ঊষালগ্ন থেকেই ইসলাম বৈরী শক্তির ষড়যন্ত্রের শিকার। দীনে হকের উজ্জ্বল প্রদীপ নির্বাপিত করার বহুমুখী প্রয়াস সব সময় লক্ষণীয়। একশ্রেণীর হীন, পাশবেতর ও অতি নিচু মানসিকতাসম্পন্ন লোক সব কালে সব যুগে ইসলাম, কোরআন ও হাদিসের খুঁত বের করে বিষোদ্গার করতে আনন্দ পায়। বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হজরত মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর মর্যাদাবান সাহাবায়ে কেরামদের প্রতি কটাক্ষ ও বিদ্রূপাত্মক কার্টুন অঙ্কন করা তাদের মজ্জাগত বৈশিষ্ট্য। সাম্প্রতিক সময়ে আরও দুটি উপসর্গ যোগ হয়েছে—একটি পবিত্র কোরআনে অগ্নিসংযোগ এবং অপরটি মহানবী (সা.)-কে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক সিনেমা তৈরি।
এ ঘৃণ্য অপরাধের সঙ্গে একশ্রেণীর ইহুদি ও খ্রিস্টান বিজড়িত। এরা মানবতার দুশমন; মূল্যবোধ-বিবর্জিত বর্বর সন্ত্রাসী। অন্য কোনো ধর্ম তাদের টার্গেট নয়, টার্গেট কেবল ইসলাম। এর পেছনে চারটি কারণ স্পষ্ট। প্রথমত, ইসলাম বিকাশমান ধর্ম।
ইসলাম সারা পৃথিবীতে বিস্তৃতিলাভ করছে ক্রমেই; এমনকি ইউরোপ, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন জনপদ ইসলামের আলোকধারায় উদ্ভাসিত হয়ে উঠছে; মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে চোখে পড়ার মতো বহু দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। ইসলামের অগ্রযাত্রায় হতাশ হয়ে ওই চক্রের হোতারা বিকৃত মানসিকতার পরিচয় দিয়ে সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দিচ্ছে। দ্বিতীয়ত, মিথ্যা, অশালীন ও বিদ্রূপাত্মক বিষোদ্গারের আরেকটি উদ্দেশ্য হচ্ছে, অমুসলমানদের মনে ইসলাম ও মুসলমান সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করা, যাতে তারা এ ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট না হয়ে ইসলামের নামে বিভ্রান্তি ও আতঙ্ক (Islamphobia) সৃষ্টি করে মুমিনদের ইবাদত, কৃষ্টি, জীবনাচার ও দাওয়াতি কর্মপ্রয়াসে শৈথিল্য আনে। তৃতীয়ত, মুসলমানরা গভীর ঘুমে অচেতন, না জাগ্রত অতন্দ্র প্রহরী, তা পরখ করা এবং ইমানি শক্তির প্রচণ্ডতাকে যাচাই করা। চতুর্থত, প্রতিটি ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া থাকে।
ইসলাম ধর্মাবমাননার প্রতিক্রিয়াস্বরূপ সংক্ষুব্ধ মুসলমানরা দেশে দেশে বিক্ষোভ ও সহিংস পন্থার যদি আশ্রয় নেয়, তাহলে তাদের দমনের নামে ন্যাটো বাহিনী হামলে পড়বে ওইসব দেশে। তারপর শুরু হয়ে যাবে জাতীয় সম্পদ লুণ্ঠনের তাণ্ডব। ষড়ন্ত্রকারীরা কিন্তু একা নয়; এদের পেছনে আছে তাদের স্বধর্মী ও সমগোত্রীয়দের এক শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বিশ্বের বহুল পরিচিত ইলেকট্রনিক মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া, ফেসবুক ও গুগলের মতো সার্চ ইঞ্জিন।
ধর্ম ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব নিয়ে উপহাস ও কটাক্ষ করার জন্য ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা’র (Freedom of Expression) বুলিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
মত প্রকাশের স্বাধীনতা কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত হতে পারে না। আমরা মনে করি, মত প্রকাশের স্বাধীনতারও সুনির্দিষ্ট শর্ত ও নীতিমালা থাকা চাই। ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা’-র নামে অন্য ধর্ম ও ধর্ম প্রচারকের প্রতি ঘৃণার আগুন ছড়ানো অব্যাহত থাকলে চলমান আন্তঃধর্ম সংলাপ (Inter faith Dialogue) প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে এবং অসম্ভব হয়ে উঠবে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার মহত্ উদ্যোগ। হিংসা হিংসা ডেকে আনে; বিদ্বেষ শত্রুর সংখ্যা বাড়ায়। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, নিবর্তন, চক্রান্ত, উচ্ছেদ, হত্যা, ধর্ষণ, ধর্মাবমাননা, মানবাধিকার লঙ্ঘন ইত্যাদি কারণে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।
ইসলাম ধর্মকে হেয় করার কাজে চক্রান্তকারীদের আস্কারা দেয়ার পরিণতি আগামীতে বুমেরাং হতে পারে।
সাম্প্রতিক সময়ে ‘ইনোসেন্স অব মুসলিমস’ নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত চলচ্চিত্র ওই ষড়যন্ত্রেরই অংশবিশেষ। এটা নির্মাণ করতে ১০০ ইহুদি ব্যবসায়ী ৫০ লাখ মার্কিন ডলার দিয়েছে। ইহুদিরা অভিশপ্ত জাতি। সংঘাত ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে ফায়দা লুটা তাদের আদি কৌশল।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এখনও চলছে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ। এ পর্যন্ত লিবিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ ৩০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। এদিকে ১৯ সেপ্টেম্বর ফ্রান্সের সাময়িকী ‘শার্লি এবদো’তে রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে অবমাননা করে কার্টুন ছাপানোর পর ফরাসি মুসলমানরা আরও বেশি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। সরকার বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ নিষিদ্ধ করেছে। এর আগেও ২০১১ সালে মহানবী (সা.)-কে কটাক্ষ করে কার্টুন ছেপেছিল ওই পত্রিকা।
সে সময় মুসলমানরা পত্রিকাটির অফিসে অগ্নিসংযোগ করে। বিশ্লেষকদের মতে, ফ্রান্স সরকার পুরোপুরি দ্বিমুখী নীতি অনুসরণ করছে। তারা রাসুলের অবমাননা বাকস্বাধীনতা হিসেবে দাবি করলেও এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করছে। এ দ্বিমুখী নীতি শান্তি, সৌহার্দ্য ও সহাবস্থানের পথে অন্তরায়।
আল্লাহ না করুন কোনো কুলাঙ্গার যদি আল্লাহর নবী হজরত মূসা (আ.), হজরত ঈসা (আ.), হজরত মরিয়ম (আ.), তাওরিত ও বাইবেলকে উপজীব্য করে বিদ্রূপাত্মক ও কটাক্ষপূর্ণ কোনো চলচ্চিত্র নির্মাণ করে ইউটিউবে ছেড়ে দেয়, তখন কী হবে অবস্থা? ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা’র থিউরি তখন কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? আমরা অবশ্য অবশ্য এ ঘৃণ্য প্রয়াসকে গভীর ভাষায় নিন্দা জানাব, কুশীলবের শাস্তি দাবি করব।
ধর্মাবমাননাকে আমরা মহাপাপ বলে বিবেচনা করি।
গোটা পৃথিবীর ৭০০ কোটি মানুষ বিশেষ কোনো ধর্মের অনুসারী হবে, এটা অসম্ভব। নানা ধর্মের মানুষের (Religious diversity) পারস্পরিক শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানই পৃথিবীর বৈচিত্র্য। বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী ও সমাজবদ্ধ জাতিগোষ্ঠীর (Plural society) মধ্যে সম্প্রীতি, সহিষ্ণুতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে অবিলম্বে ধর্মাবমাননার সব পথ বন্ধ করতে হবে এবং এ ব্যাপারে আইন প্রণয়ন করে ধর্মাদ্রোহী কুলাঙ্গারদের আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় পৃথিবীর পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে উঠবে এবং আইন তার নিজস্ব গতিতে চলতে পারবে না।
আমরা এ ব্যাপারে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, শিখ ও জৈন ধর্মের সচেতন মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। একে অপরের ধর্মানুভূতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন বিশ্বশান্তির পূর্বশর্ত।
যাবে জাতীয় সম্পদ লুণ্ঠনের তাণ্ডব। ষড়ন্ত্রকারীরা কিন্তু একা নয়; এদের পেছনে আছে তাদের স্বধর্মী ও সমগোত্রীয়দের এক শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বিশ্বের বহুল পরিচিত ইলেকট্রনিক মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া, ফেসবুক ও গুগলের মতো সার্চ ইঞ্জিন।
ধর্ম ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব নিয়ে উপহাস ও কটাক্ষ করার জন্য ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা’র (Freedom of Expression) বুলিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। মত প্রকাশের স্বাধীনতা কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত হতে পারে না। আমরা মনে করি, মত প্রকাশের স্বাধীনতারও সুনির্দিষ্ট শর্ত ও নীতিমালা থাকা চাই। ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা’-র নামে অন্য ধর্ম ও ধর্ম প্রচারকের প্রতি ঘৃণার আগুন ছড়ানো অব্যাহত থাকলে চলমান আন্তঃধর্ম সংলাপ (Inter faith Dialogue) প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে এবং অসম্ভব হয়ে উঠবে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার মহত্ উদ্যোগ। হিংসা হিংসা ডেকে আনে; বিদ্বেষ শত্রুর সংখ্যা বাড়ায়।
আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, নিবর্তন, চক্রান্ত, উচ্ছেদ, হত্যা, ধর্ষণ, ধর্মাবমাননা, মানবাধিকার লঙ্ঘন ইত্যাদি কারণে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ইসলাম ধর্মকে হেয় করার কাজে চক্রান্তকারীদের আস্কারা দেয়ার পরিণতি আগামীতে বুমেরাং হতে পারে।
সাম্প্রতিক সময়ে ‘ইনোসেন্স অব মুসলিমস’ নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত চলচ্চিত্র ওই ষড়যন্ত্রেরই অংশবিশেষ। এটা নির্মাণ করতে ১০০ ইহুদি ব্যবসায়ী ৫০ লাখ মার্কিন ডলার দিয়েছে। ইহুদিরা অভিশপ্ত জাতি।
সংঘাত ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে ফায়দা লুটা তাদের আদি কৌশল। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এখনও চলছে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ। এ পর্যন্ত লিবিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ ৩০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। এদিকে ১৯ সেপ্টেম্বর ফ্রান্সের সাময়িকী ‘শার্লি এবদো’তে রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে অবমাননা করে কার্টুন ছাপানোর পর ফরাসি মুসলমানরা আরও বেশি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। সরকার বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ নিষিদ্ধ করেছে।
এর আগেও ২০১১ সালে মহানবী (সা.)-কে কটাক্ষ করে কার্টুন ছেপেছিল ওই পত্রিকা। সে সময় মুসলমানরা পত্রিকাটির অফিসে অগ্নিসংযোগ করে। বিশ্লেষকদের মতে, ফ্রান্স সরকার পুরোপুরি দ্বিমুখী নীতি অনুসরণ করছে। তারা রাসুলের অবমাননা বাকস্বাধীনতা হিসেবে দাবি করলেও এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করছে। এ দ্বিমুখী নীতি শান্তি, সৌহার্দ্য ও সহাবস্থানের পথে অন্তরায়।
আল্লাহ না করুন কোনো কুলাঙ্গার যদি আল্লাহর নবী হজরত মূসা (আ.), হজরত ঈসা (আ.), হজরত মরিয়ম (আ.), তাওরিত ও বাইবেলকে উপজীব্য করে বিদ্রূপাত্মক ও কটাক্ষপূর্ণ কোনো চলচ্চিত্র নির্মাণ করে ইউটিউবে ছেড়ে দেয়, তখন কী হবে অবস্থা? ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা’র থিউরি তখন কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? আমরা অবশ্য অবশ্য এ ঘৃণ্য প্রয়াসকে গভীর ভাষায় নিন্দা জানাব, কুশীলবের শাস্তি দাবি করব। ধর্মাবমাননাকে আমরা মহাপাপ বলে বিবেচনা করি।
গোটা পৃথিবীর ৭০০ কোটি মানুষ বিশেষ কোনো ধর্মের অনুসারী হবে, এটা অসম্ভব। নানা ধর্মের মানুষের (Religious diversity) পারস্পরিক শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানই পৃথিবীর বৈচিত্র্য। বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী ও সমাজবদ্ধ জাতিগোষ্ঠীর (Plural society) মধ্যে সম্প্রীতি, সহিষ্ণুতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে অবিলম্বে ধর্মাবমাননার সব পথ বন্ধ করতে হবে এবং এ ব্যাপারে আইন প্রণয়ন করে ধর্মাদ্রোহী কুলাঙ্গারদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
অন্যথায় পৃথিবীর পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে উঠবে এবং আইন তার নিজস্ব গতিতে চলতে পারবে না। আমরা এ ব্যাপারে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, শিখ ও জৈন ধর্মের সচেতন মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। একে অপরের ধর্মানুভূতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন বিশ্বশান্তির পূর্বশর্ত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।