শেরপুরে ধর্ষণের পর দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ন্যাড়া করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হলেও মূল হোতা পলাতক রয়েছে।
জানা যায়, শ্রীবর্দী উপজেলার ওই মেয়েটিকে স্কুলে যাওয়ার পথে প্রতিদিনই উত্ত্যক্ত করত বখাটে শাহজামাল (২০)। ২০ জুন সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে জোর করে তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় সে। এরপর তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে।
পরে ২৩ জুন সকালে তাকে ন্যাড়া করে বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যায়। অচেতন অবস্থায় মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে শাহজামালের মামা আয়নাল হক (৩৮) ও আনোয়ার হোসেন (৪০) মেয়েটির বাবাকে অর্থের লোভ দেখিয়ে মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা চালান। তিনি রাজি না হলে হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়। স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, শাহজামাল বখাটে প্রকৃতির।
তার বিরুদ্ধে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
শাহজামাল, তার দুই মামা ও বাবা-মাসহ ছয়জনকে আসামি করে গত শনিবার শ্রীবর্দী থানায় মামলা দায়ের করেন মেয়েটির বাবা। রাতেই শাহজামালের মা সরুফা খাতুন (৪৫) এবং তার দুই মামাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে শাহজামাল পলাতক রয়েছে।
শেরপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
বর্বরোচিত এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শাহজামালকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আমার প্রশ্ন এর কি কোন প্রতিকার নেই। আর কতদিন চলবে এমন অপ্রীতিকর ঘটনা।
যারা এইরকম ঘৃণিত কাজ করে তাদের যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতো তাহলে আর এইসব অপকর্ম করার চেষ্টা ঐ সকল যুবকেরা করতে সাহস পেত না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।