আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লালন স্মরণ উৎসব। কুষ্টিয়া থেকে ঘুরে আসুন।

কুষ্টিয়ায় আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে ৫ দিন ব্যাপি লালন স্মরণ উৎসব । বন্ধুরা সময় পেলে ঘুরে আসতে পারেন কুষ্টিয়া থেকে। কুষ্টিয়া : জেলা পরিচিতি সাহিত্য ও সংস্কৃতির রাজধানী হিসেবে পরিচিত কুষ্টিয়া জেলার উত্তর পশ্চিম এবং উত্তরে পদ্মা নদীর অপর তীরে রাজশাহী, নাটোর ও পাবনা জেলা, দক্ষিণে ঝিনাইদহ জেলা, পশ্চিমে মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলা এবং ভারতের নদীয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলা এবং পূর্বে রাজবাড়ী জেলা অবস্থিত। ভারতের সাথে কুষ্টিয়ার ৪৬.৬৯ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা আছে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত এই কুষ্টিয়া শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে বাংলাদেশকে করেছে সমৃদ্ধ।

এছাড়াও বাউল সম্রাট লালনের তীর্থভূমি এবং বিষাদ সিন্ধুর রচয়িতা মীর মশাররফ হোসেন পুরাতন কুষ্টিয়া হাটশ হরিপুর গ্রামে গীতিকার, সুরকার ও কবি আজিজুর রহমানের বাস্ত্তভিটা ও কবর, এ জনপদে জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট কবি দাদ আলী, লেখিকা মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা, ‘‘এই পদ্মা এই মেঘনা’’ গানের রচয়িতা আবু জাফর, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমান, কুষ্টিয়ার সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতিষ্ঠাতা কাঙাল হরিণাথ, নীল বিদ্রোহের নেত্রী প্যারী সুন্দরী, স্বদেশী আন্দোলনের নেতা বাঘা যতিন, প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী, সঙ্গীত শিল্পী মোঃ আব্দুল জববার, ফরিদা পারভীন সহ অসংখ্য গুণীজনের পীঠস্থান কুষ্টিয়াকে সমৃদ্ধ করেছে। দর্শনীয় স্থান: শিলাইদহ কুঠিবাড়ী, লালন শাহের মাজার, মীর মশাররফ হোসেনের বাস্ত্তভিটা, মুজিবনগর(মেহেরপুর), ঝাউদিয়ার শাহী মসজিদ, আড়-য়া পাড়ার নফর শাহের মাজার, কুমারখালী বাজারে দরবেশ সোনা বন্ধুর মাজার এবং সাফিয়ট গ্রামের জঙ্গলী শাহের মাজার, জর্জবাড়ী, মুহিষকুন্ডি নীলকুঠি, কালীদেবী মন্দির, মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ‘মুক্তবাংলা’। কিভাবে যাবেন? ঢাকার গাবতলি কিংবা টেকনিক্যাল মোড় থেকে এসবি, শ্যামলী, হানিফ, সোহাগ, খালেক প্রভৃতি পরিবহনের গাড়ি বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে ঢাকা-কুষ্টিয়া সরাসরি চলাচল করে এছাড়াও ঢাকা-কুমারখালি সরাসরি অনেক বাস চলাচল করে। এছাড়াও কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সুন্দরবন ও ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে চিত্রা ট্রেনে যেতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে কুষ্টিয়ার অদূরে অবস্থিত পোরাদহ রেল স্টেশনে নেমে বাস কিংবা CNG করে শহরে আসতে হবে।

শহর থেকে রিক্সা অথবা অটো রিক্সা করে লালন শাহের মাজার যেতে পারেন। থাকা-খাওয়া থাকার জন্য শহরেই মানসম্মত অনেক হোটেল পাবেন। এর মধ্যে পদ্মা, হোটেল রিভার ভিউ, গোল্ড ষ্টার, সানমুন অন্যতম। খাওয়ার জন্য রয়েছে অসংখ্য রেস্টুরেন্ট তার মধ্যে জাহাঙ্গীর হোটেল, শিল্পী হোটেল, শফি হোটেল, হোটেল খাওয়া-দাওয়া, মৌবন রেস্টুরেন্টসহ ৩টি ভাল মানের চাইনিজ রেস্টুরেন্ট পাবেন এখানে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.