সাম্যের গান গাই- আমার চক্ষে পুরুষ রমনী কোন ভেদাভেদ নাই। বিশ্বে যা কিছু মহান, সৃষ্টি চির কল্যানকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর...........। আমি রক্তে, মাংসে গড়া অতি সাধারন এক মানুষ........... তবে আমি প্রচন্ড রকমের স্বপ্নবিলাসি। সেসব স্বপ্নের কিছ এই শনিবারের কথা বলছি.........।
সকালে বের হলাম।
উদ্দেশ্য বাংলালায়ন এর অফিসে যাবো, সেখান থেকে কোথায় যাবো ঠিক নেই..............
সাথে ছিল বড় ভাই নোমান ভাইয়া। সোবহানবাগে বাংলালায়নের কেয়ার সেন্টারে গেলাম। গিয়েই মেজাজ খারাপ হলো। void(0); যে কাজের জন্য গিয়েছিলাম তার কিছুই হলো না। সেখান থেকে বেরিয়ে উল্টো দিকের এ.আর. প্লাজাতে গেলাম।
সেখানে দেড় তলার ওপর ক্যাফ্যাটাতে বসে বসে ড্রিংকস গিলতে গিলতে হাবিজাবি কথাবার্তা চলছিল। হঠাৎ বলে বসলাম, "চল বলাকায় যাই। ঘেটুপুত্র কমলা দেখে আসি। " একথা বলার ৫ মিনিটের মধ্যেই বেরিয়ে পড়লাম বলাকার উদ্দেশ্যে..............
প্রখর রোদে পুরে আর প্রচন্ড ভীড় ঠেলে পৌছুলাম। টিকেট কিনে হলের ভেতর গিয়ে জায়গা দখল করলাম।
৫ মিনিট ধরে বিশাল পর্দায় রঙ বেরঙের বিজ্ঞাপন দেখলাম void(0);
এসব বিজ্ঞাপনের মাঝে জলিল আঙ্কেলের 'আর ইঊ পম গানা'ও ছিল void(0);
যাহোক, এবার মূল সিনেমার গল্পে আসি............
জাতিয় সঙ্গীতের পর শুরু হলো সিনেমা। প্রথম দৃশ্যে জমিদারটাকে বেশ ফানি লাগছিলvoid(0);। দূর থেকে যখন গানের দলের বজড়াটা আসছিল, সেই দৃশ্যটা অসাধারন ছিল। কমলা কে প্রথমে দেখে বোঝাই যায়নি সে একটা ছেলেvoid(0);। জমিদার বাড়িতে গানের দল পৌছাবার আরো কিছু ফানি ঘটনা হয়।
জমিদার এর বৌ তখন তার এই অস্থায়ী সতিনকে(!) কোনভাবেই সহ্য করতে পারছে না। বেচারি না পারে সইতে, না পারে কইতে void(0);। যখনই সে জমিদারকে বলে হয় সে এ বাড়িতে থাকবে নইলে ঘেটুপুত্র থাকবে, তখনই জমিদার বিভিন্নভাবে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে তাকে তালাক দেবার কথা বলে। ব্যাপক বিনোদন void(0);
এদিকে ঘেটুদলের নাচ গান চলছে। সেখানেও রয়েছে ব্যাপক কমেডি void(0);।
তারপর এক রাতে জমিদারের শোবার ঘরে কমলার ডাক পড়লো। বেশ সেজেগুজেই কমলা গিয়েছিল। জমিদারের আদেশেই জমিদারের স্ত্রী কমলাকে সাজিয়ে দিত। কিছুক্ষন পরই জমিদারের ঘর থেকে ভেসে এলো কমলার আর্ত চিৎকার। পুরো জমিদার বাড়ি যেন কেঁপে উঠলো।
বোঝা গেল ৮,১০ বছরের কচি ছেলেটার ওপর দিয়ে চরম যৌন অত্যাচার চলছে। ভিষন খারাপ লাগলো তখনvoid(0);
প্রায় প্রত্যেক রাতেই কমলার ওপর দিয়ে এই অত্যাচার চলতো।
ঐ বাড়িতে কমলার দুইজন বন্ধু জুটে গেল। একজন চিত্রশিল্পী, আরেকজন কমলার বয়সি জমিদারের একমাত্র মেয়ে। এই দুইজন বাদে ওবাড়ির সবাই কমলাকে ঘৃনা করতো।
কমলা প্রায়ই ছাদের কিনারা ধরে হাটাহাটি করতো। এটা দেখে জমিদারনীর মাথায় এক কুচিন্তা এলো। সে তার বিশ্বস্ত এক দাসীকে দায়িত্ব দিল কমলাকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করার। এজন্য সে তাকে ৫টা সর্নের মোহর আর বেশ ভারি একটা সর্নের বালা দিল। দাসীটা সবসময় কমলাকে মারার জন্য তক্কে তক্কে থাকতো।
কিন্তু পারতো না। কখনো জমিদারের মেয়ে, কখনো সেই ছবি ওলা মামা এসে তাকে ডেকে নিয়ে যেত।
তবে অবশেষে সেই দাসীই তাকে ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করে। এই দৃশ্যটা দেখার পর বেশ অনেকক্ষন স্তব্ধ হয়ে ছিলাম।
যেই আমার চোখ দিয়ে কখনো সহজে অশ্রু ঝরে না, সেই আমিও এই সিনেমা দেখে কেঁদে দিলাম।
হুমায়ূন আহমেদ চেয়েছিলেন সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে সিনেমাটাকে আরো সুন্দর করবেন। তাঁর সেই ফেরা আর হলো না........................
তবে তিনি এই সিনেমাটিকে যেভাবে বানিয়ে গেছেন, তার সাথে অন্য কোন সিনেমার তুলনা চলে না।
যতটুকু অসাধারন ভেবেছিলাম, তারচেয়ে হাজারগুনে বেশী অসাধারন.......................... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।