আম্মার (রা: ) তখন ছিলেন একানব্বই-তিরানব্বই বছরের বৃদ্ধ, হাতে ছিল একটি ক্ষুদে বল্লম, বার্ধক্যের কারনে তাঁর হাত কাঁপছিল ।
তিনি বললেন, যার হাতে আমার জীবন তাঁর কসম! এ পতাকা (বল্লম ) নিয়ে আমি তিন বার তিনবার রসুলুল্লাহ (সা: ) এর সংগে থেকে যুদ্ধ করেছি, আজ এটি চতুর্থবার ।
এটা ছিল ৩৭ হিজরী, সিফফীনে (বর্তমান সিরিয়ার ফুরাত নদীর পাশে ) খালিফা আলী (রা: ) সাথে মু’আবিয়া (রা: ) যুদ্ধ ।
তিনি বললেন, আমার জন্য এক পাত্র দুধ নিয়ে আস ।
কেননা, রসুলুল্লাহ (সা: ) বলেছেন :
তুমি দুনিয়াতে সর্বশেষ পানীয় যা পান করবে তা তুমি পান করবে তোমার নিহত হওয়ার দিন ।
আম্মার (রা: ) এর কাছে দুধের শরবত নিয়ে আসা হলে তিনি হাসলেন এবং বললেন, রসুলুল্লাহ (সা: ) আমাকে বলেছেন, আমি সর্বশেষ যে পানীয় পান করব তা হবে দুধ- আমার মৃত্যুর (সন্নিকট ) সময়ে ।
এর পর আম্মার (রা: ) প্রতিপক্ষের উপর আক্রমন করলে আবুল গাসিয়া আলফাযারী তাঁর উপর পাল্টা আক্রমন করলে তিনি বাহন থেকে নিচে পড়ে যান । তার পর আর এক নর ঘাতক তাঁর মাথা কেটে শহীদ করে ফেলে ।
আম্মার (রা: ) ছিলেন খালিফা আলী (রা: ) পক্ষে ।
একবার আম্মার ইবন ইয়াছার (রা: ) অসুস্হ পড়লেন যাতে তিনি নিদ্রাহীনতার কারনে বেহুস হয়ে গেলেন ।
পরে তিনি চেতনা ফিরে পেলেন । তখন অনেকে তাঁর চার পাশে কাঁদছিলেন ।
তিনি বললেন, তোমরা কাঁদছ কেন? তোমরা কি আশংকা করছ যে, আমি আমার বিছানায় মৃত্যবরন করব?
আমার ‘প্রিয়ভাজন’ (সা: ) আমাকে অবহিত করে গিয়েছেন যে, বিদ্রোহী দল আমাকে হত্যা করবে এবং দুনিয়ায় আমার সর্বশেষ ‘পাথেয়’ হবে দুধের এক চুমুকে ।
১ হিজরীতে আম্মার (রা: ) জানতে পেরেছিলেন কি ভাবে তাঁর মৃত্য হবে ।
যখন রাসুল্লাহ (সা: ) মসজিদ (নব্বী ) নির্মাণের আদেশ দিলেন ।
সবাই একটি করে ইট বয়ে আনতে লাগলেন এবং আম্মার (রা: ) দুইটি করে ইট বয়ে আনতে লাগলেন । এতে আম্মার (রা: ) মাথা ধুলিমাখা হয়ে গেল ।
তখন রাসুল্লাহ (সা: ), আম্মার (রা: ) মাথা ঝেড়ে দিচ্ছিলেন এবং বলছিলেন,
“"তোমার কপাল হে সুমায়্যা তনয়! বিদ্রোহী দল তোমায় হত্যা করবে"” । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।