আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিশুখাদ্য বাজারজাত আইন কঠোর হচ্ছে : সরকারের একটি কঠিন পদক্ষেপ

শিশুখাদ্য বাজারজাত আইন আরও কঠোর করা হচ্ছে। এ জন্য মায়ের দুধের বিকল্প বা কৃত্রিম শিশুখাদ্য (বাজারজাত নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ ১৯৮৪-এ সংশোধন আনা হবে। সংশোধনীতে আইন অমান্যের শাস্তি আরও কঠোর ও কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট বা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে পেশাদারদের সংযুক্তি নিষিদ্ধ হচ্ছে। গতকাল সোমবার রাজধানীর জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি প্রতিষ্ঠানে (আইপিএইচএন) ‘ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম ফর মিডিয়া রিপ্রেজেনটেটিভ অন বিএমএস মনিটরিং’ শীর্ষক কর্মশালায় সংশ্লিষ্টরা এ তথ্য জানান। ইউনিসেফের সহযোগিতায় আইপিএইচএন ও বাংলাদেশ ব্রেস্ট ফিডিং ফাউন্ডেশন (বিবিএফ) যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।

সভাপতির বক্তব্যে আইপিএইচএনের জাতীয় পুষ্টিসেবার ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. রুবেনা হক বলেন, বিদ্যমান আইনে কিছু দুর্বলতা আছে। সেগুলো সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এবারের সংশোধনীর মাধ্যমে দেশীয় আইনকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত ও বাস্তবায়ন করা হবে। বিকল্প শিশুখাদ্য হিসেবে কৌটা ও প্যাকেটজাত গুঁড়ো দুধ বাজারজাত করতে বেশকিছু আইন থাকলেও বহুজাতীয় ও স্থানীয় বেশির ভাগ কোম্পানিই তা মানছে না। এ নিয়ে ১৩ অক্টোবর বণিক বার্তায় ‘শিশুখাদ্য বাজারজাত: অধিকাংশ কোম্পানি আইন মানছে না’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।

বিবিএফের সেক্রেটারি এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. সুফিয়া খাতুন বলেন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালগুলোয় কর্তব্যরত চিকিত্সকদের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, বেশির ভাগ চিকিত্সকই গুঁড়ো দুধ কেনার বিষয়ে মায়েদের প্রভাবিত করছেন। এ ছাড়া কোন কোম্পানি কোন পর্যায়ে কী ধরনের আইন অমান্য করছে, তাও নজরে আনা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালের আইনটির কয়েকটি ধারা ১৯৯০ সালে সংশোধন করে আরও শক্তিশালী করা হয়, যা দ্য ব্রেস্ট মিল্ক সাবস্টিটিউশন (রেগুলেশন অব মার্কেটিং) (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ১৯৯০ বা বিএমএস কোড নামে পরিচিত। এর ৩, ৪ ও ৫ ধারায় শিশুখাদ্য বাজারজাতকরণে বেশ কয়েকটি শর্ত দেয়া হয়েছে। উপহারসামগ্রী বা মূল্য ছাড়ের প্রলোভন দেখিয়ে কৌটা ও প্যাকেটজাত শিশুখাদ্যের প্রচারণা চলানো যাবে না।

‘এ খাদ্য সম্পূর্ণ রোগজীবাণুমুক্ত নয়’— মোড়কের গায়ে বড় করে লিখে দিতে হবে এ সতর্কবার্তা। আইনে এসব কথা বলা থাকলেও অধিকাংশ কোম্পানির বিরুদ্ধেই তা লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিবিএফের পরিচালক খুরশীদ জাহান, বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাজনীন আক্তার বানু, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্য ডা. মজিবুর রহমান ভূইয়া ও আইপিএইচএনের জাতীয় পুষ্টিসেবার প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মোস্তাফিজুর রহমান।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.