হ্যানিম্যান পি্পড়া প্রজাতিদের মধ্যে দ্বিতীয় বুদ্ধিমান প্রাণি। পিঁপড়াদের মধ্যে এক ধরনের পিঁপড়া আছে যারা প্রকৌশলীর কাজ করে। মাটির নীচে কলোনী তৈ্রী করা এবং মাটির উপরে সুদৃশ্য বহুতল বিশিষ্ট অট্টালিকা তৈরী করা এই প্রকৌশলীদের কাজ। পিঁপড়াদের মধ্যে সৈ্নিক পিঁপড়াআছে যারা অন্য প্রানীদেরকে বন্ধি করে। পিঁপড়ার বাচ্চা দুধ পান করে বেচে থাকে।
তাই সৈ্নিক পিঁপড়া মাঠে গিয়ে এক প্রকার গাভীর ন্যায় পোকা আছে তাদেরকে আটক করে বাড়িতে নিয়ে আসে। পিঁপড়াদের মধ্যে আর এক প্রকার পিঁপড়া আছে তাদেরকে রক্ষনাগার পিঁপড়া বলে। তারা গাভীর ন্যায় পোকা থেকে দুধ পান করে পেটে জমা করে রাখে। বিপদের সময় বমি করে তাদের বাচ্চাদেরকে দুধ পান করায়। পিঁপড়া যখন পথ চলে তখন জ্যামিতিকভাবে চলে।
বন্যার সময় পানি যখন সব কিছু ভাসিয়ে নিয়ে যায় তখন অনেকগুলো পিঁপড়া একসঙ্গে দলা পাকিয়ে ফুটবলের মত ভাসতে ভাসতে ডাঙ্গায় চলে যায়। পিঁপড়াদের মধ্যে বিজ্ঞানী ও আছে । তারা পিঁপড়াদের দৈহিক বৃদ্ধির জন্য নিরলস গবেষণা করে যাচ্ছে। পিঁপড়া তার ওজনের প্রায় নয় গুণ বহন করতে পারে। পিঁপড়ার চলার পথে যদি কোন জলাশয় পরে তাহলে একটি পিঁপড়ার লেজে আরেকটি পিঁপড়া কামড় দিয়ে লম্বা শিকল তৈ্রী করে।
আর এই শিকল তাদের সাঁকোর ন্যায় কাজ করে। অন্যান্য পিঁপড়া এই সাঁকো দিয়ে পার হয়ে খাদ্যের সন্ধানে ওপারে যায়। পিঁপড়াদের দেহে ফরমিক এসিড আছে। যে সকল গুণ মানুষকে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসিয়েছে তার প্রায় সবই পিঁপড়েদের মধ্যে দেখা যায়। পিঁপড়েরা অতি সূক্ষভাবে জ্যামিতিক সুত্র মেনে চলে।
ত্রিকোনমিতির জটিল সুত্র কষে তারা পথ চলার দিক নির্ণয় করে। তারা জানে সমকোণকে সমান চারভাগে ভাগ করলে হয় ২২,৫ ডিগ্রী কোণ। এই কোণকে একক ধরা হলে প্রতিদিন পিঁপড়েরা অভিযানে যায় আগের দিনের অভিযাত্রার দিক থেকে ঘড়ির কাটার উল্টো দিকে ঘোরার রীতি অনুসরণ করে পাঁচ কিংবা ছয় কৌণিক একক দূরত্বের দিকে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।