Never argue with idiots. They bring you down to their level and then beat you with experience
ঢাকের কাঠির মিষ্টি রেশ, পুজো এবার হল শেষ। নতুন আশায় বাঁধি বুক, সবার ইচ্ছে পূরণ হোক। আসছে বছর আবার হবে, কে জানে কে কোথায় রবে। দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা মর্ত্যলোক ছেড়ে স্বর্গশিখর কৈলাশে স্বামীগৃহে ফিরে যাবে। পেছনে ফেলে যাবে ভক্তদের শ্রদ্ধা ও আনন্দমাখা জল।
ভক্তদের কাছে রেখে যাবে আগামী বছরে ফিরে আসার অঙ্গীকার। দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা এবার এসেছিল হাতির পিঠে চড়ে। আর আজ বিজয়া দশমীর দিনে দেবী সপরিবারে মর্ত্যলোক থেকে দেবালয়ে চলে যাবে নৌকায় করে। দেবীর বিসর্জনের আয়োজনে ভক্তকুল থাকবে বিষন্ন। সজল চোখে রাতে ভক্তবৃন্দ বিসর্জন দেবেন দুর্গতিনাশিনী মহাশক্তির দেবী প্রতিমাকে।
পূজামণ্ডপে থাকবে কেবলই বিষাদের ছায়া। ঢাক-ঢোল, কাঁসর-ঘণ্টাসহ বিভিন্ন বাদ্য, আলোকিত করা, ধূপ, আরতি ও দেবীর পূজা-অর্চনায় কেবলই মায়ের বিদায়ের আয়োজন।
গতকাল মঙ্গলবার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসবের চতুর্থ দিনে অনুষ্ঠিত হয় মহানবমী। এ উপলক্ষে রাজধানীর মণ্ডপগুলোয় ছিল উপচেপড়া ভিড়। মণ্ডপে মণ্ডপে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি ভিড় করেছিলেন অন্য ধর্মাবলম্বীরাও।
সকাল থেকে তারা গভীর রাত পর্যন্ত মেতেছিলেন দুর্গোৎসবে। ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির থেকে সিদ্ধেশ্বরী, বনানী থেকে রামকৃষ্ণ মিশন, তাঁতীবাজার থেকে ধানমণ্ডি, মোহাম্মদপুর সব মণ্ডপেই ছিল ভক্তদের শেষ মুহূর্তের দেবীদর্শন।
বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, দীর্ঘ সারিতে অপেক্ষা করে মণ্ডপের ভেতরে প্রবেশ করছেন ভক্ত-দর্শনার্থী। ‘মাকে এক বছরের জন্য পাওয়া যাবে না। তাই মায়ের কাছে আমার মনের যত ইচ্ছা আছে সব জানিয়েছি।
মা করুণাময়ী, আমার সব ইচ্ছাই পূরণ করবেন’ এভাবেই নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন প্রায় সবাই।
শিশু-কিশোর, আবালবৃদ্ধবনিতা সব শ্রেণীর মানুষের ভিড়ে রাজধানীর পুরান ঢাকা যেন পরিণত হয়েছে মিলনমেলায়। পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার ও তাঁতীবাজার মোড়ে আয়োজন করা হয়েছে মেলা। সেখানে বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য আর খেলনা নিয়ে বসেছেন দোকানিরা। এছাড়া অভিজাত এলাকার মণ্ডপগুলো ছাড়াও প্রায় প্রতি মণ্ডপে গতকালও ছিল আরতি প্রতিযোগিতা, ভোগ আরতি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
পূজার শেষ দিনে আজ বিভিন্ন মণ্ডপ থেকে বের হবে বিজয়া শোভাযাত্রা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।