ইসলামের মহান আদর্শ আল্লাহর পেয়ারা হাবিব যে হায়াতুন্নবি তার প্রমান মিলে তার পরলোক গমনের ৭ শত বছর পর ।
তখন আরবের শাসনকর্তা ছিলেন একজন খোদা ভিরু ন্যায় পরায়ণ ।
নবীজীর রওজা মোবারক থেকে দয়াল নবীজীর পবিত্র দেহ
মোবারক , সরিয়ে নেওয়ার জন্য দুই বদকার ইহুদি আলেমের বেশ ধরে মদিনা থেকে ৭০ কিমি দূরে এক জঙ্গলে আশ্রয় নেয় ।
এবং সেখান থেকে সুড়ঙ্গ তৈরি করে মদিনা বরাবর এগুতে থাকে ।
দিনে নামায পড়ে আর রাতের বেলায় কাজ করে ।
এভাবে বহুদিন কাজ করে এক পর্যায়ে মদিনার কাছাকাছি চলে
এলে , দয়াল নবীজী বাদশাকে স্বপ্নে দেখা দেন এবং দুই জগন্য
বদকারের দুরভিসন্ধি জানিয়ে দেন ।
বাদশা শাহি এলান জারি করেন সারা এলাকার সব লোক যেন
মদিনায় জরু হয় । মদিনার বাদশাহি ফৌজ তৎক্ষণাৎ সমস্ত মানুষকে একত্রিত করার জন্য তৎপর থাকে ।
সবাই উপস্থিত হলে নবীজীর রওজা মোবারক কে রক্ষনাবেক্ষনের জন্য শলা পরামর্শ করেন ।
আর এদিকে জংগলের দুই জন অসৎ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে
শাহি দরবারে আনা হয় ।
তাদের রিমান্ডে নিলে বেদীন মুশ্রেকদের ষড়যন্ত্রের নিল নক্সা বেরিয়ে আসে এবং এহেন জগন্য অপরাধের জন্য শোলে ছড়িয়ে
তাদের মৃত্যু দণ্ড কার্যকর করা হয় ।
বাদশা রওজা মোবারকের চারিদিকে ১০০০ মিটার ব্যাবধানে
১০০০ ফিট গভির মাটির নিচ থেকে লোহা ও গলিত শিসার
প্রাচির গড়ে তুলে ।
আল্লাহর নবীর জুতা মোবারকের ছোঁয়ায় আরশ মহল্লা ধন্য
হয়েছিল আর দুনিয়ার জমিনে অবস্থান মানুষের জন্য তিনি কত
টুকু রহমত ও শান্তি একটু ভাবুন । দৈনিক সয়ং খোদা এবং তার
অসংখ্য ফেরেস্তারা তার শান্তিতে দরুদ ও ছালাম ভেজে আমাদের কে তাগিদ দিয়েছেন দরুদ ছালাম প্রেরনের জন্য । কোরআনের আয়াত সুরা আযহাব ৫৬ ।
তিনির মাধ্যমে সমস্ত উম্মতের নাজাত বা বেহেস্ত দুযখের
ফলাফল দিবেন আল্লাহ । সুতরাং তার পাক রওজা জিয়ারত করা
বেহেস্ত লাভের চাইতেও বেশি ফজিলত । আল্লাহ আমাদের
ঈমানকে হেফাজত ও হেদায়েত দিন । নবীজীর চরন মোবারকে
দরুদ ও ছালাম আচ্ছালামু আলায়েকা ইয়া তাজদারে মদিনা দুজাহান কা সুলতান রহমতে আলম রাছুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হেওয়াচ্ছাল্লাম । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।