একা ছিলাম না সাথে ছিল কিছু জোনাকি
খুব বেশি দিন আগের কথা নয় যখন মুসলিম বিশ্বে তোলপাড় চলছে মুহাম্মদ কে নিয়ে বানানো চলচ্চিত্র "ইনোসেন্স অফ মুসলিম" নিয়ে । সেই আগুনে ঘি ঢেলে দিল ফ্রান্সের ম্যাগাজিনে আবার বিতর্কিত কার্টুন ছেপে । ফলাফল --লিবিয়ায় আমেরিকার দূতাবাস ভাংচুর হল,নিহত হল রাষ্ট্রদূত । ক্ষোভের আগুন এখানেই থেমে থাকেনি ছড়িয়ে পড়েছে মুসলিম বিশ্বের প্রতিটি অঞ্ছলে । বাংলাদেশে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ইউটিউব ।
পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী অই পরিচালকের মাথার উপর ঈমানী বাজি ধরছে প্রচুর টাকা । ঘটনা এই খানেই থেমে যেতে পারত । থামেনি বরং নতুন করে মোড় নিয়েছে ভিন্নখাতে । ফেইসবুকে একদল লোক আছে যারা তাদের নিজ নিজ ধর্ম কে মহৎ এবং শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করার জন্য ভিবিন্ন ধরনের তেলেস্মাতি মার্কা পিকচার আপলোড করে লাইক ভিক্ষা চায় সেটা শ্রী কৃষ্ণের সুন্দর চেহার কিংবা বুদ্ধের ধ্যানের ছবি থেকে শুরু করে আল্লাহ কবে পরোটায় কবে মাছের লেঞ্জায় কবে আকাশে দেখা দিয়েছেন সেই সব ছবি থাকে এবং ঈমানের দাবি নিয়ে তা শেয়ার করার অনুরোধ থাকে । মানলাম সবই ভাল; যে যার ওয়ালে তার ধর্ম কে মহান বানানোর চেষ্টা করছে ।
কিন্তু ফেইসবুকে চবি আপলোড কে কেন্দ্র করে এইরকম জঘন্য ঘটনাকে উগ্র সাম্প্রদায়িকতা ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না । পোড়ে যাওয়া এলাকায় বুদ্ধের একটি মূর্তি অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে
অন্যদিকে ভাংচুর করা হয়েছে বুদ্ধের নির্মীয়মাণ একটি মূর্তি । আমি বলছিনা কোন একটি বিশেষ জনগোষ্ঠি কর্তৃক এই হামলা হয়েছে পুলিশের ধারণা ও গণমাধ্যমে এদের কথা বলা হয়েছে। এরপর ও কি আপনি বলবেন মোল্লারা সাপ্রদায়িক নয় ? ইসলামের নামে সন্ত্রাস চলেনা ? সামপ্রদায়িক দাঙ্গায় হিন্দুদের (ভারতের)চেয়ে মুসলামানরা কোন অংশে কম ? আমার সীমিত জ্ঞানে আমি যতদূর জানি যে বৌদ্ধরা হচ্ছে দুনিয়ার তাবত ধর্মের মধ্যে সব চেয়ে পিসফুল । যাই হোক তাই বলে এই রকম ঘৃণ্য , পাশবিক কাজ করতে হবে ???
এখন সরকার এই ঘটনায় যদি সিলেটের এম সি কলেজের ছাত্রাবাস পুড়ানোর ঘটনার মত চুপচাপ থাকে তাহলে বলার কিছু নাই ।
মন্ত্রীর আশ্বাস যেন আর মিছে না হয়
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।