আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তারেক রহমান জামিনে থাকলে রাজনৈতিক আশ্রয় কেন?

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইংল্যান্ডে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন। তিনি রাজনীতি করবেন না এমন কথা বাংলাদেশ থেকে বলে গেলেও তার সেই সিদ্ধান্তে স্থির থাকতে পারেননি। আবারও তাকে রাজনীতিতে ফিরে আসতে হয়েছে। ইংল্যান্ডে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার পর তিনি এখন বিভিন্ন দেশ সফর করছেন।

তবে তার পার্টির কোনো নেতা ও তার আইনজীবীগণ এই কথা স্বীকার করতে নারাজ। তাদের দাবি, তারেক রহমান রাজনৈতিক আশ্রয়ে নেই। তারা জানেন না যে তারেক রহমান সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন। তাদের দাবি, তারেক রহমান ইংল্যান্ডে জামিনে আছেন। তিনি স্টুডেন্ট হিসেবেও রয়েছেন।

সেখানে লেখাপড়া করছেন। তাদের এই দাবি নাকচ করে দিয়েছে সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, তারেক রহমান ২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতিতে স্বাক্ষর করে বলেছিলেনÑ বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন না এমন মুচলেকাও দেন। তিনি শর্ত ভঙ্গ করেছেন।

যদিও তার ওই মুচলেকা নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। বিএনপি নেতাদের দাবি, ওয়ান ইলেভেনের সময় সেটি বানানো হয়েছিল। সেটি তারেক রহমানের স্বাক্ষর নয়। আবার কেউ কেউ বলছেন, তারেক রহমানকে দিয়ে জোর করে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়া হয়েছে। এটা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক থাকলেও এটাই সত্য তিনি আবার রাজনীতিতে সরব হয়ে উঠেছেন।

তিনি বিদেশে যাওয়ার পর, বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর বিএনপির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আবার রজনীতিতে ফেরত আসেন। দল থেকে তাকে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বানানো হয়। কয়েক বছর চুপচাপ থাকলেও এখন অনেক সরব। অন্য দিকে তিনি বলেছিলেন, সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত দেশেও ফিরবেন না, রাজনীতিও করবেন না।

কিন্তু আবার রাজনীতিতে ফেরত এসেছেন। কথা রাখতে পারেননি। অভিযোগ রয়েছে, রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়ার পরই তিনি প্রকাশ্যে আসেন। এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেছেন, তারেক রহমান শর্ত ভঙ্গ করেছেন। তিনি যখন বিদেশে যান তখন শর্ত সাপেক্ষেই গিয়েছিলেন।

কিন্তু ওই সব শর্ত ভঙ্গ করে তিনি অপরাধ করেছেন। বিএনপি এতদিন ধরে মূল দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবি করে এলেও এখন সেই দাবিতে ভাটা পড়েছে। কারণ তারা তারেক রহমানকে নিয়েই বেশি ব্যস্ত। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার কারণে হঠাৎ করেই বদলে গেছে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে হরতালও পালন করেছে।

তার দলের নেতাদের দাবি, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি বাতিল করতে হবে। সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। তারা আরো আন্দোলন করার কর্মসূচিও ঘোষণা করবেন। এদিকে তারেক রহমানের বিদেশে অবস্থান, রাজনৈতিক আশ্রয়, বিদেশে যাওয়ার শর্ত ভঙ্গ ও রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়ার পরও তার দলের নেতারা ও তার আইনজীবীরা এটা অস্বীকার করে যাচ্ছেন। অথচ তার মতো একজন মানুষ জামিনেই যদি থাকেন তাহলে কেন তিনি রাজনৈতিক আশ্রয় নিলেনÑ এ প্রশ্নের উত্তর মিলছে না।

কারণ দুই পক্ষের মধ্যে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। তারেক রহমানের আইনজীবীদের পুরো উল্টো দাবি করেছেন সরকারের পিপি এডভোকেট আবু আবদুল্লাহ। তিনি বলেছেন, তারেক রহমানের আানিজীবীরা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলছেন। তিনি কোনোভাবেই উচ্চ আদালত থেকে কিংবা এপিলেট ডিভিশন থেকে কোনো জামিন নেননি। এখন কোনো মামলার জামিনেই লন্ডনে নেই।

তিনি প্রথমে প্যারোলে বিদেশে যান। প্যারোলের মেয়াদ শেষে সরকার আর তা বাড়ায়নি। প্যারোল বাদ হওয়ার পর পলাতক হন। পলাতক থাকার কারণেই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। পলাতক না হলে কোনোভাবেই তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হত না।

ইতোমধ্যে ওই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে লন্ডনেও পাঠানো হয়েছে। সেটি লন্ডনে তারেক রহমানের ঠিকানায় জারি হবে। জারি হওয়ার পর আদালতের প্রতি তার শ্রদ্ধাবোধ থাকলে দেশে ফিরে আসবেন। যদিও আসবেন কি না এটা নিশ্চিত নয়। না এলে তার অবর্তমানেই বিচার হবে।

আমরা সেই ভাবেই এগিয়ে যাব। এখন অপেক্ষা করছি। এডভোকেট আবু আবদুল্লাহ আরো বলেন, তার আইনজীবীরা যে কথা বলেন, তিনি রাজনৈতিক আশ্রয় নেননি এর কোনো ভিত্তি আছে বলেও আমি মনে করি না। যদি থাকতোই তাহলে তো এই সংক্রান্ত খবর প্রকাশের পর বিএনপির তরফ থেকে এই বিষয়ে আপত্তি তোলা হত। কোনোদিন তা হয়নি।

এটা আমাদের একার প্রশ্ন নয়, সবারই প্রশ্নÑ তিনি যদি প্যারোলে আর জামিনেই থাকবেন তাহলে লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয় নিলেন কেন। তিনি জানতেন তাকে দেশে ফেরত আনার জন্য সরকার উদ্যোগ নেবে। আইনি ব্যবস্থাও জোরালো হবে। এই কারণে দেশে যেন তাকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব না হয় এই জন্য রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। তারেক রহমানকে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অবর্তমানে দলের পরবর্তী চেয়ারপারসন এবং তার দলের নেতাদের দাবি অনুযায়ী তিনি দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কিংবা হবু প্রধানমন্ত্রী।

এই জন্য তার বিরুদ্ধে কোনো কথা না বলতে আওয়ামী লীগ নেতাদের সতর্ক হতে বলেছেন বিএনপির নেতারা। এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছেÑ তারেক রহমান যদি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অবর্তমানে তার স্থলাভিষিক্ত হন এবং পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হন, পাশাপাশি তিনি একজন সাবেক প্রেসিডেন্টের ছেলে তাহলে তাকে কেন বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় নিতে হলো। তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ নেতা এই কথাও বলেছেন, তারেক রহমান দেশে ফিরতে চান। তবে পরিবেশ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত নয়। তারেক রহমানকে সরকার দেশে ফিরতে দেবে না।

এটা জেনেই তিনি বিদেশে থেকেই আইনি সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এরপর আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুটি আসন থেকে নির্বাচন করবেন। এর মধ্যে ঢাকারও একটি আসন রয়েছে। তিনি আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে হলে সেখান থেকে করতে পারবেন কি না এটি নিয়েও কেউ কেউ প্রশ্ন তুলে বলেছেন, তিনি সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে দেশে নির্বাচনে অংশ নিতে হলে তাকে আরেক ঝামেলা পোহাতে হবে। তবে তিনি সেখানে স্টুডেন্ট ভিসায় থাকলে কোনো সমস্যা নেই। তিনি সেখানে কোন ক্যাটাগরির ভিসা নিয়ে আছেন এ নিয়ে বিএনপির তরফ থেকে কিছুটা ধুম্রজাল সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অনেকেই মনে করছেন।

তারেক রহমানের আইনজীবী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এডভোকেট আহমেদ আজম খান বলেন, তারেক রহমান লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন এটা গণমাধ্যমে দেখি। তবে তিনি সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন বলে আমি নিশ্চিত কিছুই জানি না। এই ব্যাপারে তাকে কখনো কোনো কিছু জিজ্ঞেস করারও প্রয়োজন হয়নি। আমি তার পক্ষে আইনজীবী হিসেবে কাজ করছি এটাই জানি। সেই হিসেবেই কাগজপত্র তৈরি করা হয়।

এর বেশি কিছু আমার জানার প্রয়োজন হয় না। তা ছাড়া আমি যতখানি জানি তিনি রাজনৈতিক আশ্রয়ে নেই। তিনি সেখানে গিয়েছেন চিকিৎসা করানোর জন্য। দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেছে। আরো কয়েক বছর লাগতে পারে তার সুস্থ হতে।

এই কারণে তিনি কত দিনে সুস্থ হবেন তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না। চিকিৎসকরা বলেছেন, তার পুরোপুরি সুস্থ হতে আরো বেশ কয়েক বছর সময় লাগবে। তারা নির্দিষ্ট করে কোনো সময় বলতে পারেননি। এখনও তিনি পুরোপুরি সুস্থ নন। হাঁটার সময় বেশি চাপ পড়লে সাপোর্টিং লাগে।

তার মেরুদন্ড ভেঙে দেয়া হয়েছে। ওয়ান ইলেভেনের সময় যেভাবে তাকে অমানবিক ও বর্বরোচিত নির্যাতন করা হয়েছে তা বাংলাদেশের কারো জীবনে হয়নি। তিনি ভীষণ অসুস্থ হয়ে সরকারের অনুমতি নিয়ে ও আদালতের অনুমতি নিয়ে বিদেশে চিকিৎসা করানোর জন্য যান। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। আরো কয়েক বছর লাগতে পারে তার চিকিৎসা নিতে।

এরপর তিনি দেশে ফিরে আসবেন। মাঝে একবার দেশে আসার কথা ছিল নভেম্বরের দিকে, কিন্তু সরকারের যে মনোভাব তাকে দমন করার জন্য, এমনকি তার কাছে খবর রয়েছে সরকার তাকে যেকোনোভাবে প্রতিহত করার চেষ্টা করবে। কারাগারে আটকে রাখবে। তাকে দেশে ফিরতে দেয়া হবে না। আর ফিরলেও সরকার তাকে সরাসরি বিমানবন্দর থেকেই আটক করে কারাগারে নিয়ে যাবে।

এদিকে তারেক রহমানের আরেক আইনজীবী, বিএনপি নেতা ও সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, তারেক রহমান লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন বলে যেসব কথা আসছে এটা আমার জানা নেই। তিনি সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয়ে নেই। তবে তিনি সেখানকার সরকারের কাছ থেকে সহায়তা তো পাচ্ছেন এবং পাবেনই। কারণ তিনি সেখানে একজন রোগী হিসেবে চিকিৎসা নেয়ার জন্য গেছেন। যতদিন প্রয়োজন হবে এবং চিকিৎসকরা তাকে যতদিন চিকিৎসার জন্য বলবেন ততদিন সেখানে থাকতে সমস্যা নেই।

এই জন্য ওই দেশের সরকার তাকে অনুমতি দেবে। এই জন্য যেসব আনুষ্ঠানিকতা করা দরকার তা তো সম্পন্ন করা হচ্ছেই। তিনি আরো বলেন, তারেক রহমানের উপর যে নির্যাতন করা হয়েছে এটা গোটা দেশবাসী জানেন। ওই নির্যাতনের কারণে তিনি অসুস্থ হয়ে যান। এরপর প্যারোল পান এবং সরকারও চিকিৎসা নেয়ার জন্য অনুমতি দেন।

পরে সরকার তার প্যারোলের মেয়াদ বাড়াতে থাকেন। এই ভাবে চলছিল। এই পর্যায়ে এসে সরকার তার বিদেশে অবস্থানের মেয়াদ আর বাড়াতে রাজি হননি। ফলে মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি বন্ধ করে দেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য এই উদ্যোগ নেয়।

এরপর আর ফিরে আসেননি। আমরাও বুঝতে পারি সরকার তার মেয়াদ বাড়াবে না। ফলে আমরাও বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে যাই। উচ্চ আদালত থেকে তারেক রহমানের জামিন নিই। এরপর তিনি জামিনে মুক্তি লাভ করেন।

মূলত এখন জামিনে মুক্তি পেয়ে লন্ডনে অবস্থান করছেন। তিনি জামিনে থাকা অবস্থায় যতদিন খুশি সেখানে থাকতে পারবেন সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত, আইনিভাবেই বিষয়টি মোকাবিলা করে যাব। এদিকে কেউ কেউ বলছেন তারেক রহমান লন্ডনে প্রথম যখন যান তখন তিনি চিকিৎসা ও এর পাশাপাশি লেখাপড়ার কথা বলেই সেখানে ছিলেন। পাঁচ বছর সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলে ওই দেশের সরকার তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেন। ওই আশ্রয় পাওয়ার পর তিনি প্রকাশ্যে আসেন।

বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যান। লন্ডন বিএনপির বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও যোগ দেন। সেখানে বক্তৃতাও করেন। সম্প্রতিও এমন একটি অনুষ্ঠান করেছেন। সেখানে সরকারের বিরুদ্ধে ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করারও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

পাশাপাশি তিনি এপ্রিল মাসের শুরুতে সৌদি আরবে ওমরাহ হজ পালন করেছেন। এ ছাড়াও গত মাসের শেষ দিকে তিনি বেলজিয়াম সফর করেছেন। তার এই ধরনের হঠাৎ বিভিন্ন স্থানে যাওয়ায় দলের ও অন্যরা ধরেই নিয়েছেন তারেক রহমান আবার রাজনীতিতে ফিরে এসেছেন। আর বিশেষ কোনো আশীর্বাদ ও সুবিধাও নিশ্চয়তা পেয়েই পুরোপুরি সুস্থ না হলেও আবার রাজনীতিতে ফিরে এসেছেন। তিনি আগামী নির্বাচন যেন সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করেন সেই ব্যবস্থাও করার জন্য বিভিন্ন দিক থেকে সরকারের উপর চাপ তৈরি করতে চাইছেন।

 ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.