কয়েকদিন পূর্বে এক রাতে টেলিভিশনের চ্যানেল পরিবর্তন করতে করতে একটি নাটকের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলাম। প্রায় অনেক সময় দরেই মনোযোগ সহকারে নাটকটি দেখলাম, ফাহিম মিউজিকস নিবেদিত ঢাকা শহরের পড়–য়া শিক্ষার্থীদের মেস জীবন নিয়ে বাস্তব কিছু চিত্র তুলে দরা হয়েছিল। নাটকটি দেখার পর সাধারন মেস গুলোর ব্যাপারে অনেক বিষয়ে অবহিত হলাম এবং মনে হল, উপর ওয়ালা বুঝি আমাকে স্বজতেœই ছাত্রজীবনে তত্ত্বাবধান করেছেন। আজ ছাত্রজীবন শেষ করে আমাকে বলতেই হচ্ছে, আমি যে মেসটিতে থেকে আমার ছাত্রজীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় অতিবাহীত করেছি যে সময়টাকে বলা হয়ে থাকে মানব জীবনের সোনালী সময়। সেখানে ছিল কিছু সুস্থ মনমানসিকতা সম্পন্ন ছাত্রদের দ্বারা পরিচলিত একটি আদর্শ মেস জীবন।
যেখানে নৈতিকতা সম্পন্ন মানুষ হিসেবে নিজকে গড়ার জন্য উৎসাহিত করা হত। হয়তোবা আমি ওই ভাইদের দেখা না পেলে যুগের হাওয়ার যে নগ্ন সংস্কৃতি তার সাথে ভেসে যেতে বাধ্য হতাম। আজ যখন এ বিষয়ে পাঠকের দৃষ্টিআকর্ষণ করছি তখন খুব বেশি করে মনে পড়ছে সেই মেস লাইফটি। আর প্রাণভওে দোয়া করছি সেই ভাইদেও জন্য। যারা কোন প্রকার স্বার্থ ছাড়াই আমার মত হাজারো ছাত্রকে তত্ত্বাবধান করছে।
তাদের মত করে আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব আছে, আমাদের এই যুব সমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার ক্ষেত্রে। সেক্ষেত্রে তারাই কেবল নিঃস্বার্থভাবে এ ভাইদেরকে সৎ কাজে উৎসাহিত করতে পাওে যারা ওই বৃদ্ব মানুষটির মত চিন্তা করতে পারবে। যিনি মাইলের পর মাইল হেটে পাড়ি দিচ্ছিলেন তার গন্তব্য পানে পৌছানোর জন্য। একটা সময় এসে তার সামনে পরে এক তীব্র ক্ষর¯্রােতা নদী যেটি পার হবার জন্য ছিল না কোন তরী এবং কোন সেতু। সে বৃদ্ধ দমে না গিয়ে বহু কষ্টে সাতরিয়ে নদী পার হলো।
নদী ওপারে গিয়ে বৃদ্ধ একটি সেতু নির্মান করা শুরু করল। তা দেখে অন্য একজন লোক বলল-ওহে বৃদ্ধ তুমি তো আর কখনো এই পথে আসবে না। তবে কেন মিছেমিছি এই কষ্ট করছ? বৃদ্ধ জবাব দিলেন-আমি আমার সুনামের জন্য এই পুলটি তৈরি করছিনা। আমার পরে এই পথে আসবে আগামীর যে তরুন যাত্রীরা, তাদের জন্যই আমি এই পুলটি নির্মান করে যাচ্ছি, যেন তাদেরকে আমার মত এই কষ্টের সম্মুখীন না হতে হয়।
প্রয়ি পাঠক, এখনকার জনোরশোনটা যনে এমন হয়ে গেছে আমি বশ্বিবদ্যিালয়ে পড়ি আমার গার্লফ্রেন্ড থাকবেনা কিংবা বয়ফ্রেন্ড থাকবে না এটাতো আনস্মার্টনেসের পরচিয়।
আধুনিক সমাজতেো এটা কল্পনাই যনে করা যায় না। যার কপাল ভাল অনেকেই বশ্বিবদ্যিালয়রে প্রথম দিনেই তার দীর্ঘ সফর সঙ্ঘীকে খুঁজে নেয়। খুব সুন্দর কিংবা হেন্ডসাম না হলেও আপাতত চলে আরকি। সামনে চইেঞ্জ করে নেয়া যাবে। অনেকের আবার এমন কর্ম সাদন করতে কয়েকমাসও লাগতে পারে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখাযায়, একজন বয়ফ্রেন্ড তার একজন গার্লফ্রেন্ডের আঁড়ালে আরো অনেককে পোষ মানিয়ে নিতে সক্ষম হয়। তবে খুব সাবধানে! কারন সবার সাথে তার সম্পর্ক থাকা চাই। যাতে কেউ টের না পায় যে, আমি একজন চোর বা প্রতারক। তাদের মধ্যে কথা হতে থাকে মোবাইলে (রাত কি দিন যে কোন সময়), পার্কে গোরাফেরা করা, ফাস্টফুড এ আড্ডা ছাড়াইতো ফ্রেন্ডশীপ জমবেইনা।
এতে করে একজন ছাত্র পড়ালেখা করার জন্য যতটা সিরিয়াস থাকে তার থেকে বেশী সিরিয়াস থাকে তার গার্লফ্রেন্ডকে রেস্টুরেন্টে নতুন নতুন আপ্যায়ন করানোর জন্যে।
আর রাতদিন এরকম একটি জন গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদন করতেতো অর্থের বিকল্প কি কিছু আছে বলে মনে হয়। আমার বাবা হয়তোবা জমি চাষ করে আমার জন্য টাকা পাঠাচ্ছ,ে প্রথমে এসে আমি বলছেলিাম আমার ৫০০০ টাকা হলে মাসে চলব। ে কন্তুি কছুিদনি যতেে না যতেইে আমার প্রয়োজন দ্বগিুণ বড়েে গলেো। কারন আমতিো এখন আর একা নই। আমযিে এখন দুজন হয়গছে।
ি রাত হয়ছে,ে মোবাইলে কথা বলা শুরু হয়ে গছেে এবং সে যে কথা কোন সুস্থ মনরে মানুষ এ দরনরে বাজে এবং অশালনি কথা কখনোই ধর্যৈ ধরে শুনতে পারকনিা আমার সন্দহে হয়। আমি একদনি এক মসেে যয়েে দখেি মসেরে এক রুমমটে সে র্ভতি কোচংি করার জন্য ঢাকায় এসছে। ে তার রুমে ডুকে দখেি এরকম গরমরে মধ্যে সে কাঁথা মুডদেয়িে গুমাচ্ছ। ে ভাবলাম ভাইয়রে মনহেয় অসুখ করছে। ে র্ পাশ্বে ভাইকে বললাম য,ে ভাই উনার অসুখ বসিুখ হয়নতিো আবার।
উনি আমার কথা শুনে হাসতছে। ে আমি খুব র্আশ্চয হলাম উনার হাসি দখে। ে পরক্ষনে আমি যয়েে উনার কাঁথার একপাশ তুলতে না তুলতইে দখেতে পলোম উনি মোবাইল কানে কথা বলছনে। পরে জানতে পারলাম, মসেে কয়কে ঘন্টা দরে মোবইলে কথা বলায় রস্ট্রেকিসান আছ। ে পাঠক একটু ভাবুনতো আমি আপনি কোথায় যাচ্ছ।
ি কসিরে পছিনে পচিনে আমরা চুটছ। ি আমার মনে হল এদরকেে সচতনে করার জন্যই বুঝি ইসলামরে র্চতুথ খলফিা তাঁর ছলেকেে বলছেলি:
যইে লোক বশেী কথা বলে তার ভুল বশেী হয়,
যার বশীে ভুল হয় তার বশীে মথ্যিা কথা হয়,
যার বশীে মথ্যিা কথা হয়, তার ওজন কমে যায়
আর যার ওজন কমে যায় সে জাহান্নামরে অধবিাসী হয়ে যায়।
................................................চলবে................................................. ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।