লক্ষ্যহীন জীবন, তবু ছুটে চলাই নিয়োতি, এটুকুই আমি। তিনি ঢাবি'র একজন খন্ডকালীন শিক্ষক। আমি যতদূর জানি, তার মাসিক বেতন ৫০০০ টাকা। হ্য়তো এর চেয়ে ২/১ হাজার টাকা বেশিও হতে পারে। কিন্তু এই ৫/৭/৮ হাজার টাকা্য ঢাকা শহরে একটা মানুষ কতদিন চলতে পারে?? ডিপার্টমেন্টাল রাজনীতির টানাপোড়নে তার আর পূর্ণকালীন শিক্ষক হবার সুযোগ হচ্ছেনা, এত দিনের মায়ার টান ফেলেও যে্তে পারছেন না।
তাই ক্লাশে দু:খ করে বলেন, "আমার মত বেকার তোমরা কেউ হয়োনা"।
শিক্ষকদের বেতন প্রসন্গে একটা গল্প পড়েছিলাম, কার মনে পড়ছেনা। মূলকথা এরকম, 'লাট সাহেবের কুকুরের একটি পায়ের পিছনে যত খরচ হয়, আমাদের শিক্ষকদের বেতন তার চেয়েও কম'। দূর্ভাগ্য আমাদের, ইংরেজ বিতারনের ৬৫ আর পাকি হানাদার বিতারনের ৪১বছর পরেও আমাদের শিক্ষকদের অবস্থা অপরিবর্তিত। আর একারনেই একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের বেতন এর চেয়ে ব্যাংকের কেরানীর বেতন ঢেড় বেশি।
অথচ আমরা এখনো আমাদের শিক্ষার উন্নতির কথা বলি, ঐ অধ্যাপক বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালে ক্লাশ নিতে গেলে বা কনসালট্যান্সি ফার্মে যোগদান করলে খুব আয়োজন করে তাকে গালি দেই। আফসোস্, তা পেট কিভাবে চলবে সেই কোজ কেউনেই না। কিন্তু আর কত দিন?? আর কতকাল তারা শুধুই সম্মানের জন্যে কাজ করবেন??
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।