হাদীস আল্লাহর ওহী তাহলে তা অবশ্যই বর্জনীয়। বুখারী/মুসলিম শরীফে অনেক আজগুবি, বাজে, ভয়ঙ্কর, লজ্জাজনক হাদীস আছে যা সুস্থ মনের মানুষ কোনদিন বিশ্বাস করবেনা। সে জন্য কি সেই মুসলিম মানুষকে কাফের বলা ঠিক, যদিও সে কালেমা,নামাজ,রোজা, হজ্জ্ব,যাকাত ঠিক রাখে? তাই নজিবুল্লাহর মত ব্লগারদের কাছ থেকে সাবধান!!!! এই পোস্টটা পড়েনঃ চিন্তাশীল মুসলিম ভাইদের প্রতি প্রশ্নঃ বুখারী/মুসলিম শরীফের হাদীস কতটা নির্ভরযোগ্য? আসুন যাচাই করি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।