শুক্রবার বিকেলে নগরীর লালদীঘি ময়দানে সুন্নি ভিত্তিক রাজনৈতিক দলটির মহাসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
বাহাদুর শাহ বলেন, “হেফাজতে ইসলামের দিকে তাকালে দেখা যায় পাকিস্তান ও আফগানিস্তানকে। ওই দুই দেশের তালেবান জঙ্গিদের অনুকরণে বাংলাদেশে হেফাজতে ইসলাম তৈরি হয়েছে। ”
তালেবান ও হেফাজত মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “সরকার তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ না করলে এদেশের প্রকৃত ইসলামের ওপর আঘাত আসবে। তবে বাংলাদেশকে তালেবানি রাষ্ট্র থেকে রক্ষা করতে দেশের লক্ষ-কোটি সুন্নি জনতা রাজপথে নেমে আসবে।
”
নবী (স.) নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করা নাস্তিক ও বামদের গ্রেপ্তার এবং তাদের ‘অপকর্মের’ বিচার করতে সরকারের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।
ইসলাম নিয়ে কতিপয় দল রাজনীতি করে উল্লেখ করে বাহাদুর শাহ বলেন, “তারা হিন্দু ভাইদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছে। হরতালের নামে দেশের কোটি কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট করেছে। তারা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হত্যা ও আহত করেছে। এটা ইসলাম না।
”
সত্যিকারের ইসলামি সংগঠন ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড করে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সমাবেশে দলটির মহাসচিব অধ্যক্ষ জয়নুল আবেদীন জুবাইর বলেন, “বামপন্থীদের পাল্লায় পড়ে শেখ হাসিনা সরকার সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস তুলে নিয়েছে। ”
সংবিধানে আল্লাহ ও রসূলের (স.) ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্স্থাপনের দাবি জানান তিনি।
একই সঙ্গে গত ২৬ এপ্রিল চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের খতিব ও হাটহাজারীর গাজী শেরে বাংলা (র.) মাজারে হামলাকারী ‘জঙ্গিবাদীদের’ বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান জুবাইর।
সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এম আবু নাছের তালুকদার অবিলম্বে ৭১’র মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার সম্পন্ন করার দাবি জানান।
অন্যদের মধ্যে সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম সোলাইমান ফরিদ, অধ্যক্ষ আল্লামা এস এম ফরিদ উদ্দীন, যুগ্ম মহাসচিব কাজী আনোয়ারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আল্লামা মোশারফ হোসইন হেলালী প্রমুখ ব্ক্তব্য দেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।