আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোরবানির হাটের তিক্ত অভিজ্ঞতা

তখন পকেট এর অবস্থা যা তা আয়ের উৎস বলতে, আম্মুর কানের পাশে ছোট বাবুদের মত প্যাঁক প্যাঁক করা আর ঐ সময় কোরবানির সময় ছিল, এলাকার ছেলেদের রমরমা আয় দেখে আমাদের এলাকার বড় ভাইরা হাটের ডাক নিয়েছিলেন, তাদের একজনকে বললাম, হাটে যদি হাসিল লেখার জন্য লোক লাগে আমাকে ডাক দেয়ার জন্য । চট্টগ্রাম সিটি এলাকার ভিতরে ২টা বড় গরুর হাট, একটা সাগরিকা গরুর বাজার ( যা আমার বাসার কাছে ), অন্যটা বহদ্দারহাট গরুর বাজার ঐ ভাই হাটের শেষ দিনের আগের দিন ফোন করে বললেন, তোমাকে কাল বহদ্দারহাট এ কাজ করতে হবে যথারীতি সকাল বেলা হাজির হলাম, বহদ্দারহাট এ আমার ঠিকানা হল ঠিক রাস্তার মোড়ে চট্টগ্রাম শপিং কমপ্লেক্স এর বিপরীত সাথে অন্য এলাকার ২ জন । যাই হোক সারাদিন কাটালাম নানান রঙের গরু দেখে, সাথে মানুষ, রাস্তার যানবাহন দেখে আর টাকার বিভিন্ন নোট গণনা করে আর সেই সাথে ছিল, বন্ধু-বান্ধবিদের ফোন কল, "হাম্বা, কিরে কাঙ্গাল তুই নাকি, তুই নাকি বড়লোক হওয়ার জন্য গরুর হাটে" হাম্বা, হাম্বা রাখ হারামিরা রাত ৯টা বাজে বয়সে বড় এক ভাই (ঝানডু লাল) এসে বলে, তোমাদের পকেট চেক করা হবে আমার মেজাজ এক লাফে যখন সপ্তম আসমানে, তখন পাশের ২জন দেখি দাড়িয়ে, আমায় বসে থাকতে দেখে ঝান্ডু লাল বলে উঠে, কি ব্যাপার আমার কথা কানে যায় না আমার উত্তর, কানে গেছে কিন্তু পছন্দা হয় নাই কিছুক্ষণ পাল্টাপাল্টি উতপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর, আমার এলাকার নাম জেনে, ফোন করে আমাদের এলাকার এক বড় ভাইকে আসতে বলেন বড় ভাই এসে বললেন, একে ছাড়া বাকি ২জনকে চেক করেন আর তুমি আমার সাথে চা খেতে চল.. চা খেতে খেতে উনি অনেক কিছু বললেন ডট ডট ব্লা ব্লা অবশেষে, আমি আমার প্রাপ্ত মুজুরি নিয়ে, রাতের ২ ঘটিকায় চা এর সাথে নান রুটি আর পরটা খেয়ে রাগ কিছুটা কমালাম বাসায় এসে আয়নার সামনে দাড়িয়ে বললাম, "মানুষের পকেট থেকে নিজের পকেটে টাকা হাওয়ায় উড়ে আসে না" নিজের কান দুখানা টেনে বললাম, "শূন্য পকেট এ ঘুরতে রাজি আছি, কিন্তু মুখের উপর কারো বড় কথা শুনতে রাজি নাই"

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।