২০৩১ সাল। জনৈক আবুল সাহেব কদিন থেকে খুব
ব্যাস্ত। ছেলেকে বিশ্ববিদ্যালেয়ে ভর্তির জন্য খুব
ছোটাছুটি করতে হচ্ছে। এবার আবার শুধু
মুক্তিযোদ্ধার বংশধরের জন্য স্পেশাল
বিশ্ববিদ্যালয় সেশন, অর্থাত্ এবার কোন সাধারণ
শিক্ষাথী ভর্তি হতে পারবেনা। আবুল সাহেবের
দাদা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন সেই বংশধর কোটায়
ছেলেকে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় সনদ তুলতে হবে।
সকালবেলা নাখেয়েই বের হয়েছেন। হোটেলে খাবেন
কিন্তু অনেক ভীড় তবে সরকারী চাকুরিজীবী কোটার
সুবাদে আগে খাবার পেয়েছেন, হোটেল বাসার
কাছে হওয়ায় মহল্লা কোটায় বিলেও কিছুটা ছাড়
পেয়েছেন। খাওয়া শেষে বাসে উঠে বয়স্ক কোটায়
কষ্টে একটা সিটও পেয়েছেন। ভাড়া দেওয়ার সময় তার
পাশের লোকটি ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারী দল
করে বলে আদর্শবাবা কোটায় হাফ ভাড়া দিলেন।
এক্ষেত্রে অবশ্য অবুল সাহেবের কোন কোটা নেই।
মন্ত্রনালয়ে গিয়ে চোখ চড়ক গাছ, রাস্তা পর্যন্ত
বিশাল লাইন। বেশির ভাগই ছাত্ররা নিজেরাই
এসেছে তাই সময়ের মুল্য কোটায় তারা লাইনে আগে।
সারাদিন রোদে দাড়িয়ে অবুল সাহেবের সিরিয়াল এল
বিকেল বেলা। অবশ্য এসএসসি ও এইচএসসিতে বাংলায়
এ+ পেয়েছেন বলে ব্যাকরণবিদ কোটায় আবুল
সাহেবকে কোন ফরমাল দরখাস্ত করা লাগলোনা। সনদ তুলে বাসায় ফিরে খয়েদেয়েই শুয়ে পড়লেন।
তবে শেয়ার আগে স্ত্রী তাকে মনে করিয়ে দিলেন আগামীকাল কিন্তু শুক্রবার গৃহিনী কোটায় কাল আমার বিশ্রাম সংসারের আগামীকালের সব কাজ কিন্তু তোমার..... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।