একজন নির্ভিক পুংটার কোন বন্ধু নেই। কাজী মোহাম্মদ রেজওয়ানুল আহসান নাফিসক মার্কিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কারী বাহিনী আটক করেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকের সাহার্য্যে নিউইয়র্কে অবস্থিত ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা /পরিকল্পনা করেছিলেন । যুক্তরাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বিপদ কেটে গেছে। নাফিসের সাথে থাকা বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এখন নাফিসের উদ্দেশ্যে একটু আলোকপাত করা যাক। নাফিস খুব সম্ভবত আমারিকার আগ্রাসী পররাষ্ট্রনীতি এবং ইসলামের প্রতি অবিচার তথা ইসলামের শুত্র দেশকে ধংস করার পণ নিয়ে এই দ্বায়িত্ব নিয়েছিলেন। যদি নাফিস তার পরিকল্পনায় সফল হতো তাহলে কি হতো? অনেক নিরাপরাধ মানুষ মারা যেতো যার মধ্যে হয়তোবা অনেক নিরাপরাধ মুসলিম থাকতো যাদের জীবন হয়তোবা অফিস, বাসা, পরিবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। আরো অনেক নিরাপরাধ মানুষ যারা ইসলামের কোন ক্ষতি করেনি । ছোট্ট শিশু যে ইসলামের নাম পর্যন্ত শুনেনি সেই ছোট্ট তার স্বজনকে হারাতোইসলামের কারণে, সেই ছেলেটি ইসলামকে কিভাবে দেখবে বাকি জীবন? এই হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত সকল মুসলমানদের সন্দেহর চোখে দেখবে।

সেই সব মানুষ যারা ওই সন্ত্রাসী হামলার তাদের স্বজন হারিয়েছেন তারা তাকাবে ঘৃণার চোখে। ইসলামের বিরোধিতাকারীদের দলে আরো কিছু দল যোগ দিবে। পাকিস্তানের মত বাংলাদেশকেও সারাবিশ্ব দেখবে কট্টরপহ্নি জঙ্গী রাস্ট্র হিসেবে। পৃথিবীর অনেক দেশ মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির বিরোধিতা করে। অনেক দেশ মার্কিন ষড়যন্ত্রের শিকার।

বাংলাদেশ ও সেই ভুক্তভোগী দেশগুলোর তালিকার একটি দেশ। কিন্তু তাই বলে আমরা সেই দ্বায়ভার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ জনগনের উপর চাপানো অনুচিত। আমার স্বাধীনতা যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন কঠোর ভাবে বিরোধিতা করেছিলো। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ জনগণ কিন্তু আমাদের সাথেই ছিলো। বাংলাদেশের পক্ষে জন্য সব ধরনের প্রতিবাদ তারা করেছিলো ।

বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা এবং সামাজিক যোগাযোগের সাইটে সবাই নাফিসের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। সবাই বলছে নিরাপরাধ মানুষকে হত্যা এটা ইসলাম নয়। তার মানে ইসলামের শুক্র তার উগ্র ধর্মান্ধ বান্দাদের সৃষ্টি? বিভিন্ন বয়সী ছেলেমেয়েদের বাব- মা... যারা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং প্রোফাইল মেইন্টেন করেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি... আমাদের আপনারা খারাপ ভাবেন (বিশেষ কইরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবী রে যারা এই দেশ থেকে ইসলাম ধর্ম ধ্বংসের ষড়যন্ত্র ভাবেন) আর যাই ভাবেন... নিজের পোলা মাইয়াগুলারে নিজদের স্বার্থেই এইবার সামলান নইলে আপনের অগোচরে আপনের চেয়ে বেশী ইসলামী জেহাদী চেতনা নিয়া এই পোলা হিজবুতি/শিবির মিটিং এ অংশগ্রহন করবো... আর এই রকমভাবে একটা বিরাট খারাপ চক্রের খপ্পরে পইড়া নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জীবন অতিষ্ঠ কইরা ছাড়বো... ও আরেকটা কথা... সবসময় যে বিস্ফোরক নকল হইবো তার কিন্তু গ্যারান্টী নাই... দেখা যাইবো সে নিজে বেহেস্তে গিয়া হুর সঙ্গম করতাছে আর পরিবারের সদস্যদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ডান্ডার বাড়ির সঙ্গম করাইতাছে ।