আমি বরঞ্চ তাঁর অনুরাগীদের দলেই। সমালোচনার খাতিরে তাকে ছোট করার মতো মানসিকতা বা ধৃষ্টতা দেখাব না। চলচিত্রের জ্ঞান আমার একদম নড়বড়ে হলেও দর্শক হিসাবে ভাললাগা মন্দলাগা বলতেই পারি, কেননা দিন রাত্রি কঠোর শ্রম, সাধনা আর শিল্পিত মনের প্রকাশ যারা ঘটান তাঁরা বোধ করি আমাদের জন্য সিনেমা বানান, সিনেমাবোদ্ধা কিংবা সমালোচকদের জন্য নয়। আগুনের পরশমণি কিংবা শঙ্খনীল কারাগারের যিনি স্রষ্টা, বাংলা সাহিত্তের যিনি কিংবদন্তি পুরুষ, উপন্যাস, নাটক, চলচিত্রের সকল শাখায় যার রাজসিক বিচরণ তাঁর শেষ সিনেমা দেখে কিনা মনে হল না দেখলেই ভাল হত! পরিবারের সামনে একটু অসস্থি বোধই হল। কাহিনী ও চরিত্রের স্বল্পতা এত সামান্য যে এ নিয়ে বরঞ্চ এক ঘণ্টার নাটক সম্ভব।
কাহিনীকে আমার মনে হয়েছে spices যা রান্নার জন্য দরকারি হলেও কখনও খাবার তালিকায় মূল মেনুতে স্থান পেতে পারে না। যে কাহিনীকে বেছে নেয়া হয়েছে তা হতে পারত মূল গল্পের একটি উপশাখা মাত্র। আর কাহিনীর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে যদি কেউ প্রশ্ন করেন তবে তাকে অগ্রাহ্য করার উপায় নেই। একটু বেশিই নোংরা হয়ে গেলো- একথা ও কাউকে কাউকে বলতে শুনলাম। চরম উদার মনের বন্ধুরা হয়তো বলবেন এটাতো সত্য, ইতিহাস আশ্রয়ী।
আমি বলবো, নোংরা যে ইতিহাস, লজ্জার যে ইতিহাস তাকে কি সামনে না আনলে চলে না? আর এ হল মূল ইতিহাসের খণ্ডচিত্র, যে সকল সত্যকে সকল দেশে ও যুগে ঐতিহাসিকগণ এড়িয়ে গেছেন অথবা আশ্রয় হয়েছে ইতিহাসের আস্তাকুড়ে। ময়লা ঘাঁটলে যে দুর্গন্ধ ছড়ায়। জাপানিজরা কি বলে বেড়ায় আমাদের পূর্ব পুরুষ দস্যু ছিল? আমেরিকানরা রাষ্ট্র করে মানুষকে তারা দাস হিসাবে মনে করতো? ইন্ডিয়ানরা কি গর্ব করে তাদের পূর্বপুরুষরা মানুষ বলি দিত? তবে কেন মুক্ত বুদ্ধির চর্চার নামে নিজেদের ছোট করা, কেননা সিনেমাটি অস্কারে যাচ্ছে শুনলাম। হ্যাঁ, আমি ঘেঁটুপুত্র কমলার কথা বলছি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।