দৃষ্টির ধর্ম বড় কঠিন শীতকাল কবে আসবে সুপর্ণা শীতকাল কবে আসবে সুপর্ণা আমি তিনমাস ঘুমিয়ে থাকব – প্রতি সন্ধ্যায় কে যেন ইয়ার্কি করে ব্যাঙের রক্ত ঢুকিয়ে দেয় আমার শরীরে – আমি চুপ করে বসে থাকি – অন্ধকারে নীল ফানুস উড়িয়ে দেয় কারা, সারারাত বাজি পোড়ায় হৈ-হল্লা – তারপর হঠাত্ সব মোমবাতি ভোজবাজির মতো নিবে যায় একসঙ্গে – উত্সবের দিনহাওয়ার মতো অন্যদিকে ছুটে যায়, বাঁশির শব্দ আর কানে আসে না – তখন জল দেখলেই লাফ দিতে ইচ্ছে করে আমার মনে হয় – জলের ভেতর – শরীর ডুবিয়ে মুখ উঁচু করে নিশ্বাস নিই সারাক্ষণ – ভালো লাগে না সুপর্ণা, আমি মানুষের মতো না, আলো না, স্বপ্ন না – পায়ের পাতা আমার চওড়া হয়ে আসছে ক্রমশ – ঘোড়ার ক্ষুরের শব্দ শুনলেই বুক কাঁপে, তড়বড়ে নিশ্বাস ফেলি, ঘড়ির কাঁটা আঙ্গুল দিয়ে এগিয়ে দিই প্রতিদিন – আমার ভালো লাগে না – শীতকাল কবে আসবে সুপর্ণা আমি তিনমাস ঘুমিয়ে থাকব একবার ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠেই মেঘ ঝুঁকে থাকতে দেখেছিলাম জানলার কাছে – চারিদিকে অন্ধকার নিজের হাতের নখও স্পষ্ট দেখা যচ্ছিল না সেদিন – সেইদিন তোমার কথা মনে পড়তেই আমি কেঁদে ফেলেছিলাম – চুলে দেশলাই জ্বালিয়ে চুল পোড়ার গন্ধে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম আবার - এখন আমি মানুষের মতো না – রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে হঠাত্ এখন লাফ দিতে ইচ্ছে করে আমার – ভালোবাসার কাছে, দীর্ঘ তিনমাস আর মাথা নিচু করে বসে থাকতে ভালো লাগে না – আমি মানুষের পায়ের শব্দ শুনলেই তড়বড়ে নিশ্বাস ফেলি এখন – যে-দিক দিয়ে আসি, সে-দিকেই দৌড় দিই কেন এই দৌড়ে যাওয়া? আমার ভালো লাগে না শীতকাল কবে আসবে সুপর্ণা আমি তিনমাস ঘুমিয়ে থাকব মৃতসঞ্জীবনী যদি ভালোবাসা, প্রিয়, আমাকে বাঁচাতে পারে বাঁচবো তাহলে- খসে পড়া তারাগুলো নাহলে আমাকে নিয়ে মৃত তারাদের দেশে চলে যাবে- সেখানে সমাধি হবে আমারও বা লেখা হবে, আজব বিচিত্র এক নীল তারা, চশমাধারী প্রজাপতি, এখানে ঘুমোচ্ছে সারা জীবনের ঘুমে, যে তারাটি একা একা ছাতে বসে বুঝতে চেয়েছিল ভালোবাসা আজো কেন বিক্রি হবে চড়া দামে ভালোবাসা, রাজারহাটের তিন বেডরুমের মোলায়েম ফ্ল্যাট নাকি কোনো? শাদা কোনো টাটা সুমো? হলুদ বালিতে যায় ভরে যায় দেশ-বিদেশ, যাকে তোমরা মরুভূমি বলো সে মরুবালিও পথ শুঁকে শুঁকে এসে গেছে আমাদের ঘরে এসো তুমি ধবধবে বিছানায় দুঘন্টায় ধন্য হও পথের কুটীরে তিন গ্লাস স্বাধীনতা সঙ্গে পাবে শুধু তুমি, এখনো কেন যে ভাবো, ভালোবাসা ভালোবাসা মৃতসঞ্জীবনী কাটাকুটি কালো কালির ওপর লাল কালির মর্মান্তিক কাটাকুটি। ব্যাপারটা কিছুই নয়। ব্যাপারটা সত্যি তেমন কিছুই নয় যদি না মনে পড়ে কালো একটা ছেলে রক্তাক্ত ধানক্ষেতে শেষঘুমে ঘুমিয়ে আছে। আঁধার বিষয়ে যে বিকেলে জ্বর আসে সেই বিকেলের মতো তুমি এসে দাঁড়িয়ে রয়েছো। ঘড়ির ভেতর দিয়ে রক্তের রেখার মতো সময় চলেছে। -আমি কি অসুখ থেকে কোনোদিন উঠে দাঁড়াব না?আজো রাত জাগাজাগি হয়। শরীর মিলিয়ে যায় নরম শরীরে।-আমি শুধু আমার প্ থিবী দেখে যাই...। চারপাশে কেমন হাজারো আলো জ্বলে আছে,তবু এমন আঁধার আমি জীবনে দেখিনি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।