Click This Link
উপরের লিংকের খবর পরে একটা গল্প মনে পরে গেল, এটা হিরক রাজার দেশের কাহিনি, কেন যে মানুষ বলে হিরক রাজার দেশ হয়ে গেছে তা এই গল্পে ফুটে উঠেছে,-
এক গুরু আর এক শিশ্য বেরিয়েছেন দেশ ভ্রমনে । এদেশ সে দেশ ঘুরতে ঘুরতে তারা একসময় এমন এক দেশে পোছাল যে দেশে ১ মন চালের দাম ও যা একমন ডালের দামও তা এরকম সকল নিত্য পন্যের দাম সমান সমান সবকিছুর একই দাম । এটা দেখে শিষ্য বলল গুরু এটা একটা মজার দেশ আসেন আমরা এই দেশে বসবাস করি চিরস্থায়ী ভাবে। তখন গুরু বলল নারে সমস্যা আছে এটা হিরক রাজার দেশ । শিষ্য বলল গুরু কোন সমস্যা নাই দেখেন না একমন চাল আর তেল একই দাম এখানে থাকলে আমাদের থাকা পরার কোন সমস্যা হবে না।
গুরু শিষ্য কে অনেক বোঝালেন এখানে অনেক সমস্যা এটা আমাদের জন্য না এখানে থাকলে বিপদে পরবি। শিষ্য তো নাছোর বানদা । তো কি আর করা গুরু যখন কোন ভাবেই বোঝাতে পারছিলেন না তখন হাল ছেরে দিয়ে সেখানেই থেকে গেলেন।
এদিকে একরাতে সেদেশের এক কৃষকের ঘরে সিধ কেটে এক চোর গেল চুরি করতে । চোর সিধ কেটে ঘরে ঢুকার সময় দেয়াল ভেংগে পরে চোরটি মারা গেল।
এই খবর পেয়ে চোরের বউ রাজার কাছে বিচার চাইলেন । যে কৃষক তার দেওয়াল ভালমত না করায় আমার স্বামি দেয়াল ভেংগে পরে মারা গেছে সুতরাং কৃষকের ফাসী দিতে হবে। তো রাজার লোকজন কৃষকের কোমরে দরি বেধে রাজ দরবারে হাজির করলো বিচারের জন্য , আর বিছারে রায় হল কৃষকের মৃত্য দন্ড । কৃষক তখন বলল হুজুর দেয়ালটা আমার ঘরের ঠিক আছে কিন্তু সেটা তো আর আমি তৈরি করি নাই ,করেছে রাজমিস্ড়ী সুতরাং ফাসী যদি দিতে হয় তাহলে সেই রাজমিস্রি কে দিতে হবে আমাকে নয়। রাজা তখন বলল থিকই তো ।
তাহলে ধরও সেই রাজমিস্ড়ি কে। রাজার লোকজন রাজমিস্ট্রি কে ঢরে আনল। আর তাকে ধরে আনার কারন উললেখ করে তাকে ফাসি তে ঝুলানোর আদেশ করা হল। তখন রাজ মিস্রি বলল হুজুর আমি দেয়ালটা তৈরি করেছি ঠিকই কিনতু আমার কোন দোষ নাই । কারন সিমেনট বালুর মিক্সার এ পানি বেশি হয়ে গেছিল বলে এমনটা ঘটেছে সুতরাং ফাসি যদি দিতে হয় তো ঐ পানি প্রদানকারি যোগাল দাতা কে দিতে হবে।
রাজা তখন বলল ঠিকই তো মিস্ত্রীর তো কোন দোষ নাই , ধর আন সেই যোগাল দাতা কে। ধরে আনা হল সেই যোগাল দাতা কে আর বলা হল তোমার এই অপরাধের জন্য তোমাকে ফাসী দেওয়া হবে। যোগাল দাতা বলল হুজুর আমার কোন দোষ নাই , আমি যখন পানি ঢালছিলাম তখন এক মহিলা চুড়ি পরে সেখান দিয়ে যাচ্ছিল আর সেই ছুড়ির শব্দে আমার মনযোগ নষ্ট হয়ে যায় তাই পানি বেশি পরে যায় সুতরাং ফাসি যদি দিতেই হয় তাহলে ঐ মহিলা কে দিতে হবে কারন সে যদি চুরি পরে সেখান দিয়ে না যেত তাহলে এমন হত না। তখনরাজা বলল তাহলে ছেরে দেও একে আর ধরে নিয়া আস সেই মহিলা কে । যথারিতি ধরে আনা হল সেই মহিলা কে আর তাকে সেই অপরাধে অপরাধি করে ফাসি দেয়ার হুকুম দিল।
কিনতু মহিলা বলল হুজুর আমার লোন দোষ নাই সব দোষ সেই বেটার যিনি এই চুড়ি বানিয়েছেন কারন সে যদি চুড়ি না বানাত তাহলে আমি ও চুড়ি পরতাম না আর এমন ঘটনা ঘটতো না। তখন রাজা বললেন আসলেই ত তাই তাহলে ধরে আন সেই স্ব র্ন কার কে যে চুরি বানিয়েছে। ধরে আনা হল স্ব র্ন কারকে আর বলা হল এই অপরাধের জন্য তোমার ফাসি হবে। তখন স্ব র্ন কার বলল হুজুর এতে আমার কোন দোষ নাই এটা আমার পুর্ব পুরুষের দোষ কারন তারা এটা না করলে আমি এটা তৈরি করা শিখতাম না আর এমন ঘটনাও ঘটতো না। কিনতু খোজ নিয়ে দেখা গেল তার পুর্ব পুরুষরা কেউ বেচে নাই সুতরাং ফাসি তো তাহলে এই স্ব র্ন কার কেই দেওয়া হবে ।
ফাসীর তারিখ সময় ঠিক করা হল , সব রেডি করা হল কিন্তু বাধলো এক বিপত্তি সেটা হল স্ব র্ন কারের গলাটা খুব চিকন তাই এই বড় ফাসের দড়ি দিয়ে তাকে ফাসি দে্যা যাবে না। কিন্তু ফাসি তো কাউকে না কাউকে দিতে হবে যেহেতু রাজার হুকুম, সুতরাং মোটা গলা আছে কার এখন সেটা খুজে বাহির কর আর তাকেই ফাসী তে ঝুলিয়ে রায় কার্যকর কর। চার দিক লোক লাগানো হল মোটাগোলার লোক খুজার জন্য আর অবশেষে পাওয়া গেল সেই শিস্যর গলা মোটা, আর তখন রাজা বলল একেই ঝুলিয়ে দেওয়া হোক। তখন গুরু বলল শিষ্য তোমাকে আগেই বলেছিলাম না এটা হিরক রাজার দেশ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।