সংসদীয় আসনের নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণের যে খসড়া নির্বাচন কমিশন করেছে, তাতে অসমতা গতবারের চেয়ে আরও বেড়েছে। এটি কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে সুশাসনের জন্য নাগরিক—সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার এ কথা বলেন। একই সঙ্গে আইন সংশোধন করে সীমানা নির্ধারণের জন্য ভারতের মতো একটি স্বাধীন সীমানা নির্ধারণ কমিশন গঠনের দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সুজনের সম্পাদক বলেন, বর্তমান কমিশনের পক্ষ থেকে যথাযথভাবে সীমানা পুনর্নির্ধারণ না করায় অতীতের মতো নির্বাচনী এলাকাগুলোর মধ্যে ভোটারসংখ্যার বিরাট পার্থক্য দেখা দিয়েছে।
উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, গত নির্বাচন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত ২০০৮ সালের সীমানা পুনর্নির্ধারণের পর সবচেয়ে বড় নির্বাচনী এলাকা ঢাকা-১৯-এর (সাভার) ভোটারসংখ্যা ছিল ছয় লাখ দুই হাজার ৩৮৬। একই সঙ্গে সবচেয়ে ছোট নির্বাচনী এলাকা ঝালকাঠি-১ আসনে ভোটারসংখ্যা ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৯১। সম্প্রতি প্রকাশিত খসড়া তালিকা অনুযায়ী ঢাকা-১৯-এ ভোটারসংখ্যা আট লাখ দুই হাজার ১৬৪। পক্ষান্তরে টাঙ্গাইল-৪-এ ভোটারসংখ্যা সর্বনিম্ন এক লাখ ৩০ হাজার ৪১৬। ফলে সীমানা পুনর্নির্ধারণের পর সবচেয়ে বড় নির্বাচনী এলাকার সঙ্গে সবচেয়ে ছোট নির্বাচনী এলাকার ভোটারসংখ্যার ব্যবধান সাড়ে ছয় লাখের বেশি।
গতবারের চেয়ে এবারের ভোটারসংখ্যার তুলনামূলক বিশ্লেষণও সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হয়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান, মন্ত্রিপরিষদের সাবেক সচিব আলী ইমাম মজুমদার প্রমুখ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।