আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হোন

জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। তারা বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাইরে রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নেই। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় এনে একাত্তর সালে যারা জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা চালিয়েছিল বলে প্রমাণিত হয়েছে তাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। গতকাল সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদবিরোধী মঞ্চের দ্বিতীয় কনভেনশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তারা এ আহ্বান জানান। জামায়াত-শিবির-হেফাজতে ইসলাম আর আনসারুল্লাহ বাংলা টিমসহ সব উগ্র-সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার প্রত্যয় ঘোষণা করে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে এ কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়।

মঞ্চের সমন্বয়ক অজয় রায়ের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের কার্যনির্বাহী সভাপতি মইনউদ্দীন খান বাদল, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারোয়ার আলী, সমন্বয়কারী আবুল কালাম আজাদ, গণজাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক ডা. ইমরান এইচ সরকার, কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক মঙ্গল কুমার চাকমা প্রমুখ। কনভেনশনে রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. পবিত্র সরকার ও পাকিস্তান আওয়ামী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফারুক তারিক আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। নাজমুল হক প্রধান শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন। ড. আনিসুজ্জামান বলেন, ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল।

কিন্তু সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলা হলেও এর পাশাপাশি বলা হচ্ছে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম।

২০০৩ সাল থেকে দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান লক্ষ্য করছি। বিভিন্ন সময় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছে। আঘাত এসেছে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর। বিশিষ্ট এই শিক্ষাবিদ বলেন, রাষ্ট্রের কাছে দাবি জানাচ্ছি , সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় এনে একাত্তর সালে যারা জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা চালিয়েছিল বলে প্রমাণিত হয়েছে তাদের নিষিদ্ধ করা হোক। অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, নিরপেক্ষতার নামে জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকা থেকে দূরে দাঁড়িয়ে থাকার কোনো অবকাশ নেই।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাইরে কোনো রাজনীতি করার সুযোগ নেই। জনগণকে উদ্দেশে তিনি বলেন, এখনই সিদ্ধান্ত নিন বাংলাদেশকে কেমন বাংলাদেশ দেখতে চান। জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ মানুষের অধিকার খর্ব করে। ড. আবুল বারাকাত বলেন, ব্যাংক ও বীমা, খুচরা ব্যবসা, ঔষধ শিল্প, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যোগাযোগ ও পরিবহন খাত, সংবাদমাধ্যম, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খাতে জঙ্গি ও মৌলবাদীরা তাদের অর্থ বিনিয়োগ করছে।

 

 



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.