সন্দেহপ্রবণ না স্ত্রীর উপর অগাধ আস্থা রাখেন? ঠিক কেমন মানুষ বলা যাবে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিনা রব্বানি খারের স্বামী ফিরোজ গুলজারকে? বেশ কিছুদিন ধরে মুখরোচক গল্প ছড়াচ্ছে দেশটির প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির সঙ্গে হিনার প্রেম ঘিরে। বিতর্কের শুরু অবশ্য বাংলাদেশেরই একটি সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনের খবর দিয়ে। ম্যাগাজিনটি একটি বিশেষ সূত্রের বরাত দিয়ে জানায়, খুব শীঘ্রই কোটিপতি ব্যবসায়ী ফিরোজ গুলজারের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হতে চলেছে হিনার। আর বয়সে অনেক ছোট বিলওয়ালকে বিয়ে করে সুইজারল্যান্ডে ঘর বাঁধছেন হিনা।
একটি খবরে শোনা যাচ্ছে, যাবতীয় বিতর্ক নস্যাৎ করে পাঞ্জাবের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ফিরোজ জানিয়েছেন, এই সমস্ত কিছুই করা হচ্ছে তার স্ত্রীর বদনাম করার জন্য।
তিনি পুরো বিষয়টিকেই একটা চক্রান্ত বলে অভিহিত করেছেন। তিনি পাকিস্তানের এক সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাত্কারে বলেছেন, এধরনের ভিত্তিহীন খবরে তার কোনও আগ্রহই নেই। এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতেও নারাজ তিনি। হিনার স্বামী আরও একধাপ এগিয়ে জানিয়েছেন, তিনি তার স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হওয়ার খবর তার ভাইদের থেকে জানতে পারেন। শুধু তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন যে, এ ধরনের নোংরা বিতর্কে তাদের দুই মেয়েকে টেনে আনা হয়েছে।
এ থেকে মনে হওয়াই স্বাভাবিক, তার স্ত্রীর সম্পর্কে যে যাই বলুক, হিনার প্রতি তার বিশ্বাস, ভরসা চিড় খায়নি। কিন্তু অন্য একটি সূত্রের খবর, এই ফিরোজই নাকি পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেটিং এজেন্সির কাছ থেকে হিনার তিনটি মোবাইল ফোনের কথোপকথনের রেকর্ড চেয়ে পাঠিয়ে চিঠি লিখেছেন। এ খবর প্রকাশ্যে আসার পর তিনি হিনাকে ফোন করে নাকি তার সঙ্গে জারদারি পুত্রের রোমান্সের খবরের সত্যতা সম্পর্কেও জানতে চান। হিনা খবরটিকে ভিত্তিহীন বলে জানিয়ে ফোন কেটে দেন। এই মুহূর্তে হিনা নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ সাধারণ পরিষদের সভায় অংশ নিতে গিয়েছেন।
হিনার এক আত্মীয়ের বরাত দিয়ে এবিপি আনন্দ জানায়, হিনার নাকি ছয়টি মোবাইল ফোন আছে। তার মধ্যে দুটি অন্য নামে। এর মধ্যে তিনটির বিষয় বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন ফিরোজ। তবে চিঠি পাঠানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফেডারেল ইনভেস্টিগেটিং এজেন্সি, আভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টির বিভিন্ন নেতাদের ফোন যায় তার কাছে। তাকে বলা হয়, তিনি যেন অবিলম্বে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকেন।
আপাতত সময়ই বলবে হিনা-বিলাওয়ালের প্রেম কতটা সত্যি। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে রহস্য দানা বাঁধার ইঙ্গিতও পাওয়া যাচ্ছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।