মনপুরার হাজির হাট ইউনিয়নের পশ্চিম পাশের মেঘনা থেকে উদ্ধারকৃত লাশ কাকের কবলে
ভোররাত থেকে অজ্ঞাত জেলের লাশ পড়ে আছে মেঘনার তীরে। কাকের খাবার হওয়া এই লাশ দেখতে এলাকাবাসী ভিড় জমায়। শনিবার সকাল থেকে ভেসে উঠতে থাকে ঘূর্নিঝড়ে নিখোঁজ হওয়া জেলেদের একের পর এক লাশ। কখনো উত্তর দিক থেকে ভেসে আসে লাশ পাওয়া খবর। আবার কখনো দক্ষিণ দিক থেকে।
যেন নাড়ির টানেই এসব লাশ সাগর থেকে নিজ এলাকায় ফিরে আসছে। আর লাশের কথা শুনতেই ছোটা ছুটি শুরু করে নিখোঁজ জেলেদের স্বজনরা। কেউ স্বামী, কেউ বাবা, কেউ ছেলে আবার কেউ ভাইয়ের খোঁজে। স্বজন হারা মানুষের হাহাকার আর কান্নায় মেঘনার পাড়ে সৃষ্টি হয়েছে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের। ১৪ অক্টোবর রবিবার পর্যন্ত মনপুরা উপজেলার জনতা বাজার মৎস্যঘাট ও চরঘের গ্রামের মেঘনা নদীতে আরো ৫ জেলের লাশ ও চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর ইউনিয়নের মেঘনার হাইলার চর ও চরনিজামের উত্তর সাগুছিয়া থেকে আরো ৪ জেলের লাশ ভেসে উঠেছে।
তবে ৪টি লাশের পরিচয় পাওয়া গেলেও এখন পর্যন্ত বাকি ৫জনের নাম পরিচয় মেলেনি। এ নিয়ে ভোলায় সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৪ জনে। এদের মধ্যে মনপুরায় ৮জন ও চরফ্যাশনে ৬ জনের লাশ পাওয়া গেছে। তবে এখনো অসংখ্য জেলে নিখোঁজ থাকায় লাশের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে স্থানীয় জেলেরা মনে করছেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।