শুক্রবার বেনজির হত্যা মামলার শুনানির জন্য আদালতে যাওয়ার পথে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে তাকে গুলি করা হয়। মারাত্মক আহত জুলফিকারকে হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মৃত্যুবরণ করেন বলে জানিয়েছে বিবিসি অনলাইন।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে ইসলামাবাদের জি-৯ সেক্টরের নিজ বাড়ি থেকে গাড়ি চালিয়ে আদালতে যাওয়ার সময় তাকে লক্ষ্ করে গুলিবর্ষণ করে মোটরসাইকেলে করে আসা দুজন বন্দুকধারী। গুলিতে আহত জুলফিকার গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে তা পথচারী এক নারীকে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই ওই নারী মারা যান।
হামলায় জুলফিকারের এক দেহরক্ষী আহত হয়েছেন।
হামলার পরপরই বন্দুকধারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
বন্দুকধারীদের গুলিতে জুলফিকারের গাড়িটি ঝাঝড়া হয়ে যায়।
কি কারনে এবং কেন জুলফিকারকে হত্যা করা হলো সে সর্ম্পকে কিছু জানাতে পারেনি ইসলামাবাদ পুলিশ।
২০০৭ সালে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি শহরে এক নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে গুলি ও বোমা হামলা চালিয়ে বেনজির ভুট্টোকে হত্যা করা হয়। বেনজির হত্যাকাণ্ড ছাড়াও জুলফিকার ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলারও তদন্তকারী আইন কর্মকর্তা ছিলেন।
পাকিস্তানি জঙ্গিদের তিনদিনব্যাপী লাগাতার ওই হামলায় মুম্বাইয়ে ১৬৬ জন নিহত হয়েছিল। এ ঘটনার জন্য ভারত পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করেছে।
বেনজির ভুট্টোর হত্যার সময় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় পাকিতস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে গৃহবন্দী মুশাররফের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগের তদন্ত চলছে।
এখনো পর্যন্ত কোনো পক্ষ বেনজির হত্যাকাণ্ডের দায়িত্ব স্বীকার করেনি।
জুলফিকারের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডির আইনজীবীরা ধর্মঘট ডেকেছেন বলে জানিয়েছে দৈনিক ডন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।