আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কয়লা ও ময়লার মাঝ থেকেই হিরক সংগৃহীত হয়

‘ হে মানব সমাজ , যদি নিজেদের কল্যাণ প্রতিষ্ঠা করতে চাও ; তাহলে তোমরা উপদলীয় কোন্দল ভুলে যাও, অতীতের পয়গম্বরদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হও , জীবন্ত প্রভূ বা ঈশ্বরের সান্নিধ্য গ্রহণ কর , যারা তা করেছে তাদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ কর কারণ অতীতের পয়গম্বরগণ বর্তমানের এইসব ঐশ্বরিক মানুষদের মাঝেই পূর্ণতা পেয়েছেন। ’ এই আহ্বান জানিয়ে যিনি আজীবন মানবতার জয়গান গেয়েছেন , তিনি হচ্ছেন অনুকুল চন্দ্র। ভক্তরা তাঁকে অবতার বলে গণ্য করে এবং ‘ শ্রী শ্রী ঠাকুর ’ বলে সম্বোধন করে। বর্ণাশ্রম , ধর্মীয় মতবিশ্বাস ও সম্প্রদায় নির্বিশেষে ভক্তক’লের কাছে তিনি ‘পুরুষোত্তম’ বলে নন্দিত। সারা জীবন ধরে তিনি হাজার হাজার মানুষকে ব্যতিক্রমধর্মী ভালবাসা দিয়ে সেবা করেছেন।

তিনি নিজে ছিলেন মাতা-পিতার অত্যন্ত ভক্ত। মা মনোমোহিনী দেবীকে তিনি সারা জীবন গুরু বলে ভক্তি শ্রদ্ধা করেছেন। তিনি বিশ্বাস করতেন মেয়ে ও স্বর্ণের প্রতি আসক্তিই এই দুনিয়ায় মানুষের দুঃখ-কষ্টের কারণ। এসব থেকে যতদূর সম্ভব দূরত্ব বজায় রাখাই উত্তম। নারী ও স্বর্ণ সম্পর্কে যে কোন ধরণের আলোচনা মানুষকে এসবের প্রতি প্রলুব্ধ করে , তাই এসব নিয়ে আলোচনা থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি ভক্তদের প্রতি আহ্বান জানালেন।

তিনি বললেনঃ “ নারী থেকে কামাসক্তি দূরীভ’ত হলেই সে মা হয়ে যায়। এভাবেই বিষ হয়ে যায় অমৃত। মা সব সময়ই মা , সে কখনোই কামিনী নয়। ‘মা’ এর সাথে ‘গী’ যোগ করলে সে হয়ে যায় বিপত্তির কারণ। ” তিনি ভক্ত অনুসারীদের আহ্বান জানিয়ে বলতেন , ‘সাবধান , মাহিলাদেরকে কখনোই পতিত মেয়ে হিসেবে গণ্য করো না।

প্রত্যেকের মা পৃথিবীর সকলের মা। সন্তানসূলভ চিন্তা-চেতনা হৃদয়কে স্পর্শ না করলে কেহ মহিলাকে স্পর্শ করবে না। ’ মায়ের কাছেই তিনি প্রাপ্ত বয়সে দীক্ষা লাভ করেন। তাঁর মায়ের গুরু ছিলেন আগ্রার দয়ালবাগের রাধাস্বামী সৎসঙ্গের ‘হুজুর মহারাজ’। তার উত্তররসূরী ছিলেন ‘সরকার সাহেব’।

অনুকূল চন্দ্রকে দীক্ষার জন্য তার মা উক্ত সরকার সাহেবের সাথে যোগাযোগ করেন। সরকার সাহেব পত্র মারফত মনোমোহিনী দেবীকেই নির্দেশনা দেন অনুক’ল চন্দ্রকে দীক্ষা দেবার । এ নির্দেশনা পেয়েই যুবক অনুক’ল চন্দ্রকে মনোমোহিনী দেবী পবিত্র নাম বলেন। অনুক’ল চন্দ্র তাঁর ভক্ত অনুসারীদের প্রতি ভিরুতা ত্যাগ করে সাহসী ও আন্তরিক হবার আহ্বান জানান। তিনি এও বললেন,‘ যার ভিতরে সামান্যতম দুর্বলতা থাকবে সে কোন কাজেই আন্তরিক হতে পারবেনা।

’ মানুষ মাত্রই পাপাচারী , বিতাড়িত শয়তান তাকে প্রতি নিয়ত পাপের পথে প্রলুব্ধ করছে। এভাবে প্রলুব্ধ হতে থাকলে সে কখনোই স্বর্গীয় শান্তি লাভ করতে পারবে না। তাই তিনি মানুষকে মুক্তির পথে ডাকলেন। তিনি বললেন,‘খেয়াল রাখবে যেন দ্বিতীয়বার তোমাকে অনুতপ্ত হতে না হয়। যখন তুমি নিজের অপকর্মের জন্য অনুতপ্ত হবে তখন তুমি পরম পিতার দ্বারা ক্ষমা প্রাপ্ত হবে।

তুমি হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করবে স্বর্গীয় শান্তি। ফলে তুমি সৌজন্যবোধ সম্পন্ন শান্তিময় ও আনন্দময় জীবন লাভ করবে। যে অনুতপ্ত হবার পর পুনরায় একই অপকর্ম করবে সে অচিরেই দুঃখ যাতনায় পতিত হবে। মুখে অনুতাপ প্রকাশ করাই যথেষ্ট নয়, হৃদয় দিয়ে অনুতপ্ত হতে হবে। যখন কেহ প্রকৃতপক্ষে অনুতপ্ত হয় তখন বিভিন্ন মাত্রায় তার প্রকাশ ঘটে।

’ তিনি মানুষকে দুঃখ কষ্ট জয়ের পথ দেখিয়ে বললেন , ‘সংকীর্ণতা মানুষের মনকে বিষন্ন করে, উদারতা তাকে উল্লসিত করে। সুখের অভাববোধ মনে দুর্বলতা নিয়ে আসে , হৃদয়ে যে ভীতি সঞ্চার করে সেটাই মর্মপীড়া। কোন ব্যক্তিই প্রকৃতিগতভাবে দুঃখী নয়। দুঃখ ও সুখ সবই নিজের চিন্তার ফসল। চিন্তা ও কাজের ঘাটতিই দুঃখ।

মন থেকে অপূর্ণতার চিন্তা দূর করতে না পারলে দুঃখকষ্ট দূর করা যায় না। ’ তিনি উপলব্ধি করেছিলেন সুনাম অর্জনের জন্য মানুষ নিজেকে অতিরঞ্জিতভাবে প্রকাশ করে। যা ভন্ডামির পর্যায়ভুক্ত। তিনি আহ্বান জানালেন ,‘ সাধনায় সিদ্ধিলাভ করতে হলে ভন্ডামি ত্যাগ করতে হবে। নিজে বক-ধার্মিক হয়ো না , কারো প্রতারনার ফাঁদে পড়ো না , কাউকে প্রতারন্ওা করো না।

’ তিনি এটাও বললেন , ‘যে অন্যের খুঁত ধরতে যায়, তার ভিতরে তখন অন্যের ঐ খুঁত সঞ্চারিত হয়। যে সত্যবাদিতা দেখে না , সে নিজে সত্যবাদী হতে পারে না। সন্দেহ অবিশ্বাসের বার্তাবাহক। ’ তিনি আহ্বান জানালেন ঃ ‘তুমি যদি মানুষ হও তাহলে নিজের মর্মপীড়ায় হাসলেও অন্যেও বেলায় কাঁদবে। তোমার চরিত্রের যে দিকটা অন্যের জন্য উপকারী তা তুমি তার কাছে গোপন করো না।

ভালো বলা থেকেও তা চিন্তা ও অনুভব করা বেশী ভালো। বিকশিত হও , কিন্তু নিঃশেষ হয়ে যেয়ো না। অকৃত্রিমভাবে কারো জন্য কিছু করলে তুমি সবই পেয়ে যাবে। অনুগত হও , কিন্তু তা হতে গিয়ে দুর্বল চিত্তের হয়ো না। ভালবাসার কথা বলার আগে ভালবাস।

ধৈর্যশীল হও , তবে তা হতে গিয়ে নিষ্কর্মা হয়ে দীর্ঘসূত্রিতার পথ বেছে নিও না। ভালো ধারনাগুলো তোমার নিজের মতো করে নিজের মধ্যে আত্মস্থ কর। তুমি যতই মানুষের সেবা করবে , ততই তাদের আস্থা অর্জন করবে। ’ সবাই জানে দানশীলতা মহৎ গুন, তাই তিনি ভক্তদের উপদেশ দিয়ে বললেন ঃ ‘ বিনয়ের সাথে দান করো , তবে তার জন্য দান গ্রহীতার কাছ থেকে প্রতিদানের আশা করো না। ’ ধর্ম সম্পর্কে তিনি বললেন ঃ ‘ধর্ম একটাই তবে একই বিষয় নিয়ে বিভিন্ন জন বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছে মাত্র।

আমার মতে হিন্দু , খ্রিষ্টান , মুসলমান , বৌদ্ধ ধর্মের কোনটাই ভুল নয়, একই বিষয়ের বহুরূপ প্রকাশমাত্র। সকল ধর্মের মূলনীতি ও উপলব্ধি এক। ’ মানুষকে তিনি আত্মগর্ব ত্যাগ করতে বললেন। তাঁর মতে ‘আত্মগর্ব থেকে মানুষ দূরত্ব বজায় রাখতে পারলেই তার প্রজ্ঞার দৃষ্টিপথ বিস্তৃত হয়। অধ্যাপনা করতে গিয়ে নিজেকে অধ্যাপক ভেবে গর্বিত ভাবলে তা শিক্ষার্থীর শিক্ষা গ্রহণের পথ বাধাগ্রস্থ করে।

কয়লা ও ময়লার ভিতর থেকে হিরক সংগ্রহ করে তা পরিষ্কার করার পরই হিরক থেকে উজ্জ্বল আলো বিচ্ছুরিত হয়। ’ এই উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি সমাজে সাধারণ মানুষ হিসাবে বাস করে সে ভালবাসার উজ্জ্বল আলোয় পৃথিবীকে আলোকিত করতে পারে। কোন প্রকৃত শিক্ষকের আশ্রয় লাভের পর স্বাধীনভাবে চিন্তা করবে এবং সম্মানের সাথে মত প্রকাশ করবে। ভাসা ভাসা জ্ঞান নিয়ে কোন বিষয়ে মতামত দিবে না । বিস্তৃত পড়াশুনা করে গভীর জ্ঞান নিয়েই কোন বিষয়ে মতামত প্রকাশ করা উচিত।

তুমি যদি ভালো হও তাহলে হাজার হাজার মানুষ তোমাকে অনুসরণ করে সুপথগামী হবে। ’ মানুষের ভাগ্য সম্পর্কিত ধারনা সম্পর্কে তিনি বলেনঃ ‘অনেক মানুষ লক্ষ্য ত্যাগ করে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে বসে থাকে আর ভাবে তাদের ভাগ্য খারাপ কেন , তারাই সারা জীবন দুঃখ-কষ্ট পায়। ’ তিনি বলেনঃ ‘পরম পিতার ইচ্ছাই ভাগ্য । তোমার প্রতিটি পদক্ষেপে পরম পিতার ইচ্ছা জানার চেষ্টা কর । তোমার যতটুকু আছে তা দিয়েই তুমি অন্যদের সাহায্য কর ; প্রত্যেকেই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তোমাকে ভালবাসবে।

’ মানুষকে সংঘবদ্ধভাবেই চলতে হয় , এই চলার পথে কাউকে না কাউকে নেতৃত্ব গ্রহণ করতে হয়। এই আত্মপলব্ধি থেকে তিনি ভক্তদের বললেনঃ ‘যে আগে অগ্রসর হয়ে পথ দেখায় সেই নেতা। সাহসীরাই সফল হয়। বীরত্বের প্রতীক হচ্ছে বিশ্বাস , আস্থা ও ত্যাগ। ’ তাঁর শিক্ষা ও বাণী জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলের কাছেই হয়ে উঠে গ্রহণীয় ও অনুসরণীয়।

পাবনা ফৌজদারী আদালত প্রাঙ্গনের হোটেলওয়ালা হোসেন আলি ওরফে হাচেন আলিও তার শিক্ষার প্রতি আস্থাশীল ছিল। ছোট বেলায় তাঁকে দেখার সুযোগ পেয়েছে এই হোসেন আলি। সেই যুগে ফৌজদারী আদালত প্রাঙ্গণে ‘সৎসঙ্গ’ কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে গীত ,‘ দেখবে শুনবে বলবে না , কোন বিপদে পড়বে না। ’ গানটি হোসেন আলিকে মুগ্ধ করেছিল। এই স্মৃতির কথা হোসেন আলি আমৃত্যু সকলের কাছে গর্বভরে বর্ণনা করেছে ।

সৎসঙ্গ আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা হিন্দু ধর্মে আত্মৎসর্গকারী এই সাধক বৃটিশ ভারতের বৃহত্তর বাংলা প্রদেশের পাবনা জেলার হেমায়েতপুর গ্রামে ১৮৮৮ সালের ১৪ ই সেপ্টেম্বর তারিখে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর মাতা মনোমহিনী দেবী এবং বাবা শিবচন্দ্র চক্রবর্তী , এরা দুজনেই ছিলেন হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসী এবং ধর্মপরায়ন। তাঁর বাবা ছিলেন একজন ঠিকাদার। পাবনা ইনস্টিটিউটে তিনি নবম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করেন। তারপর তাকে নৈহাটিতে পাঠানো হয়।

কলকাতা জাতীয় মেডিকেল স্কুল থেকে তিনি ডিপ্লোমা প্রাপ্ত হন। এরপর তিনি প্রমত্তা পদ্মা তীরবর্তী নিজ গ্রাম হেমায়েতপুরে ফিরে এসে তথায় হোমিওপ্যাথী প্রাকটিস শুরু করেন। তিনি বিশ্বাস করতেন রোগীদের রোগের কারণ শুধু দৈহিক নয় , এর সাথে রোগীর মানসিক ও মনস্তাত্তিক বিষয়েরও যোগসূত্র রয়েছে। এই সব দিক খেয়াল রেখেই তিনি রোগীদের চিকিৎসা করতে থাকেন। অল্পদিনের মধ্যেই চিকিৎসক হিসেবে তার যশ ছড়িয়ে পড়ে।

মায়ের অনুপ্রেরণায় তিনি কীর্তন দল গঠন করেন। কীর্তন করতে করতে তিনি অনেক সময় তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে যেতেন, এই সময় তিনি যে সব উক্তি করতেন তা লিপিবদ্ধ করে ‘পূণ্য পুথি’ নামে বই প্রকাশ করা হয়। এই সময়ই তিনি ভক্তদের কাছে ‘ঠাকুর’ নামে অভিহিত হতে থাকেন। নিজের এই দর্শন জনগণের মাঝে তুলে ধরে তাদেরকে এতে দীক্ষিত করার লক্ষ্যে তিনি হেমায়েতপুরে একটি আশ্রম স্থাপন করেন। মায়ের কথামতো এই আশ্রমের নাম দেন ‘সৎসঙ্গ’ আশ্রম।

তাঁর উদ্দেশ্য ছিল এর মাধ্যমে ভক্তদের আত্মিক উন্নতি সাধন। শিক্ষা , কৃষি , শিল্প ও ভালো বিবাহ এই চারটি হচ্ছে সৎসঙ্গের আদর্শ । তিনি এর অনুসরনে বিদ্যালয় , দাতব্য হাসপাতাল , ইনজিনিয়ারিং ওয়ার্ক শপ , প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ও প্রেস স্থাপন করেন। বৃহত্তর বাংলার বিভিন্ন স্থানে সৎসঙ্গের কার্যক্রম চালু করেন। তিনি বহু গ্রন্থের প্রণেতা।

‘সত্যানুসরণ’ বইটি তাঁর নিজ হাতে লেখা। তাঁর বাণী সমূহ সংকলিত ও লিপিবদ্ধ করে তার ভক্তগণ তা বই আকারে প্রকাশ করেছে। এভাবে লিখিত ও সংকলিত বইয়ের সংখ্যা চুরানব্বই। এর মধ্যে বাংলা ভাষায় লিখিত বই বিরাশিটি ও ইংরেজি ভাষায় লিখিত বই বারটি। এসব বইয়ের মধ্যে প্রাগুক্ত দুইটি ছাড়াও আছে ‘অনুসৃতি’, ‘চলার সাথী’ ‘পৃথিবী নায়ক’ প্রভৃতি।

১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দে বৃটিশ আমলেই তিনি বিহারের প্রদেশের ঝাড় খন্ডের দেওঘরে যান। হেমায়েতপুরের সৎসঙ্গের আদলে সেখানে আশ্রম স্থাপন করেন। তিনি সেখানেই থেকে যান। সেখান থেকে পাবনায় আর ফিরে আসেন নাই। সেখানেই ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ শে জানুয়ারী তারিখেএকাশি বৎসরেরও অধিক বয়সে তিনি ইহধাম ত্যাগ করেন।

তা সত্ত্বেও ভক্তকুলের হৃদযে তিনি জীবিত আছেন তাঁর শিক্ষার মাধ্যমে । তাই তাঁর শিক্ষা , দর্শন ও আদর্শের প্রচার ও প্রসার আজও অব্যাহত আছে। লেখকঃ সাবেক জেলা ও দায়রা জজ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.