অদ্ভুত পৃথিবী
মধ্যরাতের টকশোতে নজিরবিহীন ঘটনার জন্ম দিয়ে ফের বিতর্কে এলেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে টকশোতে আলোচনা-বিতর্ক-উত্তেজনার একপর্যায়ে তিনি তেড়ে গেলেন বিএনপি নেতা, সাবেক মন্ত্রী রফিকুল ইসলাম মিয়ার দিকে। চোখ তুলে নেওয়ার হুমকি দিলেন। সরাসরি সম্প্রচারের কথা যেন ভুলে গিয়ে তিনি করলেন অশ্রাব্য ভাষার ব্যবহার, তুই-তোকারি, আরও কত কি! সোমবার রাতে বেসরকারি একটি টেলিভিশনে সরাসরি অনুষ্ঠানে মারমুখী এই আচরণের পর মন্ত্রী শাজাহান খানকে নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। সরকারের ভেতরে-বাইরে থেকে শুরু করে সব মহলেই সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হচ্ছেন এই প্রভাবশালী মন্ত্রী।
তিনি এখন বলছেন রাগের মাথায় তিনি কি যে বলেছন তা তার মনে নেই !!! বুঝলাম তিনি না হয় রাগের মাথায় বলেছেন কিন্তু এই সব মন্তব্য তিনি এক বার নয় এর আগে বহুবার বলেছেন তার এই সব বক্তব্য আমি আগের পোষ্টে লিখেছিলাম ওখান থেকে আবার আপনাদের জন্য তুলে ধরছি
বাসচালকরা ঘাতক না, তারা জনগণের সেবক -শাজাহান খান
সড়ক দুর্ঘটনার জন্য চালকেরা দায়ী নন- শাজাহান খান
প্রধানমন্ত্রীর ড্রাইভারও ফাইভ পাস- শাজাহান খান
শিক্ষিত হলেই গাড়ি চালানো যায় না- শাজাহান খান
দুর্ঘটনা বাড়েনি বরং কমেছে- শাজাহান খান
চালকদের ঘাতক বলবেন না-শাজাহান খান
বর্তমান সরকার কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী -শাজাহান খান
অনিয়মই যেন নিয়ম হয়ে গেছে- শাজাহান খান
ফসলের এক নম্বর শত্রু ইঁদুর - শাজাহান খান
খালেদা জিয়ার হাত শ্রমিকদের রক্তে রাঙা- শাজাহান খান
ছিলাম রাস্তায়, নামিয়ে দেয়া হয়েছে নদীতে - শাজাহান খান
বর্তমান সরকারের ৩ বছর স্বর্ণযুগ - শাজাহান খান
মন্ত্রীরা পদত্যাগ করবেন কোন দুঃখে- শাজাহান খান
বঙ্গবন্ধুর আমলে যে কাজ হয়নি তিন বছরে আমি তা করেছি-শাজাহান খান
ফেরি ভাড়া বৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে না-শাজাহান খান
জিয়া কেরানীর ভুমিকা পালন করেছিলেন-শাজাহান খান
সাংবাদিকদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বানাবো- শাজাহান খান
কিন্তু তার এই দাবি বিপক্ষে গোলাম মাঊলা রনি কি বলেছেন দেখুন
" স্টুডিওর মধ্যে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হলো। আমন্ত্রিত অতিথি, কলাকুশলী এবং উপস্থিত দর্শক মিলে শখানেক লোক তো হবেই। ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বললেন, এই সরকার চোর। আপনারা সবাই চোর, আপনাদের নেতা চোর, ইত্যাদি, ইত্যাদি। মন্ত্রীও কম যান না।
তিনি সমানতালে উত্তর করতে থাকলেন। সঞ্চালক বয়সে তরুণ, কিছুটা বিব্রত এবং একই সঙ্গে ভীতসন্ত্রস্ত মনে হলো। বাকবিতণ্ডা প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ের মতো ধ্বংসের দিকে এগোতে থাকল। কেউ কেউ মুচকি হাসছেন আবার দর্শক সারি থেকে কেউ কেউ তালি বাজাচ্ছেন। শিসও দিচ্ছেন অনেকে।
সঞ্চালক তার টকব্যাক বার বার অনুরোধ করতে থাকলেন শো বন্ধ করার জন্য। কিন্তু কে শোনে কার কথা। ক্যামেরাম্যানেরা বোধহয় খুব মজা পাচ্ছিলেন। তারা শো চালিয়ে রাখলেন। উপস্থাপক ঝড়ের তাণ্ডবে তখন থরথর করে কাঁপছেন।
মনে হলো কিংকর্তব্যবিমূঢ়। ব্যারিস্টার রফিক মিয়া টেবিলে থাপ্পড় দিয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন। মন্ত্রীও ততোধিক সজোরে হুঙ্কার ছেড়ে দাঁড়ালেন। আমি গিয়ে মন্ত্রীর হাত ধরে বললাম, ভাই কী হচ্ছে? তিনি ধীরস্থিরভাবে ফিসফিস করে উত্তর করলেন- সমস্যা নেই। আমি ঠিক আছি।
(জাতে মাতাল তালে ঠিক) পাগলের সঙ্গে পাগলামি না করলে তার পাগলামি থামে না। বেয়াদবের সঙ্গে বেয়াদবি না করলে মীমাংসা হয় না। "
আসলে এই সব লোকদের ন্যাড়া করে দেওয়া উচিত
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।